, সোমবার, ২১ জুলাই ২০২৫, ৫ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
জুলাই-আগস্ট বিপ্লবের শহীদদের স্মরণে মেহেন্দিগঞ্জে বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি পালন মানবিকতার ছায়াতলে নদীভাঙনপ্রবণ চরাঞ্চল: মেহেন্দিগঞ্জে প্রকল্প উদ্বোধন ও জনগণের পাশে অ্যাডভোকেট এম হেলাল উদ্দিন দক্ষিণ কেরানীগঞ্জে চাঁদাবাজ বিরোধী অভিযানে গ্রেফতার ৩ শেরে-ই-বাংলা সাংস্কৃতিক জোট এর উদ্যোগে অবিভক্ত বাংলার প্রধানমন্ত্রী শেরে বাংলা এ কে ফজলুলহক এর জীবনী শীর্ষক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত রাজপথের লড়াকু সৈনিক মোঃ হযরত আলী: দলের প্রতি অকুণ্ঠ ভালবাসা ও ত্যাগের এক অনন্য উদাহরণ দক্ষিণ কেরানীগঞ্জে পুলিশের অভিযানে ভূমিদস্যু ও চাঁদাবাজ গ্রেপ্তার: কেরাণীগঞ্জে পরিবহনে চাঁদাবাজির সময় গ্রেফতার ০৩ জন মানবিক পুলিশ সুপার এর মানবিকতায় নতুন জীবন পেল কিশোরী সামিয়া নিরলস ত্যাগ ও আন্দোলন সংগ্রামের প্রতিচ্ছবি: সফিউদ্দিন সিকদার নব্যদের দাপটে কোণঠাসা ত্যাগীরা, অপকর্মে জড়িয়ে পড়ছে নব্য বিএনপিরা

ভুঁইফোড় সাংবাদিক সংগঠন নেই কোন সরকারি অনুমোদন, শুধুই কি টাকা ইনকামের ধান্দা

  • প্রকাশের সময় : ০৫:০৫ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৮ জুলাই ২০২৫
  • ২৭ পড়া হয়েছে

নিউজ ডেস্ক

 

সাম্প্রতিক সময়ে সাংবাদিকতার পবিত্র পেশাকে পুঁজি করে গড়ে উঠেছে একের পর এক ভুঁইফোড় সংগঠন। এসব সংগঠনের না আছে কোনো বৈধ অনুমোদন, না আছে স্বীকৃত গণমাধ্যমের সঙ্গে সরাসরি সংশ্লিষ্টতা। অথচ এসব নামধারী সাংবাদিক সংগঠন এখন বিভিন্ন এলাকায় নিজেদের “প্রেস” পরিচয় দিয়ে চালাচ্ছে চাঁদাবাজি, দখলবাজি এমনকি সামাজিক বিভ্রান্তি ছড়ানোর মতো নানা কর্মকাণ্ড।

 

অনুসন্ধানে জানা যায়, এসব সংগঠনের অনেক সদস্যেরই পেশাগত যোগ্যতা বা অভিজ্ঞতা নেই। কেবল একটি ফেসবুক পেইজ খুলে, ভুয়া আইডি কার্ড ও ব্যানার তৈরি করে তারা নিজেদের “সাংবাদিক” পরিচয় দিয়ে প্রশাসনের সঙ্গে যোগাযোগ করে সুবিধা নেওয়ার চেষ্টা করে। কোথাও সমস্যা হলে তারা “সংবাদ প্রকাশ” বা “লাইভে আসার” ভয় দেখিয়ে ব্যক্তিগত ফায়দা লুটে নেওয়ার চেষ্টা করে।

 

কাদের ছত্রছায়ায় গজিয়ে উঠছে এসব সংগঠন:

 

কাদের পৃষ্ঠপোষকতায় এসব ভুঁইফোড় সংগঠন গড়ে ওঠছে। অনেকে নিজেদের “জাতীয় প্রেস ক্লাব অনুমোদিত” বা “সরকারি নিবন্ধিত” বলে দাবি করলেও বাস্তবে এগুলোর কোনো অফিসিয়াল নথিপত্র নেই এমনকি ঠিকানা দেওয়া থাকলে ওই ঠিকানায় অফিস ও নেই।

