, মঙ্গলবার, ১৮ নভেম্বর ২০২৫, ৪ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
কেরানীগঞ্জে ডিবির অভিযানে ইয়াবাসহ এক যুবক গ্রেপ্তার: ঢাকায় অবস্থানরত হিজলা মেহেন্দিগঞ্জ কাজিরহাট বাসীর মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত স্বাধীন সংবাদের ২২তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকীতে নূরুল হক নূরকে আমন্ত্রণ বরিশাল-৫ এ প্রথমবারের মতো প্রার্থী হচ্ছেন লায়ন উমার রাযী আজিমপুর কবরস্থানের দুর্ধর্ষ  চাঁদাবাজ আরমান গ্রেপ্তার ঢাকা-৩ আসনে অধ্যক্ষ শাহীনুর ইসলামের উদ্যোগে ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্প, চিকিৎসাসেবায় ভিড় এলাকাবাসীর জাতীয় দৃষ্টি প্রতিবন্ধী সংস্থার বার্ষিক সাধারণ সভা,ও দৃষ্টি প্রতিবন্ধীদের মাঝে আর্থিক অনুদান বিতরণ অনুষ্ঠান ২০২৫ অনুষ্ঠিত। ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধেই নির্বাচন, সন্দেহের সুযোগ নেই’– আমান উল্লাহ আমান  লোহজং থানার পুলিশ পরিদর্শক তদন্ত মোঃ মনিরুজ্জামানের সাংবাদিকের ক্যামেরা ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা চাঁনপুর রহমানিয়া ইসলামী কওমী ও লিল্লাহ্ বোর্ডিং কর্তৃক আয়োজিত বার্ষিক ওয়াজ মাহফিল অনুষ্ঠিত

ভেজাল শিশুখাদ্যের কারখানায় সয়লাব কেরানীগঞ্জ

  • প্রকাশের সময় : ০৬:৩৮ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৭ অক্টোবর ২০২৫
  • ৪৪ পড়া হয়েছে

 

 

আসিফ চৌধুরী, বিশেষ সংবাদদাতা ঢাকা :

 

ঢাকার কেরানীগঞ্জের বিভিন্ন এলাকায় ব্যাঙের ছাতার মতো গড়ে উঠেছে ভেজাল ও অস্বাস্থ্যকর শিশুখাদ্য তৈরির কারখানা। কাপড়ের রং, হাইড্রোজসহ নানা ক্ষতিকর রাসায়নিক ব্যবহার করে নামে-বেনামে এসব কারখানায় তৈরি হচ্ছে লজেন্স, ললিপপ, চুইংগাম, চিপসসহ শিশুদের প্রিয় নানা খাদ্যপণ্য।

 

আজ (০৭অক্টোবর) মঙ্গলবার সরেজমিনে জিনজিরা এলাকায় দেখা যায়—ভাড়া নেয়া ফ্ল্যাট ও আবাসিক ঘরে চলছে এসব শিশুখাদ্য উৎপাদন। অত্যন্ত নোংরা ও অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে হাত-পা এক করে কাজ করছেন শ্রমিকরা। তাদের মধ্যে অনেকেই শিশু শ্রমিক।

 

কারখানার কয়েকজন শ্রমিক জানান, প্রশাসনের কিছু অসাধু কর্মকর্তাকে ম্যানেজ করেই এসব কারখানার কার্যক্রম চলছে।

 

‘আখি ফুড প্রোডাক্টস’ নামের এক কারখানার ম্যানেজার বলেন,“এখানে তৈরি পণ্য প্যাকেটজাত করে ঢাকার চকবাজার ও নোয়াখালীর বেগমগঞ্জের পাইকারি দোকানে সরবরাহ করা হয়। সেখান থেকে তা সারাদেশে ছড়িয়ে পড়ে।”

 

তিনি আরো বলেন,“আমাদের পণ্যে কোনো ভেজাল নেই। আমরা কারখানা বন্ধ করব না—যা করার করেন।”

 

অনুসন্ধানে জানা যায়, পরিবেশ অধিদপ্তর ও বিএসটিআই-এর কোনো অনুমোদন ছাড়াই এসব কারখানা দীর্ঘদিন ধরে পরিচালিত হচ্ছে।

