
নিজস্ব প্রতিবেদক:
২৩/০৬/২০২৫
বরিশাল-৪ (মেহেন্দিগঞ্জ-হিজলা) আসনের বিভিন্ন এলাকায় একের পর এক গণসংযোগ ও মতবিনিময় সভা করে চলেছেন বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) প্রবীণ আইনজীবী ও সমাজকর্মী এডভোকেট এম হেলাল উদ্দিন। নির্বাচনী মাঠে তাঁর সরব উপস্থিতি, তৃণমূল পর্যায়ের মানুষের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ যোগাযোগ এবং জনসাধারণের মৌলিক সমস্যা নিয়ে তাঁর দিকনির্দেশনামূলক বক্তব্য—সব মিলিয়ে নতুন আশার বাতিঘর হয়ে উঠেছেন তিনি।
নদীভাঙন: এলাকার সবচেয়ে ভয়াবহ সমস্যা
মেহেন্দিগঞ্জ ও হিজলা উপজেলার মানুষের জন্য সবচেয়ে বড় ও পুরনো সমস্যা নদীভাঙন। প্রতিবছর পদ্মা ও মেঘনা নদীর করাল গ্রাসে ভিটেমাটি, ফসলি জমি ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান হারিয়ে নিঃস্ব হচ্ছে হাজারো পরিবার। কিন্তু বিগত সরকারগুলোর অবহেলার কারণে সমস্যার স্থায়ী সমাধান আজও হয়নি।
এডভোকেট হেলাল উদ্দিনের প্রতিশ্রুতি:
গণসংযোগকালে নদীভাঙন কবলিত এলাকাগুলো সরেজমিনে পরিদর্শন করে এডভোকেট এম হেলাল উদ্দিন বলেন:
নদীভাঙন কেবল একটি প্রাকৃতিক দুর্যোগ নয়—এটি এখন বরিশাল-৪ আসনের মানুষের জীবিকা, নিরাপত্তা ও ভবিষ্যতের সঙ্গে জড়িত জাতীয় সংকট। আমি নির্বাচিত হলে জাতীয় সংসদে এ সমস্যা নিয়ে জোরালোভাবে কথা বলব এবং জরুরি প্রকল্প নিয়ে আসব।”
তিনি আরও বলেন:
সুন্দর পরিকল্পনায় বাঁধ নির্মাণ, নদী শাসন ও তীর সংরক্ষণ প্রকল্প গ্রহণ করে দীর্ঘমেয়াদি সমাধান আনতে হবে। আমি প্রয়োজনে আন্তর্জাতিক সাহায্য সংস্থার সঙ্গেও যোগাযোগ করব, যাতে নদীভাঙন রোধে উন্নত প্রযুক্তি ব্যবহার করা যায়।”
মতবিনিময় সভার মূল আলোচনা:
প্রতিটি মতবিনিময় সভায় স্থানীয় বাসিন্দারা কৃষি, স্বাস্থ্য, শিক্ষার অবস্থা, নদীভাঙন, কর্মসংস্থানসহ বিভিন্ন বিষয় নিয়ে খোলামেলা মতামত দেন। এডভোকেট হেলাল উদ্দিন এসব সমস্যা গুরুত্বের সঙ্গে শোনেন এবং বলেন:
রাজনীতি আমার কাছে ক্ষমতা অর্জনের মাধ্যম নয়—মানুষের দুঃখ দূর করার হাতিয়ার। আমি আপনাদের সঙ্গে ছিলাম, আছি এবং থাকব।”
ভালো কিছুর আশায়!
মেহেন্দিগন্জ এর সাধারণ জনগণ কে একটু ধৈয্য ধারনের এবং ঐক্যবদ্ধ থাকার আহবান জানালেন এই মানবিক নেতা এডভোকেট এম হেলাল উদ্দিন।
মানুষের আশাবাদ:
গণসংযোগে অংশ নেওয়া একজন প্রবীণ স্থানীয় বাসিন্দা বলেন:
হেলাল সাহেব আগে থেকেই মানুষের পাশে ছিলেন। উনি এমপি হলে নদীভাঙনের সমাধান আমরা পাব, এই বিশ্বাস এখন সবার মনে। উনি একজন শিক্ষিত, সাহসী, মানবিক নেতা।
এডভোকেট এম হেলাল উদ্দিনের নেতৃত্বে বরিশাল-৪ আসনে আজ যে গণজোয়ার দেখা যাচ্ছে, তা শুধু একটি রাজনৈতিক সমাবেশ নয়—এটি সাধারণ মানুষের আশা-আকাঙ্ক্ষার প্রতিফলন। আর নদীভাঙন রোধে তাঁর সুস্পষ্ট ও বাস্তবভিত্তিক পরিকল্পনা তাঁকে একটি ভিন্নমাত্রার নেতা হিসেবে তুলে ধরছে।