, শুক্রবার, ১২ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ২৭ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী (সা:) ও আহলে বাইত এর স্বরণে পুরান ঢাকায় দোয়া ও মিলাদ মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে।  কেরানীগঞ্জে বিদেশি রিভলবারসহ ২ যুবক গ্রেফতার : বরিশাল জেলা উত্তর কৃষকদলের আহ্বায়ক নলী মোঃ জামাল হোসেন : পরীক্ষিত ও কর্মীবান্ধব নেতা  কেরানীগঞ্জে ফোম কারখানায় আগুন ঢাকায় ইন্টারন্যাশনাল তুগুজকুমালাক ডে উদযাপন: গোসাইরহাটে বিএনপি’র ৪৭ তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ডাকসু নির্বাচন: ভিপি-জিএস-এজিএস তিন শীর্ষ পদেই শিবির সমর্থিত প্যানেলের জয় সুদূর প্রবাসে থেকেও বিএনপির জন্য কাজ করে যাচ্ছেন জিয়া সাইবার ফোর্স জেডসিএফ নেতা রবিউল খন্দকার আগামী ফেব্রুয়ারীর প্রথম সপ্তাহেই নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে–আলহাজ্ব আমান উল্লাহ আমান  জিয়া সাইবার ফোর্স জেডসিএফ-এর বিশেষ আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত

মানবিক পুলিশ সুপার এর মানবিকতায় নতুন জীবন পেল কিশোরী সামিয়া

  • প্রকাশের সময় : ০১:২০ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৬ জুলাই ২০২৫
  • ১১৯ পড়া হয়েছে

 

 

নিজস্ব প্রতিবেদক।

কিশোরী সামিয়া ও ঢাকা জেলার পুলিশ সুপার (এসপি) মো. আনিসুজ্জামান। ছবি : এনটিভি

ঢাকা জেলার পুলিশ সুপার (এসপি) মো. আনিসুজ্জামানের মানবিকতায় নতুন জীবন ফিরে পেয়েছে কিশোরী সামিয়া (১২)। হৃৎপিণ্ডের ছিদ্র নিয়ে পৃথিবীতে এসেছিল মেয়েটি। বয়সের সঙ্গে সঙ্গে তার হৃৎপিণ্ডের ভাল্বগুলোর কার্যকারিতা কমে আসছিল, বিপন্ন হয়ে উঠছিল তার জীবন। তার চিকিৎসার সার্বিক ব্যয় বহন করে পাশে দাঁড়ান পুলিশের এসপি মো. আনিসুজ্জামান।

 

 

ফুসফুসের রক্তনালী সরু হওয়া এবং ফুসফুসের রক্ত সঞ্চালন কমে যাওয়ায় শ্বাসকষ্ট, বুকে ব্যথা, তীব্র চাপ, মাথা ঘোরা, হৃৎস্পন্দন বেড়ে যাওয়া বা অনিয়মিত হৃদস্পন্দনের কারণে প্রায়শই অজ্ঞান হয়ে যেত কিশোরী সামিয়া। তাকে নিয়ে চিন্তিত থাকতো পরিবার। সামিয়ার বাবা শামীম হোসেন একজন পোশাক শ্রমিক এবং মা রীমা আক্তার গৃহিণী। চার ভাই-বোনের মধ্যে সামিয়া দ্বিতীয়।

 

 

‘অভাবে চিকিৎসা বন্ধ শিশু সামিয়ার’-গণমাধ্যমে এমন সংবাদ প্রকাশের পর বিষয়টি নজরে আসে পুলিশ সুপার মো. আনিসুজ্জামান এবং তার স্ত্রী রিফাত জাহানের। তারা সামিয়ার চিকিৎসায় এগিয়ে আসেন।

 

ঢাকা জেলার (উত্তর) ট্র্যাফিক ইন্সপেক্টর (প্রশাসন) মো. গোলাম সরোয়ারের মাধ্যমে সামিয়াকে গত ২৩ জুন রাজধানীর ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশন অ্যান্ড রিসার্চ ইনস্টিটিউটে নেওয়া হয়। নানা পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর ৮ জুলাই তার ওপেন হার্ট সার্জারি হয়। অধ্যাপক ডা. মো. শরিফুজ্জামানের নেতৃত্বে মেডিকেল টিম দীর্ঘ সাত ঘণ্টার অস্ত্রোপচার করে। পুরো পরিবারে মুখেই তখন হাসি ফোটে।

হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র নিয়ে মঙ্গলবার (১৫ জুলাই) বাড়ি ফেরার পথে শামীম হোসেন বলেন, নীরবে থেকেই চিকিৎসার যাবতীয় খরচ বহন করেছেন পুলিশ সুপার আনিসুজ্জামান দম্পতি। চোখের সামনে যেখানে আমরা মেয়ের মৃত্যুর প্রহর গুনছিলাম, সেখানে আজ তাকে সুস্থ করে বাড়ি ফিরে যাচ্ছি—এটা যে আমাদের কাছে কতটা বিস্ময়ের তা ভাষায় প্রকাশ করতে পারব না।

কিশোরী সামিয়া বলে, আমিতো মরেই যেতাম। আল্লাহ তায়ালা তাকে পাঠিয়েছিলেন আমাকে বাঁচাতে। আমরা তার জন্য দোয়া করি।

