নিউজ ডেস্ক:
মেহেন্দিগঞ্জ উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক হিসেবে জনাব গিয়াসউদ্দিন দিপেন জমদ্দার একজন বলিষ্ঠ, দৃঢ়চেতা ও সংগঠক হিসেবে দীর্ঘদিন ধরে দলীয় কর্মকাণ্ডে সক্রিয় ভূমিকা পালন করে আসছেন। দলীয় আদর্শ ও নেতৃত্বের প্রতি আনুগত্য, ত্যাগ ও নিষ্ঠার মাধ্যমে তিনি স্থানীয় রাজনীতিতে একজন আস্থাভাজন নেতায় পরিণত হয়েছেন।
তিনি শুধু রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডেই নয়, সামাজিক দায়বদ্ধতা ও মানবিক মূল্যবোধে বিশ্বাসী একজন নেতা। সাধারণ মানুষের সুখ-দুঃখে পাশে দাঁড়ানো, এলাকাবাসীর সমস্যা সমাধানে নিরলসভাবে কাজ করা এবং বিএনপির কর্মীদের সংগঠিত ও শক্তিশালী করার পেছনে তার নিরবচ্ছিন্ন প্রচেষ্টা প্রশংসনীয়।
বর্তমান রাজনৈতিক বাস্তবতায় জনাব গিয়াসউদ্দিন দিপেন জমদ্দার মেহেন্দিগঞ্জে বিএনপিকে সংগঠিত রাখতে যেভাবে ভূমিকা রেখে চলেছেন, তা নিঃসন্দেহে দলের ভীতকে মজবুত করছে এবং আগামী দিনগুলোতে আন্দোলন-সংগ্রামে তার নেতৃত্ব আরও গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠবে বলে দলীয় নেতাকর্মীরা আশা করছেন।
মিথ্যা অভিযোগ: রাজনৈতিক ভিত্তি নষ্টের ষড়যন্ত্রের :
মেহেন্দিগঞ্জ উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক ও বিশিষ্ট রাজনীতিবিদ জনাব গিয়াসউদ্দিন দিপেন জমদ্দারকে ঘিরে সম্প্রতি একটি উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বিতর্ক সৃষ্টি করা হয়েছে। আলিয়াবাদ ইউনিয়নের এক যুবলীগ নেতা শহীদ তালুকদার সম্প্রতি তার বিরুদ্ধে কিছু মিথ্যা ও বিভ্রান্তিকর অভিযোগ তুলেছেন, যা সম্পূর্ণ রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে প্রণোদিত বলে অভিযোগ উঠেছে।
বিএনপির স্থানীয় নেতাকর্মীরা এই অভিযোগকে একটি পরিকল্পিত ষড়যন্ত্র হিসেবে দেখছেন। তাদের ভাষ্যমতে, জনাব দিপেন জমদ্দারের জনপ্রিয়তা ও সাংগঠনিক দক্ষতা ক্রমশ বৃদ্ধি পাওয়ায় প্রতিপক্ষ মহল ভীত হয়ে এ ধরনের ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়েছে। তারা মনে করেন, এর মাধ্যমে তার রাজনৈতিক ইমেজ ক্ষুন্ন করা এবং স্থানীয় জনগণের মধ্যে বিভ্রান্তি ছড়ানোই মূল উদ্দেশ্য।
জনাব দিপেন জমদ্দার নিজেও এই অভিযোগকে ভিত্তিহীন এবং রাজনৈতিক প্রতিহিংসামূলক বলে প্রত্যাখ্যান করেছেন। তিনি এক বিবৃতিতে বলেন, “আমি সব সময় জনগণের জন্য কাজ করেছি। মিথ্যা অভিযোগ ও ষড়যন্ত্র আমাকে দমাতে পারবে না। আমি সব ধরনের ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে আইনি ও সাংগঠনিকভাবে মোকাবিলা করবো।”
