সেলিম সরকার ঢাকাঃ
প্রবাসীর আত্মসাৎকৃত টাকা ফিরে পেতে ও মিথ্যা মামলার প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন করেছেন ভুক্তভোগী পরিবার। বৃহস্পতিবার দুপুরে বাংলাদেশ ক্রাইম রিপোর্টার্স এসোসিয়েশন (ক্র্যাব) সেগুনবাগিচা ঢাকা ১০০০ এর হলরুম এ সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। সংবাদ সম্মেলনে ভুক্তভোগী আজম (৫০) এর পক্ষে তার ভাতিজা মোঃ আজিজুল ফকির (৪৭), পিতা- মোঃ রবি উল্লাহ ফকির, মাতা- মোসাঃ আম্বিয়া খাতুন, সাং- পশ্চিম রসুলপুর, ডাকঘর- আশ্রাফাবাদ, থানা- কামরাঙ্গীর চর ঢাকা।
সংবাদ সম্মেলনে আজিজুল ফকির লিখিত বক্তব্যে বলেন, আমার চাচা আজম মালাইশিয়া প্রবাসী সেখানে দীর্ঘ ২৫ বছর যাবত সুনামের সহিত ব্যবসা পরিচালনা করে আসছেন।"উক্ত ব্যবসা প্রতিষ্ঠান চাকুরী'রত অবস্থায় মোঃ সোহাগ (৩০), পিতা- আব্দুল সাত্তার শেখ, মাতা'জয়নব বেগম সাং- কালিন্দী খেলার মাঠ,কেরাণীগঞ্জ মডেল, থানা ঢাকা।
তিনি আমার চাচা আজমের প্রতিষ্ঠান জাজিৱা (এম) এস ডি এন বি এইচ ডি তে ১০ বছর যাবৎ সেলসম্যান হিসেবে কাজ করেন। এরই সুযোগে তিনি দুই কোটি পাঁচ লক্ষ টাকা আত্মসাৎ করে পালিয়ে আসে"পরবর্তীযে স্থানীয় সালিশ বৈঠকের মাধ্যমে নিজের ভুল স্বীকার করে সোহাগের মা ৩২ লক্ষ টাকা পরিশোধ করেন। সোহাগের মায়ের স্বীকারোক্তি সংরক্ষিত রয়েছে। বাদবাকি টাকা দেওয়ার প্রতিশ্রুতি করলেও তা না দিয়ে তালবাহানা শুরু করে। একপর্যায়ে টাকা দিতে অস্বীকৃতি জানায়।
আমরা যখন এলাকাবাসীর মাধ্যমে টাকা উদ্ধারের চাপ সৃষ্টি করি"ঠিক তখনই"সোহাগের পরিবার-আমার চাচা সহ আমার পরিবারের সকলের নামে উল্টো বিভিন্ন মিডিয়ায় অপপ্রচার চালায়। সম্প্রতি কেরানীগঞ্জ মডেল থানায় মিথ্যা একটি মামলা ও দায়ের করেন সোহাগের মা জয়নব বেগম।
উক্ত বিষয়ে, কেরানীগঞ্জ মডেল থানায় অভিযোগ" আইনি সহায়তা চেয়ে হিউম্যান রাইটস রিভিউ সোসাইটি, (মানবাধিকার) এ একটি লিখিত অভিযোগ করি চেয়ারম্যান বরাবর ) এবং মালয়েশিয়া সংশ্লিষ্ট থানায় তিনটি মামলা হয়েছে, এবং ব্যাংক স্টেটমেন্ট, একাধিক অনলাইন মিডিয়ায় নিউজ প্রকাশিত কপি সংযুক্ত রয়েছে।
ভুক্তভোগী পরিবার ও স্থানীয়দের দাবি, অবিলম্বে এই ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত এবং অপরাধীদের আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্ত মূলক শাস্তির দাবি ও জানাচ্ছি। পাশাপাশি আত্মসাৎকৃত টাকা ফিরে পেতে সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করি।