 

সামিয়ার চিকিৎসা ব্যবস্থাপনা ও তদারকির দায়িত্বে থাকা ট্র্যাফিক ইন্সপেক্টর (টি আই) মো. গোলাম সরোয়ার বলেন, তিনি (এসপি মো. আনিসুজ্জামান) আড়ালে থেকে মানুষের কল্যাণে কাজ করতে পছন্দ করেন। তাঁর এই মানবিক গুণাবলীর জন্য ফোর্সের সদস্যরা তাঁকে শ্রদ্ধা করে।

জনপ্রিয়

পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী (সা:) ও আহলে বাইত এর স্বরণে পুরান ঢাকায় দোয়া ও মিলাদ মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে। 

মানবিক পুলিশ সুপার এর মানবিকতায় নতুন জীবন পেল কিশোরী সামিয়া

প্রকাশের সময় : ০১:২০ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৬ জুলাই ২০২৫

 

 

নিজস্ব প্রতিবেদক।

কিশোরী সামিয়া ও ঢাকা জেলার পুলিশ সুপার (এসপি) মো. আনিসুজ্জামান। ছবি : এনটিভি

ঢাকা জেলার পুলিশ সুপার (এসপি) মো. আনিসুজ্জামানের মানবিকতায় নতুন জীবন ফিরে পেয়েছে কিশোরী সামিয়া (১২)। হৃৎপিণ্ডের ছিদ্র নিয়ে পৃথিবীতে এসেছিল মেয়েটি। বয়সের সঙ্গে সঙ্গে তার হৃৎপিণ্ডের ভাল্বগুলোর কার্যকারিতা কমে আসছিল, বিপন্ন হয়ে উঠছিল তার জীবন। তার চিকিৎসার সার্বিক ব্যয় বহন করে পাশে দাঁড়ান পুলিশের এসপি মো. আনিসুজ্জামান।

 

 

ফুসফুসের রক্তনালী সরু হওয়া এবং ফুসফুসের রক্ত সঞ্চালন কমে যাওয়ায় শ্বাসকষ্ট, বুকে ব্যথা, তীব্র চাপ, মাথা ঘোরা, হৃৎস্পন্দন বেড়ে যাওয়া বা অনিয়মিত হৃদস্পন্দনের কারণে প্রায়শই অজ্ঞান হয়ে যেত কিশোরী সামিয়া। তাকে নিয়ে চিন্তিত থাকতো পরিবার। সামিয়ার বাবা শামীম হোসেন একজন পোশাক শ্রমিক এবং মা রীমা আক্তার গৃহিণী। চার ভাই-বোনের মধ্যে সামিয়া দ্বিতীয়।

 

 

‘অভাবে চিকিৎসা বন্ধ শিশু সামিয়ার’-গণমাধ্যমে এমন সংবাদ প্রকাশের পর বিষয়টি নজরে আসে পুলিশ সুপার মো. আনিসুজ্জামান এবং তার স্ত্রী রিফাত জাহানের। তারা সামিয়ার চিকিৎসায় এগিয়ে আসেন।

 

ঢাকা জেলার (উত্তর) ট্র্যাফিক ইন্সপেক্টর (প্রশাসন) মো. গোলাম সরোয়ারের মাধ্যমে সামিয়াকে গত ২৩ জুন রাজধানীর ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশন অ্যান্ড রিসার্চ ইনস্টিটিউটে নেওয়া হয়। নানা পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর ৮ জুলাই তার ওপেন হার্ট সার্জারি হয়। অধ্যাপক ডা. মো. শরিফুজ্জামানের নেতৃত্বে মেডিকেল টিম দীর্ঘ সাত ঘণ্টার অস্ত্রোপচার করে। পুরো পরিবারে মুখেই তখন হাসি ফোটে।

হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র নিয়ে মঙ্গলবার (১৫ জুলাই) বাড়ি ফেরার পথে শামীম হোসেন বলেন, নীরবে থেকেই চিকিৎসার যাবতীয় খরচ বহন করেছেন পুলিশ সুপার আনিসুজ্জামান দম্পতি। চোখের সামনে যেখানে আমরা মেয়ের মৃত্যুর প্রহর গুনছিলাম, সেখানে আজ তাকে সুস্থ করে বাড়ি ফিরে যাচ্ছি—এটা যে আমাদের কাছে কতটা বিস্ময়ের তা ভাষায় প্রকাশ করতে পারব না।

কিশোরী সামিয়া বলে, আমিতো মরেই যেতাম। আল্লাহ তায়ালা তাকে পাঠিয়েছিলেন আমাকে বাঁচাতে। আমরা তার জন্য দোয়া করি।

 

সামিয়ার চিকিৎসা ব্যবস্থাপনা ও তদারকির দায়িত্বে থাকা ট্র্যাফিক ইন্সপেক্টর (টি আই) মো. গোলাম সরোয়ার বলেন, তিনি (এসপি মো. আনিসুজ্জামান) আড়ালে থেকে মানুষের কল্যাণে কাজ করতে পছন্দ করেন। তাঁর এই মানবিক গুণাবলীর জন্য ফোর্সের সদস্যরা তাঁকে শ্রদ্ধা করে।