বিএনপির নেতাকর্মীদের মতে, জনাব দিপেন জমদ্দার দীর্ঘদিন ধরে সংগঠনকে সুসংগঠিত রাখতে যে ভূমিকা পালন করে আসছেন, তা রাজনৈতিক প্রতিপক্ষের চোখে শঙ্কার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। তাই তাকে হেয় প্রতিপন্ন করতে এমন অপচেষ্টা করা হচ্ছে।
এ বিষয়ে সাধারণ জনগণের মাঝে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা গেলেও অধিকাংশই এই অভিযোগকে রাজনৈতিক কৌশল বলেই মনে করছেন।
দলের দুঃসময়ে আপোষহীন সংগ্রামী এক নেতা
মেহেন্দিগঞ্জ উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক জনাব গিয়াসউদ্দিন দিপেন জমদ্দার শুধু নামেই নয়, কাজে প্রমাণ রেখেছেন একজন সাহসী, আদর্শনিষ্ঠ ও আপোষহীন রাজনীতিক হিসেবে। যখন বিএনপি দেশজুড়ে রাজনৈতিক প্রতিহিংসা, দমন-পীড়ন ও মামলা-হামলার মুখে সংকটময় সময় পার করছিল—তখনও তিনি ছিলেন সংগঠনের পাশে, নেতাকর্মীদের ছায়াস্বরূপ।
দলের দুঃসময়ে যখন অনেকেই আড়ালে চলে যান কিংবা নিরব থাকেন, তখন গিয়াসউদ্দিন দিপেন জমদ্দার মাঠে-ময়দানে থেকে নেতাকর্মীদের সাহস যুগিয়েছেন, বিএনপির পতাকা তুলে ধরেছেন এবং রাজপথে থেকেছেন দলের স্বার্থে। হয়রানিমূলক মামলায় জর্জরিত থাকলেও তিনি দমে যাননি বরং নির্যাতনের প্রতিবাদে ঐক্যবদ্ধ সংগঠন গড়ে তুলেছেন।
বিভিন্ন সময় মেহেন্দিগঞ্জসহ আশপাশের এলাকায় বিএনপির রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড চালিয়ে যেতে গিয়ে তিনি বহুবার প্রশাসনিক বাধা, গ্রেফতারের হুমকি ও হামলার মুখেও পড়েছেন। কিন্তু কোনো কিছুকেই ভয় না পেয়ে নেতৃত্ব দিয়েছেন সততা ও সাহসিকতার সঙ্গে। তাঁর নেতৃত্বে বিএনপি মেহেন্দিগঞ্জে সুসংগঠিত, সক্রিয় এবং নিবেদিতপ্রাণ কর্মীদের দ্বারা সমৃদ্ধ হয়েছে।
তাঁর এই নিরলস সংগ্রাম ও অবিচল অবস্থানের কারণেই আজও মেহেন্দিগঞ্জ উপজেলা বিএনপির সংগঠনিক ভিত্তি অটুট রয়েছে। স্থানীয় বিএনপির অনেক নেতাকর্মী বলেন, “দলের দুঃসময়ে যখন নেতাকর্মীরা দিশেহারা, তখন দিপেন ভাই আমাদের একমাত্র ভরসা ছিলেন।”
জনাব দিপেন জমদ্দার মনে করেন, “আদর্শিক রাজনীতিতে বিশ্বাসী হয়ে কাজ করলে কোনো ষড়যন্ত্রই সফল হতে পারে না। সত্য ও ন্যায়ের পথেই দলকে এগিয়ে নিতে হবে, আর এজন্য ত্যাগ করতে হলেও আমি প্রস্তুত।”
বর্তমানে তার বিরুদ্ধে রাজনৈতিক প্রতিপক্ষের ষড়যন্ত্রমূলক মিথ্যা অভিযোগও এই জনপ্রিয়তাকে ঠেকাতে পারবে না বলেই নেতাকর্মীদের দৃঢ় বিশ্বাস।