 

সাধারণ মানুষের প্রতিক্রিয়া:

 

সাধারণ মানুষ বলছেন, সাংবাদিকতা আজ যেন একটি পেশা নয়, বরং অনেকের কাছে হয়েছে ব্যবসার মাধ্যম। কেউ কেউ বলেন—

“সাংবাদিক নামধারীরা এখন ঘুরে বেড়ায় মোবাইল আর মাইক্রোফোন হাতে, কিন্তু খবর লেখে না; খোঁজ করে না সত্য, শুধু টাকার হিসাব করে।

 

প্রকৃত সাংবাদিকরা বলছেন:

 

জাতীয় পর্যায়ের অনেক জ্যেষ্ঠ সাংবাদিক এই পরিস্থিতিকে গণমাধ্যমের জন্য অশনিসংকেত হিসেবে দেখছেন। তারা বলছেন,

“এভাবে যদি চলতে থাকে, তাহলে সাধারণ মানুষ সাংবাদিকতা পেশার প্রতি আস্থা হারাবে। তাতে গণতন্ত্র, মুক্ত মতপ্রকাশ এবং স্বচ্ছতা—সবই হুমকির মুখে পড়বে।”

 

প্রশাসনের দৃষ্টি:

 

অনুমোদনহীন ভুঁইফোড় সাংবাদিক সংগঠনের নামে কেউ চাঁদাবাজি বা অন্যায় করলে তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া দরকার। আইনগত ব্যবস্থা না নিলে একদিন অন্যায় অপরাধের মাত্রা প্রকট আকার ধারণ করবে।

 

সাংবাদিকতা একটি মহান পেশা। এটি দেশের বিবেক, জনগণের কণ্ঠস্বর। অথচ কিছু স্বার্থান্বেষী ব্যক্তি ও সংগঠন এই পেশাকে কলঙ্কিত করছে নিজেদের স্বার্থে। এখনই সময় এসব ভুঁইফোড় সংগঠনের বিরুদ্ধে প্রশাসন, প্রকৃত সাংবাদিক এবং সচেতন জনগণকে একসঙ্গে রুখে দাঁড়ানোর।

 

পরিশেষে:

 

সাংবাদিকতা করতে হলে প্রয়োজন সৎ মানসিকতা, পেশাদারিত্ব এবং গণমাধ্যম প্রতিষ্ঠানের আনুষ্ঠানিক অনুমোদন। শুধুমাত্র মাইক্রোফোন বা কার্ড থাকলেই কেউ সাংবাদিক হয়ে যায় না—এটা সকলের মনে রাখা দরকার।

জনপ্রিয়

জুলাই-আগস্ট বিপ্লবের শহীদদের স্মরণে মেহেন্দিগঞ্জে বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি পালন

ভুঁইফোড় সাংবাদিক সংগঠন নেই কোন সরকারি অনুমোদন, শুধুই কি টাকা ইনকামের ধান্দা

প্রকাশের সময় : ০৫:০৫ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৮ জুলাই ২০২৫

নিউজ ডেস্ক

 

সাম্প্রতিক সময়ে সাংবাদিকতার পবিত্র পেশাকে পুঁজি করে গড়ে উঠেছে একের পর এক ভুঁইফোড় সংগঠন। এসব সংগঠনের না আছে কোনো বৈধ অনুমোদন, না আছে স্বীকৃত গণমাধ্যমের সঙ্গে সরাসরি সংশ্লিষ্টতা। অথচ এসব নামধারী সাংবাদিক সংগঠন এখন বিভিন্ন এলাকায় নিজেদের “প্রেস” পরিচয় দিয়ে চালাচ্ছে চাঁদাবাজি, দখলবাজি এমনকি সামাজিক বিভ্রান্তি ছড়ানোর মতো নানা কর্মকাণ্ড।

