, বৃহস্পতিবার, ১১ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ২৭ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী (সা:) ও আহলে বাইত এর স্বরণে পুরান ঢাকায় দোয়া ও মিলাদ মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে।  কেরানীগঞ্জে বিদেশি রিভলবারসহ ২ যুবক গ্রেফতার : বরিশাল জেলা উত্তর কৃষকদলের আহ্বায়ক নলী মোঃ জামাল হোসেন : পরীক্ষিত ও কর্মীবান্ধব নেতা  কেরানীগঞ্জে ফোম কারখানায় আগুন ঢাকায় ইন্টারন্যাশনাল তুগুজকুমালাক ডে উদযাপন: গোসাইরহাটে বিএনপি’র ৪৭ তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ডাকসু নির্বাচন: ভিপি-জিএস-এজিএস তিন শীর্ষ পদেই শিবির সমর্থিত প্যানেলের জয় সুদূর প্রবাসে থেকেও বিএনপির জন্য কাজ করে যাচ্ছেন জিয়া সাইবার ফোর্স জেডসিএফ নেতা রবিউল খন্দকার আগামী ফেব্রুয়ারীর প্রথম সপ্তাহেই নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে–আলহাজ্ব আমান উল্লাহ আমান  জিয়া সাইবার ফোর্স জেডসিএফ-এর বিশেষ আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত

আশুলিয়ায় বকেয়া বেতন পরিশোধ না করে মালামাল সরানোর চেষ্টা, শ্রমিকদের বাধা

  • প্রকাশের সময় : ১১:০১ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৩১ জুলাই ২০২৫
  • ১০১ পড়া হয়েছে

 

 

মামুন হোসেন

আশুলিয়া প্রতিনিধি:

আশুলিয়ার আউকপাড়া এলাকায় অবস্থিত জে-মার্ফ এপারেল লিমিটেড নামক একটি পোশাক কারখানায় বকেয়া বেতন পরিশোধ না করে গভীর রাতে মালামাল সরিয়ে নেয়ার অভিযোগ উঠেছে কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে। খবর পেয়ে রাতেই কারখানার গেট আটকে দেয় ভুক্তভোগী শ্রমিকরা।

 

শ্রমিকদের অভিযোগ, দীর্ঘদিন ধরে তারা বেতন পাচ্ছেন না। বেশ কয়েকবার আশ্বাস দিয়েও কারখানা কর্তৃপক্ষ বেতন পরিশোধ করেনি। উল্টো মঙ্গলবার গভীর রাতে মালামাল বোঝাই ট্রাক কারখানা থেকে সরিয়ে নেয়ার চেষ্টা করে। বিষয়টি আঁচ করতে পেরে শ্রমিকরা তাৎক্ষণিকভাবে ঘটনাস্থলে ছুটে গিয়ে ট্রাক আটকে দেয় এবং গেটে তালা লাগিয়ে দেন।

 

এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে কারখানা চত্বরে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। পরদিন বুধবার (৩১ জুলাই) সকালেও শ্রমিকরা কারখানা গেটের সামনে অবস্থান কর্মসূচি চালিয়ে যান। ফলে কারখানায় দ্বিতীয় দিনের মতো শ্রমিক অসন্তোষ বিরাজ করছে।

 

ঘটনাস্থলে রয়েছে শিল্প পুলিশ। তারা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে শ্রমিক ও মালিকপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টা করছে। তবে এখনো কোনো পক্ষের সঙ্গে সমঝোতা হয়নি বলে জানা গেছে।

 

একজন শ্রমিক বলেন,
“আমাদের তিন মাসের বেতন বকেয়া। অনেক কষ্ট করে এখানে কাজ করি। এখন মালিকপক্ষ পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছে। আমরা মালামাল সরাতে দেব না, যতক্ষণ না আমাদের পাওনা টাকা পরিশোধ করা হয়।”

 

শিল্প পুলিশের এক কর্মকর্তা জানান,

“শ্রমিকদের অভিযোগ বিবেচনা করে আমরা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করছি। মালিকপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ চলছে। শ্রমিকদের দাবি যাতে শান্তিপূর্ণভাবে সমাধান হয়, সেজন্য উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।”

 

 

এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত কারখানার কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে এবং শ্রমিকদের অবস্থান অব্যাহত আছে। শ্রমিকদের দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত তারা আন্দোলন চালিয়ে যাবেন বলে ঘোষণা দিয়েছেন।

জনপ্রিয়

পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী (সা:) ও আহলে বাইত এর স্বরণে পুরান ঢাকায় দোয়া ও মিলাদ মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে। 

আশুলিয়ায় বকেয়া বেতন পরিশোধ না করে মালামাল সরানোর চেষ্টা, শ্রমিকদের বাধা

প্রকাশের সময় : ১১:০১ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৩১ জুলাই ২০২৫

 

 

মামুন হোসেন

আশুলিয়া প্রতিনিধি:

আশুলিয়ার আউকপাড়া এলাকায় অবস্থিত জে-মার্ফ এপারেল লিমিটেড নামক একটি পোশাক কারখানায় বকেয়া বেতন পরিশোধ না করে গভীর রাতে মালামাল সরিয়ে নেয়ার অভিযোগ উঠেছে কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে। খবর পেয়ে রাতেই কারখানার গেট আটকে দেয় ভুক্তভোগী শ্রমিকরা।

 

শ্রমিকদের অভিযোগ, দীর্ঘদিন ধরে তারা বেতন পাচ্ছেন না। বেশ কয়েকবার আশ্বাস দিয়েও কারখানা কর্তৃপক্ষ বেতন পরিশোধ করেনি। উল্টো মঙ্গলবার গভীর রাতে মালামাল বোঝাই ট্রাক কারখানা থেকে সরিয়ে নেয়ার চেষ্টা করে। বিষয়টি আঁচ করতে পেরে শ্রমিকরা তাৎক্ষণিকভাবে ঘটনাস্থলে ছুটে গিয়ে ট্রাক আটকে দেয় এবং গেটে তালা লাগিয়ে দেন।

 

এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে কারখানা চত্বরে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। পরদিন বুধবার (৩১ জুলাই) সকালেও শ্রমিকরা কারখানা গেটের সামনে অবস্থান কর্মসূচি চালিয়ে যান। ফলে কারখানায় দ্বিতীয় দিনের মতো শ্রমিক অসন্তোষ বিরাজ করছে।

 

ঘটনাস্থলে রয়েছে শিল্প পুলিশ। তারা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে শ্রমিক ও মালিকপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টা করছে। তবে এখনো কোনো পক্ষের সঙ্গে সমঝোতা হয়নি বলে জানা গেছে।

 

একজন শ্রমিক বলেন,
“আমাদের তিন মাসের বেতন বকেয়া। অনেক কষ্ট করে এখানে কাজ করি। এখন মালিকপক্ষ পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছে। আমরা মালামাল সরাতে দেব না, যতক্ষণ না আমাদের পাওনা টাকা পরিশোধ করা হয়।”

 

শিল্প পুলিশের এক কর্মকর্তা জানান,

“শ্রমিকদের অভিযোগ বিবেচনা করে আমরা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করছি। মালিকপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ চলছে। শ্রমিকদের দাবি যাতে শান্তিপূর্ণভাবে সমাধান হয়, সেজন্য উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।”

 

 

এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত কারখানার কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে এবং শ্রমিকদের অবস্থান অব্যাহত আছে। শ্রমিকদের দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত তারা আন্দোলন চালিয়ে যাবেন বলে ঘোষণা দিয়েছেন।