
মোঃ আতিকুর রহমান
সাংবাদিক,সংগঠক ও মানবাধিকার কর্মী:
বরিশাল-৪ আসন (মেহেন্দিগঞ্জ ও হিজলা) ঘিরে রাজনৈতিক অঙ্গনে জমে উঠেছে আলোচনা। আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে জনগণের মাঝে একটি বড় প্রশ্ন ঘুরপাক খাচ্ছে—“কে হবেন এই অঞ্চলের যোগ্য জনপ্রতিনিধি?” দীর্ঘদিন ধরে অবহেলিত এই নদীবিধৌত অঞ্চলের মানুষের প্রত্যাশা, এবার যেন এমন একজন নেতা নির্বাচিত হন যিনি হবেন জনদুর্ভোগ লাঘবে আন্তরিক, পরিচ্ছন্ন ও নিবেদিতপ্রাণ।
এই আসনে যাদের নাম উঠে আসছে সম্ভাব্য প্রার্থী হিসেবে, তারা হলেন:-
🔹 রাজীব আহসান – স্বেচ্ছাসেবক দলের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক ও বিএনপি নির্বাহী কমিটির সদস্য।
🔹 মেজবাহ উদ্দিন ফরহাদ – সাবেক সংসদ সদস্য ও প্রবীণ নেতা।
🔹 এডভোকেট এম. হেলাল উদ্দিন – সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল ও বিএনপির রাজপথের সক্রিয় নেতা ও জিয়াউর রহমান ফাউন্ডেশনের আজীবন সদস্য।
🔹 খালেক হাওলাদার – জনপ্রিয়তা থাকা মাঠের যুবদল নেতা। আন্দোলন সংগ্রামে সক্রিয় এই নেতা মাঠের পরিচিত মুখ।
রাজীব আহসান: তরুণদের পছন্দের মুখ ও সাহসী:-
রাজনীতিতে রাজীব আহসানের নাম বরিশাল ৪-এ তরুণদের মুখে মুখে। কেন্দ্রীয় পর্যায়ে তাঁর বলিষ্ঠ ভূমিকা, সংগঠন পরিচালনায় দক্ষতা ও স্বচ্ছ ভাবমূর্তি তাঁকে এনে দিয়েছে বিপুল জনপ্রিয়তা। বিশেষ করে মেহেন্দিগঞ্জের শিক্ষিত তরুণ সমাজ মনে করে, রাজীব আহসান জাতীয় রাজনীতিতে শক্ত অবস্থান রাখতে পারেন এবং তিনি হলে এই জনপদের উন্নয়ন গতি পাবে। সাম্প্রতিক সময়ে তিনি ব্যাপক গণসংযোগ শুরু করেছেন এমনকি মানুষের জনপ্রিয়তা অর্জন করেছে সক্ষম হয়েছেন।
মেজবাহ উদ্দিন ফরহাদ: সাবেক সংসদ সদস্য ও অভিজ্ঞ নেতা:-
সাবেক সংসদ সদস্য মেজবাহ উদ্দিন ফরহাদ রাজনৈতিকভাবে অভিজ্ঞ ও প্রভাবশালী। মেহেন্দিগঞ্জ,হিজলাসহ সংসদ সদস্য থাকাকালে তিনি দৃশ্যমান তেমন উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ড করতে পারেন নি।দলকে সুসংগঠিত রেখে আন্দোলন সংগ্রামে চালিয়ে গেছেন। তিনি মেহেন্দিগঞ্জ এলাকায় প্রয়োজনীয় উপস্থিতি ও জনগণের সঙ্গে প্রত্যক্ষ সংযোগ রক্ষা করে চলেছেন, যার ফলে অনেকেই তার প্রতি আস্থাশীল।
এডভোকেট এম. হেলাল উদ্দিন: মাঠে থাকা মানবিক নেতা:-
বিএনপি নেতা এডভোকেট এম. হেলাল উদ্দিন বরিশাল ৪-এর রাজনীতিতে এক দৃঢ় নাম। রাজপথে আন্দোলন-সংগ্রাম, নদীভাঙন প্রতিরোধে জিও ব্যাগ, ত্রাণ কার্যক্রম, টিউবওয়েল বসানো, অসহায়দের পাশে দাঁড়ানো—সব মিলিয়ে তিনি জনগণের পাশে থাকা একজন “মানবিক” নেতার স্বীকৃতি পেয়েছেন। বরিশালের সাধারণ মানুষ বিশেষ করে নদীভাঙনে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবাররা তাকে একজন ভরসার প্রতীক মনে করেন।
খালেক হাওলাদার: রাজনীতির মাঠে সক্রিয়তা :-
দীর্ঘদিন ধরে রাজনীতিতে সক্রিয় থাকলেও সাবেক যুবদল এই নেতা বরিশাল ৪-এ তেমনভাবে গণসংযোগ বাড়াতে পারেননি। ফলে তার নাম এলেও মাঠ পর্যায়ে তার প্রভাব কিছুটা সীমিত বলে অনেকেই মনে করেন।
জনগণের মতামত:-
মেহেন্দিগঞ্জ ও হিজলার বিভিন্ন এলাকার সাধারণ মানুষের মুখে মুখে ঘুরছে এই প্রশ্ন—নেতা হতে হলে তিনি যেন শুধু দলীয় স্বার্থে নয়, জনগণের কল্যাণে কাজ করেন। অধিকাংশ মানুষ মনে করছেন, এখন সময় একজন ত্যাগী, সৎ ও কাজের নেতাকে নির্বাচনের। ভোট নয়, কাজ দিয়ে যারা ভালোবাসা কুড়িয়েছেন, তারাই হোন আগামী দিনের এমপি।
রাজনীতির মাঠে অনেকেই আসবেন, কথা বলবেন। কিন্তু যিনি সত্যিকার অর্থে জনগণের সুখে-দুঃখে থাকবেন, যিনি উন্নয়নের পাশাপাশি স্বচ্ছতা বজায় রাখবেন—বরিশাল ৪-এর মানুষ তাকেই বেছে নিতে চায় আগামীর ‘যোগ্য নেতা’ হিসেবে।