
ঢাকা প্রতিনিধি:
বাংলাদেশে সাংবাদিকদের উপর লাগাতার নির্যাতন, গুম ও হত্যাকাণ্ডের বিরুদ্ধে ক্ষোভে ফেটে পড়েছে সাংবাদিক সমাজ। এরই অংশ হিসেবে রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে শনিবার এক মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করে বাংলাদেশ সাংবাদিক লেখক ঐক্য ফোরাম। কর্মসূচিতে অংশ নেওয়া বক্তারা স্পষ্ট ভাষায় ঘোষণা দেন— সাংবাদিকদের উপর একের পর এক হামলা, হত্যা ও নিপীড়ন দেশের গণতন্ত্র, স্বাধীন সাংবাদিকতা ও মুক্ত চিন্তাকে ধ্বংস করার ষড়যন্ত্র।
মানববন্ধনে বক্তারা সাংবাদিক মোঃ আসাদুজ্জামান তুহিনকে নির্মমভাবে হত্যা এবং সাংবাদিক আনোয়ার হোসেনকে ইট দিয়ে থেতলে গুরুতর আহত করার ঘটনা উল্লেখ করে বলেন, এ ধরনের নৃশংস হামলা প্রমাণ করে, দেশে সাংবাদিকতা এখন রক্তক্ষয়ী যুদ্ধে টিকে থাকার সমান। সংবাদকর্মীরা প্রতিনিয়ত জীবনের ঝুঁকি নিয়ে কাজ করছেন, অথচ রাষ্ট্র তাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে ব্যর্থ।
তারা ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, হত্যাকারীরা যদি দ্রুত আইনের আওতায় না আসে, তবে এ দেশ গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র নয়—বরং ভয় ও সন্ত্রাসের কাছে আত্মসমর্পণ করেছে। বক্তারা হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেন, আসামিদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি না হলে সাংবাদিক সমাজ আরও কঠোর আন্দোলনে নামবে এবং তা সারা দেশে ছড়িয়ে পড়বে।
কর্মসূচিতে বক্তারা একযোগে সরকারের প্রতি আহ্বান জানান, সাংবাদিকদের উপর সব ধরনের নির্যাতন, গুম ও খুন বন্ধ করতে অবিলম্বে কার্যকর পদক্ষেপ নিতে হবে। তারা বলেন, গণমাধ্যমের কণ্ঠ রুদ্ধ করা মানেই জাতির কণ্ঠ রুদ্ধ করা। আর সেই কণ্ঠকে থামিয়ে দেওয়ার চক্রান্ত কোনোভাবেই সফল হতে দেওয়া হবে না।
বাংলাদেশ সাংবাদিক লেখক ঐক্য ফোরামের নেতারা আরও বলেন, সাংবাদিক সমাজ ঐক্যবদ্ধ হলে দেশের গণতন্ত্রকে রক্ষা করা সম্ভব হবে। তাই সাংবাদিকদের প্রতি সব আক্রমণ বন্ধ করতে এবং দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করতে সরকারকে অবিলম্বে পদক্ষেপ নিতে হবে।
মানববন্ধনে উপস্থিত বিভিন্ন পত্রিকা, টেলিভিশন ও অনলাইন নিউজ পোর্টালের সাংবাদিকরা এক কণ্ঠে শপথ নেন— ন্যায়বিচার না পাওয়া পর্যন্ত আন্দোলন অব্যাহত থাকবে।