 

কেরানীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক চিকিৎসক ডা. মো. শাহিনুর ইসলাম বলেন,“ভেজাল উপকরণে তৈরি এসব খাদ্য শিশুদের ক্যান্সার, কিডনি বিকলসহ মারাত্মক জটিল রোগের ঝুঁকি বাড়ায়।”

 

এ বিষয়ে কেরানীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) রিনাত ফৌজিয়া প্রথমে মন্তব্য করতে অনিচ্ছা প্রকাশ করে বলেন,“এ বিষয়ে জেলা প্রশাসকের অনুমতি ছাড়া আমি কিছু বলতে পারব না।” তবে পরে তিনি জানান,“খুব শিগগিরই এসব ভেজাল শিশুখাদ্য কারখানার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।

জনপ্রিয়

কেরানীগঞ্জে ডিবির অভিযানে ইয়াবাসহ এক যুবক গ্রেপ্তার:

ভেজাল শিশুখাদ্যের কারখানায় সয়লাব কেরানীগঞ্জ

প্রকাশের সময় : ০৬:৩৮ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৭ অক্টোবর ২০২৫

 

 

আসিফ চৌধুরী, বিশেষ সংবাদদাতা ঢাকা :

 

ঢাকার কেরানীগঞ্জের বিভিন্ন এলাকায় ব্যাঙের ছাতার মতো গড়ে উঠেছে ভেজাল ও অস্বাস্থ্যকর শিশুখাদ্য তৈরির কারখানা। কাপড়ের রং, হাইড্রোজসহ নানা ক্ষতিকর রাসায়নিক ব্যবহার করে নামে-বেনামে এসব কারখানায় তৈরি হচ্ছে লজেন্স, ললিপপ, চুইংগাম, চিপসসহ শিশুদের প্রিয় নানা খাদ্যপণ্য।

 

আজ (০৭অক্টোবর) মঙ্গলবার সরেজমিনে জিনজিরা এলাকায় দেখা যায়—ভাড়া নেয়া ফ্ল্যাট ও আবাসিক ঘরে চলছে এসব শিশুখাদ্য উৎপাদন। অত্যন্ত নোংরা ও অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে হাত-পা এক করে কাজ করছেন শ্রমিকরা। তাদের মধ্যে অনেকেই শিশু শ্রমিক।

 

কারখানার কয়েকজন শ্রমিক জানান, প্রশাসনের কিছু অসাধু কর্মকর্তাকে ম্যানেজ করেই এসব কারখানার কার্যক্রম চলছে।

 

‘আখি ফুড প্রোডাক্টস’ নামের এক কারখানার ম্যানেজার বলেন,“এখানে তৈরি পণ্য প্যাকেটজাত করে ঢাকার চকবাজার ও নোয়াখালীর বেগমগঞ্জের পাইকারি দোকানে সরবরাহ করা হয়। সেখান থেকে তা সারাদেশে ছড়িয়ে পড়ে।”

 

তিনি আরো বলেন,“আমাদের পণ্যে কোনো ভেজাল নেই। আমরা কারখানা বন্ধ করব না—যা করার করেন।”

 

অনুসন্ধানে জানা যায়, পরিবেশ অধিদপ্তর ও বিএসটিআই-এর কোনো অনুমোদন ছাড়াই এসব কারখানা দীর্ঘদিন ধরে পরিচালিত হচ্ছে।

 

কেরানীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক চিকিৎসক ডা. মো. শাহিনুর ইসলাম বলেন,“ভেজাল উপকরণে তৈরি এসব খাদ্য শিশুদের ক্যান্সার, কিডনি বিকলসহ মারাত্মক জটিল রোগের ঝুঁকি বাড়ায়।”

 

এ বিষয়ে কেরানীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) রিনাত ফৌজিয়া প্রথমে মন্তব্য করতে অনিচ্ছা প্রকাশ করে বলেন,“এ বিষয়ে জেলা প্রশাসকের অনুমতি ছাড়া আমি কিছু বলতে পারব না।” তবে পরে তিনি জানান,“খুব শিগগিরই এসব ভেজাল শিশুখাদ্য কারখানার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।