বরিশাল-৪ (মেহেন্দিগঞ্জ-হিজলা) আসনের নদীভাঙন কবলিত এলাকাগুলোর মানুষের দীর্ঘদিনের বঞ্চনা আর অবহেলার চিত্র বদলে দিতে এবার মাঠে সরব হয়েছেন মানবিক নেতা এডভোকেট এম হেলাল উদ্দিন।
২৮ জুন রোজ শুক্রবার নদীভাঙন রোধে জনগণকে সঙ্গে নিয়ে সচেতনতা বাড়াতে এবং কার্যকর পদক্ষেপ নিতে তিনি একদিনে অংশ নেন একাধিক মানববন্ধন ও মতবিনিময় কর্মসূচিতে। তার এই উদ্যোগ ইতিমধ্যেই স্থানীয়দের মনে নতুন করে আশা জাগিয়েছে।
মেহেন্দিগঞ্জ উপজেলার আন্ধারমানিক ইউনিয়নের ২ নম্বর ওয়ার্ডে নদী ভাঙনের কারণে বছরের পর বছর ধরে শতাধিক পরিবার গৃহহীন হয়ে পড়েছে। এই প্রেক্ষাপটে এলাকাবাসীর সঙ্গে একাত্মতা প্রকাশ করে সেখানে আয়োজিত মানববন্ধনে অংশ নেন এডভোকেট হেলাল উদ্দিন।
তিনি বলেন,
হিজলা উপজেলার মেমনিয়া চিড়াখোলা এলাকায় অবস্থিত একটি মহিলা মাদ্রাসা পরিদর্শন করেন এডভোকেট হেলাল উদ্দিন। সেখানে তিনি শিক্ষার্থীদের খোঁজখবর নেন এবং দুপুরের তবারকে অংশগ্রহণ করেন।
স্থানীয়রা জানান, এটি ছিল কোনো রাজনৈতিক কর্মসূচি নয় বরং একজন সমাজকর্মীর আন্তরিক আগ্রহ থেকে আসা একটি মানবিক সফর। শিক্ষকদের সঙ্গে আলাপচারিতায় তিনি বলেন,
নারী শিক্ষা এগিয়ে না গেলে সমাজ এগোবে না। আমি এই মাদ্রাসার উন্নয়নে পাশে থাকার আশ্বাস দিচ্ছি।”
পরবর্তী গন্তব্য ছিল হরিনাথপুর ইউনিয়নের চর আবুপুর এলাকা, যেখানে নদীভাঙনের ভয়াবহতা এখন চরমে। এডভোকেট হেলাল উদ্দিন এখানে এক মতবিনিময় সভা ও মানববন্ধনে অংশ নেন। স্থানীয়দের আহ্বানে সাড়া দিয়ে তিনি বলেন,
সরকার যদি ব্যর্থ হয়, তাহলে আমরা জনগণ একসঙ্গে ঘুরে দাঁড়াব। টেকসই নদী শাসনের জন্য আমি জাতীয় পর্যায়ে দরকার হলে আন্দোলন করব।”
এসময় নদী শাসন, প্রতিরক্ষা বাঁধ ও নদী ভাঙনপ্রবণ এলাকাগুলোর জরুরি তালিকা প্রণয়ন নিয়ে উপস্থিত জনগণের সঙ্গে বিশদ আলোচনা হয়।
একদিনে তিনটি ভিন্ন কর্মসূচিতে সরাসরি উপস্থিতি প্রমাণ করে দেয়, এডভোকেট হেলাল উদ্দিন কেবল কথার নেতা নন—তিনি মাঠের মানুষ, মানুষের প্রতিনিধি। তাঁর এই আন্তরিকতা এবং কর্মতৎপরতা রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটের বাইরে গিয়ে মানবিকতা ও দায়িত্বশীলতার অনন্য উদাহরণ।
বরিশাল-৪ আসনের নদীভাঙনে ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের কাছে এডভোকেট এম হেলাল উদ্দিন এখন আশার প্রতীক। সচেতনতা, পরিকল্পনা এবং প্রতিশ্রুতির মিশেলে তিনি যেমন জনগণের হৃদয় জয় করছেন, তেমনি ভবিষ্যতের জন্য গড়ছেন একটি টেকসই আন্দোলনের ভিত্তি।