মোঃ আতিকুর রহমান
লেখক ও মানবাধিকার কর্মী:-
জাতির ক্রান্তিকালে কিছু মানুষ তাঁদের ব্যক্তিস্বার্থকে পেছনে ফেলে, সংগঠনের আদর্শকে সামনে রেখে দেশ ও দলের জন্য কাজ করে যান নীরবে, নিরলসভাবে। তেমনই একজন নির্ভীক সংগঠক, ত্যাগী রাজনীতিক ও আদর্শিক যোদ্ধার নাম—মোঃ সফিউদ্দিন সিকদার। বর্তমানে তিনি বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী স্বেচ্ছাসেবক দলের কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।
সফিউদ্দিন সিকদার এমন একজন নেতা, যিনি দায়িত্বকে কর্তব্য হিসেবে নয়, বরং দেশের জন্য এক মিশন হিসেবে গ্রহণ করেছেন। নিপীড়িত গণমানুষের কণ্ঠস্বর হিসেবে তিনি জাতীয়তাবাদী আন্দোলনের প্রতিটি আন্দোলন-সংগ্রামে সামনে থেকে নেতৃত্ব দিয়েছেন, নির্যাতনের মুখেও পিছপা হননি।
তাঁর রাজনীতির মূলমন্ত্র—ত্যাগ, আদর্শ এবং নিবেদন। নেতৃত্ব মানে কেবল নির্দেশ দেওয়া নয়, বরং মাঠে নেমে সামনে থেকে নেতৃত্ব দেওয়া—এই দর্শনেরই প্রতিচ্ছবি তিনি। দলের দুঃসময়ে রাজপথে তাঁর সাহসী অবস্থান, সংগঠনের প্রতিটি স্তরে আন্তরিক উপস্থিতি, এবং তরুণদের অনুপ্রাণিত করার মতো নেতৃত্ব তাঁকে অন্যদের থেকে আলাদা করেছে।
গত ১৭ বছর ধরে তিনি বাংলাদেশের গণতন্ত্র ও জাতীয়তাবাদী রাজনীতির স্বার্থে ফ্যাসিবাদী শাসনের বিরুদ্ধে দুর্বার আন্দোলনে নেতৃত্ব দিয়েছেন। এই দীর্ঘ সময়জুড়ে তিনি শুধু রাজনৈতিক সংগ্রামে সক্রিয় ছিলেন না, বরং রাজনৈতিক নির্যাতন, গ্রেফতার, হামলা-মামলা, কারাবরণ—সবকিছু দৃপ্ত চিত্তে মোকাবিলা করেছেন।
২০০৭-এর সেনাসমর্থিত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময় থেকে শুরু করে বর্তমান শাসনামলে গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠার আন্দোলনে তার ভূমিকা ছিল সাহসী ও স্পষ্ট। অনেক সময় গ্রেফতার এড়াতে আত্মগোপনে থেকেছেন, আবার অনেক সময় গ্রেফতার হয়ে নির্যাতনের শিকার হয়েছেন, কিন্তু কোনো পরিস্থিতিই তাকে দমাতে পারেনি।
ঢাকা শহরের রাজপথে প্রতিটি কেন্দ্রীয় কর্মসূচিতে দৃশ্যমান উপস্থিতি, থানা-ওয়ার্ড ইউনিটের কর্মসূচির অংশগ্রহণ, এবং সংগঠনের বিভিন্ন স্তরে নেতৃত্বের দৃপ্ত দৃষ্টান্ত রেখে তিনি একজন রাজপথের নেতায় রূপান্তরিত হয়েছেন, যিনি শুধু বক্তব্যে নয়, কর্মে বিশ্বাসী।
সফিউদ্দিন সিকদার সেই সব নেতার প্রতিনিধি, যারা সাহস, ত্যাগ ও আদর্শের ওপর ভর করে ইতিহাস গড়ে। ২০১৪ ও ২০১৮ সালের নির্বাচনী প্রহসনের সময় তিনি গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠার আন্দোলনে সক্রিয় ছিলেন। বিভিন্ন সময়ের হরতাল, অবরোধ, প্রতিবাদ সমাবেশ—সব জায়গায় তিনি নিজেকে অগ্রণী ভূমিকায় উপস্থাপন করেছেন।
রাজনৈতিক জীবনের শুরু থেকেই তিনি একেকটি গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করে নেতৃত্বের প্রতিভা ও দক্ষতার প্রমাণ রেখেছেন।
তিনি ছিলেন—সাবেক:
সিনিয়র সহ-সভাপতি ও সভাপতি—৮১ নং ওয়ার্ড (বর্তমানে ৪৫ নং ওয়ার্ড) ছাত্রদল,সাংগঠনিক সম্পাদক—বৃহত্তর সূত্রাপুর থানা ছাত্রদল,সদস্য—আহ্বায়ক কমিটি, বৃহত্তর ঢাকা মহানগর দক্ষিণ ছাত্রদল,প্রতিষ্ঠাতা আহ্বায়ক ও সভাপতি—গেন্ডারিয়া থানা ছাত্রদল,সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক—ছাত্রদল কেন্দ্রীয় সংসদ,আহ্বায়ক—গেন্ডারিয়া থানা স্বেচ্ছাসেবক দল,সহ-সভাপতি—স্বেচ্ছাসেবক দল ঢাকা মহানগর দক্ষিণ।
এই দায়িত্বগুলো কেবল তাঁর পদমর্যাদার বহর নয়, বরং প্রতিটি স্তরে তাঁর নেতৃত্বের পরিপক্বতা, সাংগঠনিক দক্ষতা এবং জনগণের সঙ্গে নিবিড় সম্পর্কের সাক্ষ্য বহন করে।
সংগঠনের অভ্যন্তরীণ শৃঙ্খলা, আদর্শচর্চা এবং মানবিক নেতৃত্ব প্রতিষ্ঠায় তাঁর অবদান অনস্বীকার্য। তরুণ প্রজন্মের রাজনৈতিক চেতনা বিকাশে তিনি যে ভূমিকা রেখে চলেছেন, তা আগামী দিনের নেতৃত্ব তৈরিতে গুরুত্বপূর্ণ ভিত্তি হিসেবে কাজ করবে।
তিনি শুধু সংগঠনের শীর্ষ নেতাদের নয়, বরং মাঠপর্যায়ের কর্মীদের সঙ্গেও গভীর সংযোগ বজায় রাখেন। নেতাকর্মীদের কাছে তিনি একজন আস্থার প্রতীক; একজন বড় ভাই, যিনি দুঃসময়ে পাশে থাকেন, এবং প্রয়োজনের সময় প্রথম সারিতে থাকেন।
সফিউদ্দিন সিকদারের রাজনৈতিক পথচলা কেবল পদমর্যাদার সীমায় আবদ্ধ নয়—তা একটি জীবনদর্শন। তাঁর নেতৃত্ব, সততা এবং আদর্শিক অবস্থান ভবিষ্যতের জাতীয়তাবাদী রাজনীতির জন্য এক উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত।
এমন নেতারাই ইতিহাস সৃষ্টি করেন। সাধারণ জনগণ বিশ্বাস করে, সফিউদ্দিন সিকদার ভবিষ্যতে আরও বৃহত্তর দায়িত্বে অভিষিক্ত হবেন এবং
তাঁর নেতৃত্ব দেশের রাজনৈতিক ইতিহাসে স্মরণীয় হয়ে থাকবে।