
ঢাকা প্রতিনিধি:
আতিকুর রহমান
রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনগুলো কেবলমাত্র রাজনৈতিক অঙ্গনেই সীমাবদ্ধ নয়; বরং তারা সমাজ ও সংস্কৃতির উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখে আসছে। এরই ধারাবাহিকতায় গতকাল মঙ্গলবার (৮ অক্টোবর) সন্ধ্যা ৬টায় কেরানীগঞ্জের আগানগরে ঢাকা জেলা জিয়া সাংস্কৃতিক সংগঠন (জিসাস)-এর সাধারণ সম্পাদক মামুন শেঠের নিজস্ব অফিসে অনুষ্ঠিত হয় একটি সৌজন্য সাক্ষাৎ। এতে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা মহানগর দক্ষিণ জিসাস-এর আহ্বায়ক কবির হোসেন দেওয়ান।
এই সৌজন্য সাক্ষাৎ ঘিরে সংগঠনের নেতাকর্মীদের মধ্যে উৎসাহ-উদ্দীপনা লক্ষ্য করা যায়। আলোচনা সভায় দুই নেতা সংগঠনের বর্তমান অবস্থা, ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা এবং সাংগঠনিক কার্যক্রম নিয়ে দীর্ঘ সময় মতবিনিময় করেন।
জিয়া সাংস্কৃতিক সংগঠন (জিসাস) প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে সাংস্কৃতিক আন্দোলনের মাধ্যমে জনগণের হৃদয়ে শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের আদর্শ পৌঁছে দেওয়ার কাজ করে যাচ্ছে। গান, কবিতা, আবৃত্তি, নাটকসহ বিভিন্ন সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে সংগঠনটি জাতীয় রাজনীতির একটি শক্তিশালী সাংগঠনিক সহায়ক হিসেবে কাজ করে। বিশেষ করে তরুণ প্রজন্মকে দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ করা এবং সামাজিক মূল্যবোধ জাগ্রত করার ক্ষেত্রেও সংগঠনের ভূমিকা অনস্বীকার্য।
এই প্রেক্ষাপটে জেলা এবং মহানগর পর্যায়ে সাংস্কৃতিক কর্মীদের ঐক্যবদ্ধ রাখা ও কার্যক্রমকে তৃণমূল পর্যায়ে ছড়িয়ে দেওয়া এখন সময়ের দাবি।
মামুন শেঠ এবং কবির হোসেন দেওয়ানের সৌজন্য সাক্ষাতে সাংগঠনিক কার্যক্রমের পাশাপাশি রাজনৈতিক পরিস্থিতিও আলোচনায় উঠে আসে। দুজনেই মনে করেন, সাংস্কৃতিক অঙ্গনে জিসাসকে আরও শক্তিশালী করতে হলে কর্মীদের ঐক্য, নিষ্ঠা ও ত্যাগ অপরিহার্য।
কবির হোসেন দেওয়ান এ সময় বলেন, “সাংস্কৃতিক অঙ্গন কেবল বিনোদনের জন্য নয়, বরং একটি জাতির আদর্শ ও চেতনা জাগ্রত করার অন্যতম হাতিয়ার। জিসাস যদি তার কার্যক্রমকে সঠিকভাবে পরিচালনা করতে পারে, তাহলে এটি জাতীয়তাবাদী আন্দোলনের জন্য এক বড় সহায়ক শক্তি হবে।”
অন্যদিকে মামুন শেঠ জানান, “ঢাকা জেলা ও মহানগর দক্ষিণের নেতাকর্মীরা ঐক্যবদ্ধভাবে সাংগঠনিক কার্যক্রম পরিচালনা করলে জিসাসের সাংস্কৃতিক জাগরণ আরও বেগবান হবে। আমরা কেবল সাংগঠনিক নয়, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক পরিবর্তনেও অবদান রাখতে চাই।”
সাক্ষাতকালে উভয় নেতা একমত হন যে, তরুণ প্রজন্মকে জিসাসের সাথে সম্পৃক্ত করতে হলে তাদের মাঝে দেশপ্রেম, নৈতিকতা এবং সাংস্কৃতিক চর্চার পরিবেশ তৈরি করতে হবে। এজন্য জেলা ও মহানগরের প্রতিটি ওয়ার্ড এবং ইউনিয়ন পর্যায়ে সাংস্কৃতিক কার্যক্রম ছড়িয়ে দেওয়ার পরিকল্পনা গ্রহণের কথা বলেন তারা।
এছাড়াও স্থানীয় পর্যায়ে সংগীতানুষ্ঠান, কবিতা আবৃত্তি প্রতিযোগিতা, নাট্যপ্রদর্শনী এবং মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক সাংস্কৃতিক কার্যক্রম আয়োজনের মাধ্যমে জনগণকে সম্পৃক্ত করার উদ্যোগ নেওয়া হবে বলেও তারা জানান।
মামুন শেঠ ও কবির হোসেন দেওয়ান সাংস্কৃতিক অঙ্গনে বিভাজন পরিহার করে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার প্রয়োজনীয়তার উপর গুরুত্ব আরোপ করেন। তাদের মতে, সংগঠনের ভেতরে যদি ঐক্য বজায় থাকে, তাহলে বাহ্যিক কোনো শক্তি কখনোই সাংস্কৃতিক আন্দোলনকেবাধাগ্রস্ত করতে পারবে না।

























