নিজস্ব প্রতিনিধি ঃ মোঃ আনোয়ার হোসেন।
ঢাকা, শনিবার, ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫:
প্রাথমিক তদন্তে সত্যতা প্রমাণিত না হলে সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে কোনো মামলা গ্রহণ করা উচিত নয় বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ মফস্বল সাংবাদিক ফোরাম (বিএমএসএফ)-এর ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারম্যান আহমেদ আবু জাফর।
শনিবার গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে তিনি বলেন, কোনো ধরনের পুলিশি তদন্ত ছাড়াই একজন পেশাদার সাংবাদিকের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা গণমাধ্যমের স্বাধীনতার ওপর সরাসরি হস্তক্ষেপ। এটি চূড়ান্তভাবে উদ্দেশ্যপ্রণোদিত।
তিনি অভিযোগ করেন, ২০২৩ সালে বিএনপির অঙ্গসংগঠনের একটি রাজনৈতিক অফিস ভাঙচুরের ঘটনায় ২০২৫ সালে মামলা দায়ের করা হয়েছে এবং তাতে সাংবাদিকসহ কয়েকজন ঠিকাদারকেও আসামি করা হয়েছে। এ ধরনের পদক্ষেপকে তিনি সাংবাদিকদের স্বাধীন ও পেশাদারী কাজের পথে বড় বাধা বলে আখ্যায়িত করেন।
বিবৃতিতে তিনি আরও বলেন, দেশের বিভিন্ন জেলা-উপজেলায় একের পর এক মিথ্যা, অযাচিত ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত মামলায় সাংবাদিকরা অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে।
সম্প্রতি সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে দায়ের হওয়া একাধিক মামলার উদাহরণ তুলে ধরে তিনি বলেন
পাবনায় সাংবাদিক মোবারক বিশ্বাসকে ছয় মাস কারাভোগের পর মুক্তির প্রাক্কালে ফের আটক করা,
ময়মনসিংহের ভালুকায় বিএমএসএফের সাধারণ সম্পাদক শফিকুল ইসলাম সবুজসহ চার সাংবাদিকের বিরুদ্ধে বন বিভাগের মামলা,
নয়াদিগন্তের গাজীপুর প্রতিনিধি মুজাহিদের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা,
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় বাখরাবাদ গ্যাস কোম্পানির দায়ের করা মামলা—
এসবই সাংবাদিকতার স্বাধীনতা ও পেশাদারিত্বের জন্য সরাসরি হুমকি।
এছাড়া সাংবাদিকদের ওপর হামলা-মামলার পরিসংখ্যান তুলে ধরে তিনি জানান, রাজধানীর খিলক্ষেতে চাঁদাবাজির সংবাদ প্রকাশের জেরে সাংবাদিক কামরুল হাসান ও তার স্ত্রীকে মারধর করা হয়েছে। গত শুক্রবার যাত্রাবাড়ীতে তথ্য সংগ্রহে গেলে নারী সাংবাদিক রুমাসহ তিনজন হামলার শিকার হয়ে আহত ও শ্লীলতাহানির শিকার হয়েছেন। গাজীপুরের কালীগঞ্জেও এক সাংবাদিককে নৃশংসভাবে পিটিয়ে আহত করা হয়।
আহমেদ আবু জাফর বলেন, সাংবাদিকদের হয়রানি ও নির্যাতনের মাধ্যমে গণমাধ্যমের কণ্ঠরোধ করা যাবে না। পুলিশকে আরও আন্তরিক ও দায়িত্বশীল ভূমিকা রাখতে হবে।