, বৃহস্পতিবার, ১১ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ২৭ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী (সা:) ও আহলে বাইত এর স্বরণে পুরান ঢাকায় দোয়া ও মিলাদ মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে।  কেরানীগঞ্জে বিদেশি রিভলবারসহ ২ যুবক গ্রেফতার : বরিশাল জেলা উত্তর কৃষকদলের আহ্বায়ক নলী মোঃ জামাল হোসেন : পরীক্ষিত ও কর্মীবান্ধব নেতা  কেরানীগঞ্জে ফোম কারখানায় আগুন ঢাকায় ইন্টারন্যাশনাল তুগুজকুমালাক ডে উদযাপন: গোসাইরহাটে বিএনপি’র ৪৭ তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ডাকসু নির্বাচন: ভিপি-জিএস-এজিএস তিন শীর্ষ পদেই শিবির সমর্থিত প্যানেলের জয় সুদূর প্রবাসে থেকেও বিএনপির জন্য কাজ করে যাচ্ছেন জিয়া সাইবার ফোর্স জেডসিএফ নেতা রবিউল খন্দকার আগামী ফেব্রুয়ারীর প্রথম সপ্তাহেই নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে–আলহাজ্ব আমান উল্লাহ আমান  জিয়া সাইবার ফোর্স জেডসিএফ-এর বিশেষ আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত

বাবা—জীবনের শ্রেষ্ঠ শিক্ষক

  • প্রকাশের সময় : ০৫:০০ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৭ জুলাই ২০২৫
  • ৫৬ পড়া হয়েছে

আতিকুর রহমান:-

 

জীবনের প্রতিটি মোড়ে যিনি ছায়ার মতো পাশে থেকেছেন, যিনি নিঃশব্দে ভালোবেসেছেন, ত্যাগ করে গেছেন নিজের চাওয়া-পাওয়া—তিনি বাবা, একজন অবসরপ্রাপ্ত সরকারি প্রাথমিক শিক্ষক হিসেবে তিনি শুধু সমাজে নয়, আমাদের পরিবারেও ছিলেন এক জীবন্ত শিক্ষালয়।

 

বাবা আমাদের জীবনে ছিলেন সেই আলোকবর্তিকা, যিনি নিজের কষ্টের গল্প কখনো শোনাননি, বরং আমাদের মুখে হাসি ফোটাতেই পেয়েছেন আনন্দ। আমরা চার ভাই, এক বোন—সবাই মিলেই ছিলাম তাঁর পৃথিবী। আমাদের আবদার, চাওয়া-পাওয়া, স্বপ্নগুলো পূরণ করতেই যেন তিনি জন্ম নিয়েছিলেন। অথচ আমরা কেউ কোনোদিন তাঁকে কিছুই দিতে পারিনি, শুধু নিয়েই গেছি নিরন্তর।

 

আমার ভাইদের ছোট ছোট ইচ্ছাকে তিনি করে তুলেছেন বড়। কারো এই সমস্যা, কারো টাকা দরকার, কারো অসুস্থ তা—সব কিছুর পেছনে ছিল তাঁর সীমাহীন ভালোবাসা আর নিরব ত্যাগ। আমি নিজেও একজন বাবা হয়েছি আজ। কিন্তু যতই চেষ্টা করি না কেন, বাবার মতো নিঃস্বার্থভাবে ভালোবাসতে শিখিনি এখনও।

 

জীবনের এই পর্যায়ে এসে বুঝি—বাবার মতো সম্পর্ক আর কিছুতেই গড়ে ওঠে না। বয়স হয়েছে তাঁর, শরীরটা আগের মতো চলে না, কিন্তু বাবার সেই সংগ্রামী মন আজও থামেনি। আজও তিনি ভাবেন, কীভাবে আমাদের আরও ভালো রাখা যায়। সন্তানদের সুখই যেন তাঁর জীবনের মূলমন্ত্র।

 

আজ বুক ভরে বলতে ইচ্ছে করে, “বাবা, আমি আপনাকে অনেক ভালোবাসি।”

এই ভালোবাসা কেবল কথায় নয়, আপনার প্রতি আমার আজীবনের ঋণ স্বীকারের এক ছোট্ট প্রয়াস।

 

তবে একটা অনুশোচনাও আছে—জীবনে এখনো আপনাকে কিছুই দিতে পারিনি। বরং আপনার কাছ থেকেই শুধু নিয়েই গেছি।

আমার এই অপারগতার জন্য দয়া করে আমাকে ক্ষমা করবেন, বাবা। আপনি তো ছিলেন সব সময় মাফ করে দেওয়া মানুষটি।

 

