, মঙ্গলবার, ২২ জুলাই ২০২৫, ৬ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
কেরানীগঞ্জে পার্কিং করে রাখা একটি যাত্রীবাহী বাসে আগুন লাগিয়ে দিয়েছে: দুর্বৃত্তরা  জুলাই শহিদদের আত্মত্যাগ ও তাদের আকাঙ্খা বাস্তবায়নে জুলাই বিপ্লবকে বুকে ধারণ করতে হবে: বাবু গয়েশ্বর চন্দ্র রায়  জুলাই-আগস্ট বিপ্লবের শহীদদের স্মরণে মেহেন্দিগঞ্জে বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি পালন মানবিকতার ছায়াতলে নদীভাঙনপ্রবণ চরাঞ্চল: মেহেন্দিগঞ্জে প্রকল্প উদ্বোধন ও জনগণের পাশে অ্যাডভোকেট এম হেলাল উদ্দিন দক্ষিণ কেরানীগঞ্জে চাঁদাবাজ বিরোধী অভিযানে গ্রেফতার ৩ শেরে-ই-বাংলা সাংস্কৃতিক জোট এর উদ্যোগে অবিভক্ত বাংলার প্রধানমন্ত্রী শেরে বাংলা এ কে ফজলুলহক এর জীবনী শীর্ষক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত রাজপথের লড়াকু সৈনিক মোঃ হযরত আলী: দলের প্রতি অকুণ্ঠ ভালবাসা ও ত্যাগের এক অনন্য উদাহরণ দক্ষিণ কেরানীগঞ্জে পুলিশের অভিযানে ভূমিদস্যু ও চাঁদাবাজ গ্রেপ্তার: কেরাণীগঞ্জে পরিবহনে চাঁদাবাজির সময় গ্রেফতার ০৩ জন মানবিক পুলিশ সুপার এর মানবিকতায় নতুন জীবন পেল কিশোরী সামিয়া

দখলবাজ- চাঁদাবাজদের বিএনপি বরদাস্ত করে না: রিজভী 

  • প্রকাশের সময় : ০৫:১০ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৮ জুলাই ২০২৫
  • ৩৯ পড়া হয়েছে

 

আসিফ চৌধুরী, বিশেষ সংবাদদাতা ঢাকা :

 

দখলবাজ চাঁদাবাজদের স্থান বিএনপিতে হবে না বলে জানিয়েছেন দলটির সিনিয়র যুগ্ন মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। তিনি বলেছেন, বিএনপি একটি বৃহৎ রাজনৈতিক সংগঠন। বহুদলীয় গণতন্ত্র ও স্বাধীনতা- সার্বভৌমত্ব সুরক্ষার মূলমন্ত্র বুকে ধারণ এই দলের সব পর্যায়ের নেতাকর্মীরা। গণতন্ত্রের মূলনীতিকে ঊর্ধ্বে তুলে ধরেই শত প্রতিকূলতা ও ঝড়- ঝাপটা অতিক্রম করে রাজনৈতিক কার্যক্রম চালিয়ে এসেছে। সমাজবিরোধী কোনো ব্যক্তি, দখলবাজ, চাঁদাবাজদের স্থান এই দল বরদাস্ত করে না।রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপি’র কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে মঙ্গলবার দুপুরে এক সংবাদ সম্মেলনে রিজভী এসব কথা বলেন। তিনি বলেন বিএনপি জন্মলগ্ন থেকেই গণতান্ত্রিক সংবিধান ও সুশাসনের জন্য আইনি ও প্রাতিষ্ঠানিক কাঠামো নির্মাণ করার মাধ্যমে ন্যায়বিচার নিশ্চিত করা এবং এর জন্য নির্বিচ্ছিন্ন সংগ্রাম করে এসেছে।

 

বিএনপি যতবারই ক্ষমতায় এসেছে ততবারই উল্লেখিত বিষয়গুলোকে অগ্রাধিকার দিয়েছে। জাতীয়তাবাদী শক্তির সমবেত ধনীই হচ্ছে সুশাসন ও ন্যায়বিচার নিশ্চিত করা।

 

