আমি গণতন্ত্র ও মানুষের অধিকারের জন্য রাজনীতি করি। কারাগারে নয়, জনগণের পাশে থেকেই সংগ্রাম চালিয়ে যেতে চাই– ইসহাক সরকার
আসিফ চৌধুরী, বিশেষ সংবাদদাতা ঢাকা :
বিএনপি নেতা ও ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সক্রিয় রাজনীতিবিদ, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী যুবদলের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক মোহাম্মদ ইসহাক সরকার অবশেষে কেরানীগঞ্জ কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে মুক্তি পেয়েছেন।
আজ রবিবার (২১ সেপ্টেম্বর) বিকেল পাঁচটায় কারাগারের প্রধান ফটক দিয়ে বের হওয়ার পর হাজারো নেতাকর্মী স্লোগান, ফুলের শুভেচ্ছা ও গাড়ি বহর নিয়ে প্রিয় নেতাকে বরণ করে নেন।
গত ৭ সেপ্টেম্বর আদালতে আত্মসমর্পণের পর তিনি ছয়টি মামলায় মোট ২২ বছরের কারাদণ্ডপ্রাপ্ত হয়ে কারাগারে ছিলেন। পরিবার ও দলীয় নেতাদের অভিযোগ, বিগত ‘ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগ’ সরকারের আমলে তার বিরুদ্ধে মোট ৩৬৫টিরও বেশি মামলা দায়ের করা হয়। এর মধ্যে অন্তত ১১টিতে দণ্ডপ্রাপ্তির পর আদালত তার জামিন আবেদন নাকচ করেন।
২০২৩ সালের আগস্টে গাড়ি ভাঙচুর ও টাকা ছিনতাইয়ের অভিযোগে দায়ের হওয়া এক মামলায় তাকে ২ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়। একই বছরের নভেম্বর মাসে নাশকতার মামলায় আদালত তাকে ৩ বছরের কারাদণ্ড ও অর্থদণ্ড দেন।
কারামুক্তির পর কারাগারের ফটকেই উপস্থিত সমর্থকদের উদ্দেশে সংক্ষিপ্ত প্রতিক্রিয়ায় ইসহাক সরকার বলেন-
আমি গণতন্ত্র ও মানুষের অধিকারের জন্য রাজনীতি করি। কারাগারে নয়, জনগণের পাশে থেকেই সংগ্রাম চালিয়ে যেতে চাই।
পুরান ঢাকার ঢাকা-৭ আসনে দীর্ঘদিন ধরে সক্রিয় রাজনীতিতে যুক্ত ইসহাক সরকার আসন্ন জাতীয় নির্বাচনে এ আসন থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার প্রস্তুতি নিচ্ছেন। তবে একের পর এক মামলার কারণে তাকে রাজনৈতিকভাবে দুর্বল করার ষড়যন্ত্র চলেছে বলে অভিযোগ তার পরিবার ও দলের।
পরিবার ও স্থানীয় নেতাকর্মীরা জানিয়েছেন, মুক্তির পর তাকে জরুরি ভিত্তিতে দলীয় ওয়ার্কিং কমিটির বৈঠকে যোগ দেওয়ার আহ্বান জানানো হয়েছে।
রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করছেন, ইসহাক সরকারের মুক্তি পুরান ঢাকার বিএনপি রাজনীতিতে নতুন গতি আনতে পারে। বিশেষ করে ঢাকা-৭ আসনের আসন্ন প্রতিদ্বন্দ্বিতা ঘিরে তার অবস্থান এখন আলোচনায়।
মোঃ আসিফ চৌধুরী
২১:০৯:২০২৫