আপনার হাতের ছায়ায় আমরা বেড়ে উঠেছি। আপনার নীরব পরিশ্রম, সুনিশ্চিত ভবিষ্যতের নিশ্চুপ সংগ্রাম—সবকিছু মিলেই আপনি আমাদের জীবনের শ্রেষ্ঠ শিক্ষক, শ্রেষ্ঠ বন্ধু, শ্রেষ্ঠ অভিভাবক।

 

আপনাকে নিয়ে গর্ব হয়, বাবা। আপনি আছেন বলেই আজও আমাদের আশ্রয় আছে, ভরসা আছে, শান্তি আছে।

জনপ্রিয়

পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী (সা:) ও আহলে বাইত এর স্বরণে পুরান ঢাকায় দোয়া ও মিলাদ মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে। 

বাবা—জীবনের শ্রেষ্ঠ শিক্ষক

প্রকাশের সময় : ০৫:০০ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৭ জুলাই ২০২৫

আতিকুর রহমান:-

 

জীবনের প্রতিটি মোড়ে যিনি ছায়ার মতো পাশে থেকেছেন, যিনি নিঃশব্দে ভালোবেসেছেন, ত্যাগ করে গেছেন নিজের চাওয়া-পাওয়া—তিনি বাবা, একজন অবসরপ্রাপ্ত সরকারি প্রাথমিক শিক্ষক হিসেবে তিনি শুধু সমাজে নয়, আমাদের পরিবারেও ছিলেন এক জীবন্ত শিক্ষালয়।

 

বাবা আমাদের জীবনে ছিলেন সেই আলোকবর্তিকা, যিনি নিজের কষ্টের গল্প কখনো শোনাননি, বরং আমাদের মুখে হাসি ফোটাতেই পেয়েছেন আনন্দ। আমরা চার ভাই, এক বোন—সবাই মিলেই ছিলাম তাঁর পৃথিবী। আমাদের আবদার, চাওয়া-পাওয়া, স্বপ্নগুলো পূরণ করতেই যেন তিনি জন্ম নিয়েছিলেন। অথচ আমরা কেউ কোনোদিন তাঁকে কিছুই দিতে পারিনি, শুধু নিয়েই গেছি নিরন্তর।

 

আমার ভাইদের ছোট ছোট ইচ্ছাকে তিনি করে তুলেছেন বড়। কারো এই সমস্যা, কারো টাকা দরকার, কারো অসুস্থ তা—সব কিছুর পেছনে ছিল তাঁর সীমাহীন ভালোবাসা আর নিরব ত্যাগ। আমি নিজেও একজন বাবা হয়েছি আজ। কিন্তু যতই চেষ্টা করি না কেন, বাবার মতো নিঃস্বার্থভাবে ভালোবাসতে শিখিনি এখনও।

 

জীবনের এই পর্যায়ে এসে বুঝি—বাবার মতো সম্পর্ক আর কিছুতেই গড়ে ওঠে না। বয়স হয়েছে তাঁর, শরীরটা আগের মতো চলে না, কিন্তু বাবার সেই সংগ্রামী মন আজও থামেনি। আজও তিনি ভাবেন, কীভাবে আমাদের আরও ভালো রাখা যায়। সন্তানদের সুখই যেন তাঁর জীবনের মূলমন্ত্র।

 

আজ বুক ভরে বলতে ইচ্ছে করে, “বাবা, আমি আপনাকে অনেক ভালোবাসি।”

এই ভালোবাসা কেবল কথায় নয়, আপনার প্রতি আমার আজীবনের ঋণ স্বীকারের এক ছোট্ট প্রয়াস।

 

তবে একটা অনুশোচনাও আছে—জীবনে এখনো আপনাকে কিছুই দিতে পারিনি। বরং আপনার কাছ থেকেই শুধু নিয়েই গেছি।

আমার এই অপারগতার জন্য দয়া করে আমাকে ক্ষমা করবেন, বাবা। আপনি তো ছিলেন সব সময় মাফ করে দেওয়া মানুষটি।

 

আপনার হাতের ছায়ায় আমরা বেড়ে উঠেছি। আপনার নীরব পরিশ্রম, সুনিশ্চিত ভবিষ্যতের নিশ্চুপ সংগ্রাম—সবকিছু মিলেই আপনি আমাদের জীবনের শ্রেষ্ঠ শিক্ষক, শ্রেষ্ঠ বন্ধু, শ্রেষ্ঠ অভিভাবক।

 

আপনাকে নিয়ে গর্ব হয়, বাবা। আপনি আছেন বলেই আজও আমাদের আশ্রয় আছে, ভরসা আছে, শান্তি আছে।