
বাংলাদেশে নিষিদ্ধ দল হিসেবে পরিচিত বাংলাদেশের জামায়াতে ইসলামীর জন্য রাজনীতিতে ফিরে আসার একটি নতুন দিগন্ত খুলে গেল। সর্বোচ্চ আদালতের রায় অনুসরণ করে নির্বাচন কমিশন সম্প্রতি বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর নিবন্ধন বাতিল সংক্রান্ত পূর্বের সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার করে নিয়েছে।
বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশনের এক প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, Representation of the People Order, 1972 অনুযায়ী নিবন্ধন সংক্রান্ত ৯০বি অনুচ্ছেদের আওতায় ২০০৮ সালের ৪ নভেম্বর জামায়াতে ইসলামীর নিবন্ধন দেওয়া হয়। তবে ২০১৩ সালে হাইকোর্টের একটি রায়ে নিবন্ধনের বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন ওঠে এবং ২০১৮ সালের ২৮ অক্টোবর নির্বাচন কমিশন প্রজ্ঞাপন দিয়ে দলটির নিবন্ধন বাতিল করে।
পরে জামায়াতে ইসলামীর পক্ষ থেকে সুপ্রিম কোর্টে আপিল করা হলে, Civil Appeal No. 139 of 2013 with Civil Petition No. 3112 of 2013 মামলার শুনানিতে হাইকোর্টের পূর্বের রায় বাতিল করে সর্বোচ্চ আদালত। এরই পরিপ্রেক্ষিতে, নির্বাচন কমিশন ২৪ জুন ২০২৫ তারিখে পুনরায় জামায়াতে ইসলামীর নিবন্ধন বহাল রাখার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে।
নির্বাচন কমিশনের সিনিয়র সচিব আখতার হোসেন স্বাক্ষরিত প্রজ্ঞাপনে উল্লেখ করা হয়েছে, “আদালতের রায় অনুসারে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর নিবন্ধন পুনর্বহাল করা হলো এবং দলটির প্রতীকসহ সকল রাজনৈতিক অধিকার পুনরায় কার্যকর হলো।”
এই সিদ্ধান্তকে কেন্দ্র করে দেশের রাজনৈতিক অঙ্গনে শুরু হয়েছে নতুন আলোচনা। কেউ বলছেন, এটি একটি ঐতিহাসিক আইনি জয়, অন্যদিকে কেউ কেউ প্রশ্ন তুলছেন জামায়াতের অতীত ভূমিকা ও বিতর্কিত কর্মকাণ্ড নিয়ে।
বিশেষজ্ঞদের মতে, এই রায়ের ফলে জামায়াতে ইসলামীর সামনে নির্বাচনে অংশগ্রহণসহ রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড পরিচালনার পূর্ণ সুযোগ ফিরে এসেছে।