রুহুল কবির রিজভী বলেন,বর্তমান সময়ে নানাবিধ সামাজিক অপরাধের বিভিন্ন মাএার প্রকাশ দেখা যাচ্ছে। প্রশাসনিক স্থবিরতার কারণে ‘মব কালচার’ এর প্রকোপ বৃদ্ধি পাচ্ছে। অবৈধ কালো টাকা এবং গোপন অপতৎপরতা প্রভাবে ‘মব কালচার’ এর নামে সমাজে বিশৃংখলার চেষ্টা চলছে । শেখ হাসিনার আমলে অদ্ভুত উন্নয়নের বয়ানের মতো এখন নির্বাচন পেছানো নিয়ে নানা ধরনের বয়ান দেওয়া হচ্ছে।তিনি বলেন বিএনপির নাম ভাঙ্গিয়ে যারা অপকর্মের সঙ্গে জড়িত তাদের বিরুদ্ধে তাৎক্ষণিকভাবে দল থেকে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। দলের ভেতরে থেকে অপকর্মের সঙ্গে তাকে কোনভাবেই ছাড় দেওয়া হচ্ছে না। ইতিমধ্যে বেশ কিছু নেতাকর্মীকে বহিষ্কার, অব্যাহতি প্রদান, পদ স্থগিত, কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হয়েছে। আমরা লক্ষ্য করেছি দলের পক্ষ থেকে এহেন চলমান সাংগঠনিক ব্যবস্থার বিষয়ে গনমাধ্যমে খুব একটা উল্লেখ করা হয়নি।দলের পক্ষ থেকে বারবার অপরাধী ও বিশৃঙ্খলাকারীদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নিতে বলা হলেও প্রশাসন নির্বিকার থাকছে। দুষ্কৃতিকারীদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য দল থেকে প্রশাসনের সাথে যোগাযোগ করা হলেও প্রশাসন কোনো সহযোগিতা করছে না। অন্তবর্তী কালীন সরকার ক্ষমতাসীন হওয়ার পর থেকে এখন পর্যন্ত পুলিশ প্রশাসন খুব একটা সক্রিয় হয়নি। বরং কোনো কোনো ক্ষেত্রে কেউ কেউ উদ্দেশ্যপ্রণোদিত কলকাঠি নাড়ছেন বলে স্পষ্টত:প্রতীয়মান হয়।

 

এরকম পরিস্থিতি চলতে থাকলে সমাজ- সংস্কৃতি, সভ্য আচরণ বিপন্ন হয়ে পড়বে। প্রশাসনিক এই নিষ্ক্রিয়তার কারণে জনগণের এখন জীবনমরনের প্রশ্ন। গণতন্ত্রের স্থায়ী পুনরুজজীবন ও ঐতিহাসিক সার্থকতা নির্ভর করছে রাষ্ট্র ও সমাজের শান্তি ও স্থিতির ওপর আর এক্ষেত্রে দক্ষ প্রশাসন অতীত জরুরি। কিন্তু আওয়ামী আমলের কালো টাকা ও তাদের দোসরদের আন্ডার গ্রাউন্ড তৎপরতার কারনে দুষ্কৃতিকারীরা আশকারা পাচ্ছে এবং সমাজে নৈরাজ্য তৈরির সম্ভাবনা সৃষ্টির আলামত দেখা যাচ্ছে।

 

জনপ্রিয়

কেরানীগঞ্জে পার্কিং করে রাখা একটি যাত্রীবাহী বাসে আগুন লাগিয়ে দিয়েছে: দুর্বৃত্তরা 

দখলবাজ- চাঁদাবাজদের বিএনপি বরদাস্ত করে না: রিজভী 

প্রকাশের সময় : ০৫:১০ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৮ জুলাই ২০২৫

 

আসিফ চৌধুরী, বিশেষ সংবাদদাতা ঢাকা :

 

দখলবাজ চাঁদাবাজদের স্থান বিএনপিতে হবে না বলে জানিয়েছেন দলটির সিনিয়র যুগ্ন মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। তিনি বলেছেন, বিএনপি একটি বৃহৎ রাজনৈতিক সংগঠন। বহুদলীয় গণতন্ত্র ও স্বাধীনতা- সার্বভৌমত্ব সুরক্ষার মূলমন্ত্র বুকে ধারণ এই দলের সব পর্যায়ের নেতাকর্মীরা। গণতন্ত্রের মূলনীতিকে ঊর্ধ্বে তুলে ধরেই শত প্রতিকূলতা ও ঝড়- ঝাপটা অতিক্রম করে রাজনৈতিক কার্যক্রম চালিয়ে এসেছে। সমাজবিরোধী কোনো ব্যক্তি, দখলবাজ, চাঁদাবাজদের স্থান এই দল বরদাস্ত করে না।রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপি’র কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে মঙ্গলবার দুপুরে এক সংবাদ সম্মেলনে রিজভী এসব কথা বলেন। তিনি বলেন বিএনপি জন্মলগ্ন থেকেই গণতান্ত্রিক সংবিধান ও সুশাসনের জন্য আইনি ও প্রাতিষ্ঠানিক কাঠামো নির্মাণ করার মাধ্যমে ন্যায়বিচার নিশ্চিত করা এবং এর জন্য নির্বিচ্ছিন্ন সংগ্রাম করে এসেছে।