 

অনুসন্ধানে জানা যায়, এসব সংগঠনের অনেক সদস্যেরই পেশাগত যোগ্যতা বা অভিজ্ঞতা নেই। কেবল একটি ফেসবুক পেইজ খুলে, ভুয়া আইডি কার্ড ও ব্যানার তৈরি করে তারা নিজেদের “সাংবাদিক” পরিচয় দিয়ে প্রশাসনের সঙ্গে যোগাযোগ করে সুবিধা নেওয়ার চেষ্টা করে। কোথাও সমস্যা হলে তারা “সংবাদ প্রকাশ” বা “লাইভে আসার” ভয় দেখিয়ে ব্যক্তিগত ফায়দা লুটে নেওয়ার চেষ্টা করে।

 

কাদের ছত্রছায়ায় গজিয়ে উঠছে এসব সংগঠন:

 

কাদের পৃষ্ঠপোষকতায় এসব ভুঁইফোড় সংগঠন গড়ে ওঠছে। অনেকে নিজেদের “জাতীয় প্রেস ক্লাব অনুমোদিত” বা “সরকারি নিবন্ধিত” বলে দাবি করলেও বাস্তবে এগুলোর কোনো অফিসিয়াল নথিপত্র নেই এমনকি ঠিকানা দেওয়া থাকলে ওই ঠিকানায় অফিস ও নেই।

 

সাধারণ মানুষের প্রতিক্রিয়া:

 

সাধারণ মানুষ বলছেন, সাংবাদিকতা আজ যেন একটি পেশা নয়, বরং অনেকের কাছে হয়েছে ব্যবসার মাধ্যম। কেউ কেউ বলেন—

“সাংবাদিক নামধারীরা এখন ঘুরে বেড়ায় মোবাইল আর মাইক্রোফোন হাতে, কিন্তু খবর লেখে না; খোঁজ করে না সত্য, শুধু টাকার হিসাব করে।

 

প্রকৃত সাংবাদিকরা বলছেন:

 

জাতীয় পর্যায়ের অনেক জ্যেষ্ঠ সাংবাদিক এই পরিস্থিতিকে গণমাধ্যমের জন্য অশনিসংকেত হিসেবে দেখছেন। তারা বলছেন,

“এভাবে যদি চলতে থাকে, তাহলে সাধারণ মানুষ সাংবাদিকতা পেশার প্রতি আস্থা হারাবে। তাতে গণতন্ত্র, মুক্ত মতপ্রকাশ এবং স্বচ্ছতা—সবই হুমকির মুখে পড়বে।”

 

প্রশাসনের দৃষ্টি:

 

অনুমোদনহীন ভুঁইফোড় সাংবাদিক সংগঠনের নামে কেউ চাঁদাবাজি বা অন্যায় করলে তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া দরকার। আইনগত ব্যবস্থা না নিলে একদিন অন্যায় অপরাধের মাত্রা প্রকট আকার ধারণ করবে।

 

সাংবাদিকতা একটি মহান পেশা। এটি দেশের বিবেক, জনগণের কণ্ঠস্বর। অথচ কিছু স্বার্থান্বেষী ব্যক্তি ও সংগঠন এই পেশাকে কলঙ্কিত করছে নিজেদের স্বার্থে। এখনই সময় এসব ভুঁইফোড় সংগঠনের বিরুদ্ধে প্রশাসন, প্রকৃত সাংবাদিক এবং সচেতন জনগণকে একসঙ্গে রুখে দাঁড়ানোর।

 

পরিশেষে:

 

সাংবাদিকতা করতে হলে প্রয়োজন সৎ মানসিকতা, পেশাদারিত্ব এবং গণমাধ্যম প্রতিষ্ঠানের আনুষ্ঠানিক অনুমোদন। শুধুমাত্র মাইক্রোফোন বা কার্ড থাকলেই কেউ সাংবাদিক হয়ে যায় না—এটা সকলের মনে রাখা দরকার।