আসিফ চৌধুরী, বিশেষ সংবাদদাতা ঢাকা :
ঢাকার দক্ষিণ কেরানীগঞ্জে প্রকাশ্যে ধারালো অস্ত্র দিয়ে গলাকেটে মো: সগীর (২৭) নামের এক যুবককে হত্যা করে মরদেহ রাস্তায় ফেলে রেখেছে দুর্বৃত্তরা। নিহত সগীর শুভাঢ্যা উত্তরপাড়া এলাকার মো: আমির হোসেনের ছেলে। সে রাজধানীর ইসলামপুর এলাকায় একটি আয়রনের দোকানে কর্মচারী হিসেবে কাজ করতো।
শনিবার সকাল সাড়ে নয়টার দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানাধীন শুভাঢ্যা ইউনিয়নের চুনকুটিয়া নাজিরেরবাগ এলাকায় বাগানবাড়ি সংলগ্ন রাস্তার উপর লাশটি পড়ে থাকতে দেখে স্থানীয়রা পুলিশকে খবর দেয়। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে গেলেও দুপুর সাড়ে বারোটায় রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত মরদেহটি রাস্তায় পড়েছিল। মরদেহ দীর্ঘক্ষণ রাস্তায় পড়ে থাকায় উৎসুক জনতার ভিড় বাড়ছে।
নিহতের স্ত্রী টিনা কান্নাজড়িত কণ্ঠে বলেন, সকালে দোকানে যাওয়ার কথা বলে বের হয়েছিলেন। কিছুক্ষণ পর খবর পাই, তাকে মেরে ফেলে রেখেছে। আমার স্বামী কারও সঙ্গে শত্রুতা করেনি। কেন এমন হলো, আমি বুঝতে পারছি না
এলাকাবাসী ও পরিবার সূত্রে জানা গেছে, নিহত সগীর ৮ বছর আগে বিয়ে করেছে এবং তাদের ৬ বছরের একটি কন্যা সন্তান রয়েছে। দুই বছর আগে স্ত্রীর পরকীয়ার কারণে তাদের ডিভোর্স হয়। এর কিছুদিন পর আবার স্ত্রীর সাথে বনিবনা হওয়ায় পর পুনরায় ঘর-সংসার শুরু করলে, এলাকাবাসীর কটুক্তির মুখে সে নিজ বাড়ি ছেড়ে নাজিরেরবাগ এলাকায় ভাড়া বাড়ীতে বসবাস করে।
দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) সৈয়দ আকতার হোসেন জানান,
তিনি বলেন, আমরা তদন্ত শুরু করেছি। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে পূর্ব শত্রুতা বা ব্যক্তিগত বিরোধের জেরে এ হত্যাকাণ্ড সংঘটিত হয়ে থাকতে পারে। তবে নিশ্চিত হতে তদন্তের অগ্রগতি সাপেক্ষে বিস্তারিত জানা যাবে।
ঘটনাস্থল থেকে মরদেহ উদ্ধার করে সুরতহাল শেষে ময়নাতদন্তের জন্য মিটফোর্ড হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।
মোঃ আসিফ চৌধুরী
১৩:০৯:২০২৫