 

বিএনপি যতবারই ক্ষমতায় এসেছে ততবারই উল্লেখিত বিষয়গুলোকে অগ্রাধিকার দিয়েছে। জাতীয়তাবাদী শক্তির সমবেত ধনীই হচ্ছে সুশাসন ও ন্যায়বিচার নিশ্চিত করা।

 

রুহুল কবির রিজভী বলেন,বর্তমান সময়ে নানাবিধ সামাজিক অপরাধের বিভিন্ন মাএার প্রকাশ দেখা যাচ্ছে। প্রশাসনিক স্থবিরতার কারণে ‘মব কালচার’ এর প্রকোপ বৃদ্ধি পাচ্ছে। অবৈধ কালো টাকা এবং গোপন অপতৎপরতা প্রভাবে ‘মব কালচার’ এর নামে সমাজে বিশৃংখলার চেষ্টা চলছে । শেখ হাসিনার আমলে অদ্ভুত উন্নয়নের বয়ানের মতো এখন নির্বাচন পেছানো নিয়ে নানা ধরনের বয়ান দেওয়া হচ্ছে।তিনি বলেন বিএনপির নাম ভাঙ্গিয়ে যারা অপকর্মের সঙ্গে জড়িত তাদের বিরুদ্ধে তাৎক্ষণিকভাবে দল থেকে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। দলের ভেতরে থেকে অপকর্মের সঙ্গে তাকে কোনভাবেই ছাড় দেওয়া হচ্ছে না। ইতিমধ্যে বেশ কিছু নেতাকর্মীকে বহিষ্কার, অব্যাহতি প্রদান, পদ স্থগিত, কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হয়েছে। আমরা লক্ষ্য করেছি দলের পক্ষ থেকে এহেন চলমান সাংগঠনিক ব্যবস্থার বিষয়ে গনমাধ্যমে খুব একটা উল্লেখ করা হয়নি।দলের পক্ষ থেকে বারবার অপরাধী ও বিশৃঙ্খলাকারীদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নিতে বলা হলেও প্রশাসন নির্বিকার থাকছে। দুষ্কৃতিকারীদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য দল থেকে প্রশাসনের সাথে যোগাযোগ করা হলেও প্রশাসন কোনো সহযোগিতা করছে না। অন্তবর্তী কালীন সরকার ক্ষমতাসীন হওয়ার পর থেকে এখন পর্যন্ত পুলিশ প্রশাসন খুব একটা সক্রিয় হয়নি। বরং কোনো কোনো ক্ষেত্রে কেউ কেউ উদ্দেশ্যপ্রণোদিত কলকাঠি নাড়ছেন বলে স্পষ্টত:প্রতীয়মান হয়।

 

এরকম পরিস্থিতি চলতে থাকলে সমাজ- সংস্কৃতি, সভ্য আচরণ বিপন্ন হয়ে পড়বে। প্রশাসনিক এই নিষ্ক্রিয়তার কারণে জনগণের এখন জীবনমরনের প্রশ্ন। গণতন্ত্রের স্থায়ী পুনরুজজীবন ও ঐতিহাসিক সার্থকতা নির্ভর করছে রাষ্ট্র ও সমাজের শান্তি ও স্থিতির ওপর আর এক্ষেত্রে দক্ষ প্রশাসন অতীত জরুরি। কিন্তু আওয়ামী আমলের কালো টাকা ও তাদের দোসরদের আন্ডার গ্রাউন্ড তৎপরতার কারনে দুষ্কৃতিকারীরা আশকারা পাচ্ছে এবং সমাজে নৈরাজ্য তৈরির সম্ভাবনা সৃষ্টির আলামত দেখা যাচ্ছে।