নিউজ ডেস্ক:-
বরিশাল-৪ (হিজলা-মেহেন্দিগঞ্জ) আসন দীর্ঘদিন ধরে নানা অবহেলা, প্রতিশ্রুতি ভঙ্গ এবং উন্নয়ন বঞ্চনার শিকার। বিশেষ করে মেঘনার ভয়াবহ নদীভাঙন প্রতিনিয়ত মানুষের স্বপ্ন, ঘরবাড়ি, ফসলি জমি ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গিলে নিচ্ছে। মেহেন্দিগঞ্জের মানচিত্র ধীরে ধীরে বিলীন হয়ে যাচ্ছে নদীগর্ভে। অথচ এ অঞ্চলের মানুষের পাশে দাঁড়ানোর মতো কার্যকর উদ্যোগ খুব কমই দেখা যায়।
এই কঠিন সময়ে যখন অনেকে শুধু রাজনীতি বা ব্যক্তিগত স্বার্থকে প্রাধান্য দিচ্ছেন, তখন মানবিক নেতা এডভোকেট এম. হেলাল উদ্দিন নিঃস্বার্থভাবে মাঠে কাজ করে যাচ্ছেন। তিনি বিশ্বাস করেন—জনগণের কল্যাণে কাজ করাই প্রকৃত রাজনীতির উদ্দেশ্য। তাই তিনি একাই অবিরাম চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন মানুষের মৌলিক সমস্যাগুলো তুলে ধরতে এবং সমাধানের পথ খুঁজে পেতে।
মেঘনার ভাঙনে প্রতিদিন নতুন নতুন পরিবার গৃহহারা হচ্ছে। অনেক গ্রাম রাতারাতি মানচিত্র থেকে হারিয়ে যাচ্ছে। এ অবস্থায় সাধারণ মানুষের প্রশ্ন—"আমাদের জন্য কাজ করার আর কি কেউ নেই?" উন্নয়নের নামে নানা প্রকল্প হলেও বাস্তবে তার সুফল পৌঁছায়নি ভাঙনকবলিত মানুষের ঘরে।
মেহেন্দিগঞ্জের মানুষ হতাশ। কারণ অনেকেই শুধু ক্ষমতার মোহে পকেট ভারী করার চিন্তায় ব্যস্ত, অথচ জনগণের কল্যাণে বাস্তব পদক্ষেপ নেয়া হয় না। প্রতিদিন ভাঙনে ক্ষতিগ্রস্ত মানুষগুলো মানবেতর জীবনযাপন করছে, কিন্তু তাদের দুর্দশা লাঘবে কার্যকর পদক্ষেপ খুব কমই দেখা যায়।
এডভোকেট এম. হেলাল উদ্দিন অন্য সবার থেকে আলাদা এক দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন। তিনি ব্যক্তিস্বার্থ নয়, মানুষের স্বার্থকে অগ্রাধিকার দিচ্ছেন। তার মূল লক্ষ্য—
নদীভাঙন রোধে দীর্ঘমেয়াদি প্রকল্প বাস্তবায়ন,ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলোকে পুনর্বাসন,শিক্ষা ও স্বাস্থ্য খাতে কার্যকর পদক্ষেপ,মেহেন্দিগঞ্জ ও হিজলার টেকসই উন্নয়ন নিশ্চিত করা।
অবহেলিত বরিশাল-৪ আসনের মানুষ আজ নতুন আশার আলো দেখছে এডভোকেট এম. হেলাল উদ্দিনের মতো একজন মানবিক নেতার মধ্যে। প্রশ্ন জাগে—যেখানে সমষ্টিগত উদ্যোগের প্রয়োজন, সেখানে কেন তিনি একাই লড়ছেন? তবে বাস্তবতা হলো, মানুষের হৃদয়ে ইতিমধ্যেই তিনি আস্থা ও ভালোবাসার এক উজ্জ্বল প্রতীক হয়ে উঠেছেন।