
নিউজ ডেস্ক:-
আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের প্রস্তুতি হিসেবে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) তাদের নির্বাচনি কৌশল চূড়ান্ত করেছে। ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের তত্ত্বাবধানে গঠিত তিনটি বিশেষ টিম দীর্ঘদিন কাজ শেষ করেছে। তিন স্তরে পরিচালিত গোপন জরিপের পর বর্তমানে চলছে সর্বশেষ যাচাই-বাছাই। প্রার্থীদের জনপ্রিয়তা ও গ্রহণযোগ্যতার ভিত্তিতে এলাকা ভিত্তিক যাচাই-বাছাই শেষে শতাধিক প্রার্থীর হাতে দেওয়া হচ্ছে ‘গ্রিন সিগন্যাল’।
বিএনপির কেন্দ্রীয় এক সূত্র জানায়, দলীয় মনোনয়ন প্রক্রিয়ায় এবার একগুচ্ছ কঠোর পর্যালোচনা ও যাচাই-বাছাই প্রক্রিয়া গ্রহণ করা হয়েছে। তাই প্রত্যেক প্রার্থীকে স্থানীয় জনপ্রিয়তা, সাংগঠনিক সক্ষমতা ও জনমতের বিচারে গোপনভাবে পরীক্ষা করা হয়েছে। এসব তথ্যের ভিত্তিতে দলের সিদ্ধান্ত নেওয়া হচ্ছে যাতে ভোটারদের কাছে গ্রহণযোগ্য প্রার্থী নির্বাচিত হয়।
ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের তত্ত্বাবধানে কাজ করা তিনটি টিম তিন ধাপে গোপন জরিপ পরিচালনা করেছে। দলের অভ্যন্তরে সূত্রের বরাতে জানা গেছে, নির্বাচনে অংশগ্রহণ ও দলীয় ঐক্য দৃঢ় করতে এ ধরণের ব্যাপক জরিপ ও যাচাই-বাছাই অত্যন্ত জরুরি বিবেচিত হয়েছে।
বর্তমানে দলীয় গঠন থেকে শুরু করে মনোনয়ন প্রসেস পর্যন্ত সব কিছু সাবধানে সামলানো হচ্ছে। এসব প্রস্তুতির মাধ্যমে বিএনপি নির্বাচনকে সামনে রেখে মাঠে সুসংগঠিত ও শক্তিশালী দল নিয়ে নামতে চাইছে।
দলের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, যাচাই-বাছাই শেষে যারা গ্রিন সিগন্যাল পেয়েছেন, তারা জাতীয় ও স্থানীয় পর্যায়ে দলের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল করবেন এবং জনমত আকর্ষণে সক্ষম হবেন। আগামী দিনে তাদের আনুষ্ঠানিক মনোনয়ন প্রসেস শুরু হবে বলে দলের নেতারা জানিয়েছেন।
বিএনপির এই প্রস্তুতি প্রক্রিয়া দলের মধ্যেও ইতিবাচক সাড়া ফেলেছে। তৃণমূল নেতাকর্মীরা আশা করছেন, দল এবার আগের তুলনায় অনেক বেশি সংগঠিত ও প্রস্তুত থাকবে।
তবে আনুষ্ঠানিক মনোনয়ন ঘোষণা এবং নির্বাচন প্রক্রিয়া শুরু না হওয়া পর্যন্ত দলীয় প্রস্তুতি ও কৌশল সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য প্রকাশ করা হবে না বলেও জানিয়েছে বিএনপি।
সংক্ষেপে:
আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপির প্রস্তুতি চূড়ান্ত।
ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের তত্ত্বাবধানে তিনটি টিম কাজ শেষ করেছে।
তিন স্তরে গোপন জরিপের পর চলছে সর্বশেষ যাচাই-বাছাই।
এলাকা ভিত্তিক জনপ্রিয়তা যাচাই শেষে শতাধিক প্রার্থী পেলেন গ্রিন সিগন্যাল।
দল নির্বাচনে সংগঠিত ও শক্তিশালীভাবে অংশগ্রহণের লক্ষ্যে কাজ করছে।
বিএনপির এ ধরণের উদ্যোগ রাজনৈতিক মহলে দলটির নির্বাচনী সম্ভাবনা ও সংগঠনের প্রতি আগ্রহ আরও বাড়াতে পারে বলে মনে করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা।