নিজস্ব প্রতিবেদক:
রাজধানীর গুলশানে চাঁদাবাজির অভিযোগে ‘বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন’-এর ঢাকা মহানগর শাখার সিনিয়র সংগঠক আব্দুর রাজ্জাক বিন সোলায়মান রিয়াদসহ পাঁচজনকে আটক করেছে পুলিশ।
সূত্র জানায়, তারা একটি বাড়িতে গিয়ে নিজেদের ‘সমন্বয়ক’ পরিচয় দিয়ে সাবেক এক মহিলা সংসদ সদস্যের নিকট থেকে ১০ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করেন। গত কয়েকদিন আগে এই দাবির প্রেক্ষিতে প্রাথমিক পর্যায়ে কিছু টাকা প্রদান করা হয়। আজ শনিবার (২৬ জুলাই) আবারও চাঁদার বাকি অংশ নিতে গেলে গুলশান থানা পুলিশের একটি টিম তাদের হাতে-নাতে গ্রেফতার করে।
গ্রেফতারকৃতরা হলেন—আব্দুর রাজ্জাক বিন সোলায়মান রিয়াদ, মেহেদী হাসান, সাইফুল ইসলাম, আরিফুল হক এবং রবিউল ইসলাম। তাদের প্রত্যেকের বিরুদ্ধে পূর্বেও প্রতারণা ও চাঁদাবাজির একাধিক অভিযোগ রয়েছে বলে দাবি করেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।
গুলশান থানার ওসি মোহাম্মদ আমিনুল ইসলাম গণমাধ্যমকে জানান, “গ্রেফতারকৃতরা একটি সংগঠনের পরিচয়ে বিভিন্ন সময় প্রভাবশালী এলাকায় গিয়ে অবৈধ অর্থ দাবি করত। আজকের ঘটনায় বাড়ির মালিক অভিযোগ জানানোর পর আমরা দ্রুত অভিযান চালিয়ে পাঁচজনকে গ্রেফতার করেছি। তাদের বিরুদ্ধে মামলা প্রক্রিয়াধীন।”
এদিকে চাঁদাবাজির এই ঘটনার সিসিটিভি ফুটেজ ইতিমধ্যে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। ফুটেজে দেখা যায়, অভিযুক্তরা একসঙ্গে বাড়িতে প্রবেশ করে এবং টাকা লেনদেনের সময় কথাবার্তা চালাচ্ছে।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় নেতারা অবশ্য এই ঘটনায় এখন পর্যন্ত কোনো মন্তব্য করেননি। তবে সংগঠনটির সঙ্গে সংশ্লিষ্ট একাধিক দায়িত্বশীল ব্যক্তি নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানান, "এই ঘটনার সাথে সংগঠনের মূলনীতির কোনো সম্পর্ক নেই। কেউ যদি সংগঠনের নাম ব্যবহার করে অপরাধে লিপ্ত হয়, তবে আইন অনুযায়ী তার বিচার হওয়া উচিত।"
গ্রেফতারকৃতদের বিরুদ্ধে পরবর্তী আইনি প্রক্রিয়া গুলশান থানায় চলমান রয়েছে এবং তাদের রিমান্ড চেয়ে আদালতে তোলা হতে পারে বলে জানা গেছে।
ঘটনার বিষয়ে আরও তথ্য জানাতে তদন্ত কার্যক্রম চলছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।