বিশেষ সংবাদদাতা ঢাকা :
ঢাকা জেলার কেরানীগঞ্জে বিশেষ অভিযান চালিয়ে ৭৭ হাজার টাকার জাল নোটসহ এক পেশাদার জাল টাকার ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করেছে ঢাকা জেলা গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি-দক্ষিণ)। বুধবার (২৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫) বিকেল ৪টা ৪৫ মিনিটে কেরানীগঞ্জ মডেল থানাধীন মনু বেপারীর ঢাল এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়।
গ্রেফতারকৃত আসামির নাম মোঃ নজরুল ইসলাম (৩৫)। তিনি বরিশালের মুলাদী উপজেলার উত্তর পাতারচর গ্রামের মৃত মোঃ হানিফ রাঢ়ীর ছেলে। বর্তমানে তিনি কেরানীগঞ্জের আটি জয়নগর এলাকায় বসবাস করছিলেন।
ঢাকা জেলা পুলিশ জানায়, জেলা পুলিশ সুপার জনাব মোঃ আনিসুজ্জামান পিপিএম এর প্রত্যক্ষ নির্দেশনা ও অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ডিবি) মোঃ জাহিদুল ইসলাম খানের তত্ত্বাবধানে ডিবি (দক্ষিণ) এর অফিসার ইনচার্জ জনাব সাইদুল ইসলামের নেতৃত্বে উপ-পরিদর্শক (নিরস্ত্র) টিটুল হোসাইন ও মোঃ মনির হোসেন সঙ্গীয় ফোর্সসহ এ অভিযান পরিচালনা করেন। এ সময় আসামির কাছ থেকে ৭৭,০০০ টাকা মূল্যের জাল নোট উদ্ধার করা হয়।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে নজরুল ইসলাম স্বীকার করেছে যে, সে দীর্ঘদিন ধরে জাল টাকা তৈরি ও বাজারজাতের সঙ্গে জড়িত। রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় সে জাল টাকা ছড়িয়ে আসছিল।
পুলিশ জানায়, গ্রেফতারকৃত নজরুল ইসলামের বিরুদ্ধে দেশের বিভিন্ন থানায় একাধিক মামলা বিচারাধীন রয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে—
ডিএমপি’র লালবাগ থানার মামলা নং-২২ (২০১৮)নরসিংদী মডেল থানার মামলা নং-৩৪ (২০১৬)ডিএমপি’র রমনা মডেল থানার মামলা নং-৬/৩১০ (২০১৯)ডিএমপি’র মোহাম্মদপুর থানার মামলা নং-৮০/৫৫২ (২০২০)ডিএমপি’র যাত্রাবাড়ী থানার মামলা নং-৪২ (২০২৩)কেরানীগঞ্জ মডেল থানার মামলা নং-১১/৩৬৪ (২০২১)ঢাকা জেলার নবাবগঞ্জ থানার মামলা নং-২৫ (২০২৫)সবগুলো মামলাই ১৯৭৪ সালের বিশেষ ক্ষমতা আইন-এর 25A ধারা অনুসারে বিচারাধীন।
ঘটনার পর কেরানীগঞ্জ মডেল থানায় নতুন করে মামলা নং-৪০, তারিখ-২৫/০৯/২০২৫, বিশেষ ক্ষমতা আইন ১৯৭৪ এর 25A ধারা অনুযায়ী মামলা দায়ের করা হয়েছে।
ঢাকা জেলা পুলিশের এক কর্মকর্তা বলেন—
"জাল টাকা সমাজ ও অর্থনীতির জন্য মারাত্মক হুমকি। আমরা জাল টাকা চক্রকে চিহ্নিত করে আইনের আওতায় আনতে সর্বাত্মক চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি।"
বাংলাদেশের প্রায়ই বিভিন্ন অপরাধচক্র জাল নোট তৈরি করে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে ছড়িয়ে দেয়। ঈদ ও বড় উৎসবকে কেন্দ্র করে এ ধরনের চক্রগুলো বেশি সক্রিয় হয়ে ওঠে। তবে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর আমি তো অভিযান এবং জনসচেতনতার কারণে সাম্প্রতিক বছরগুলোতে জাল নোটের ব্যবসা অনেকাংশে নিয়ন্ত্রণে এসেছে।