মেহেন্দিগঞ্জ প্রতিনিধি
আতিকুর রহমান।
রাজপথের নির্ভীক সৈনিক, আন্দোলন-সংগ্রামের প্রথম সারির ত্যাগী নেতা সৈয়দ নাইমুল ইসলাম তুহিন। বুকে গুলির ভয়কে উপেক্ষা করে যিনি সর্বদা দাঁড়িয়েছেন দলীয় কর্মসূচির অগ্রভাগে। মেহেন্দিগঞ্জ উপজেলা ছাত্রদলের সাবেক সদস্য সচিব থেকে শুরু করে বর্তমান যুবদলের আইকন—সব পরিচয় পেরিয়ে তিনি হয়ে উঠেছেন তরুণ সমাজের প্রিয় ভালোবাসার মানুষ। আজ ২রা অক্টোবর সেই নেতার জন্মদিন।
আওয়ামী লীগ সরকারের গত ১৭ বছরের দমন-পীড়ন, হামলা-মামলা, জেল-জুলুম কোনো কিছুই তাকে দমিয়ে রাখতে পারেনি। প্রতিটি মুহূর্তে তিনি রাজপথে দলের জন্য লড়াই করেছেন। কখনো গুলির ভয়, কখনো মামলার শঙ্কা, আবার কখনো কারাবরণের যন্ত্রণা—সব কিছুর ঊর্ধ্বে উঠে তিনি কর্মীদের সাহস যুগিয়েছেন।
তুহিন ভাই শুধু একজন নেতা নন, তিনি তরুণদের ভরসার নাম। তার সংগ্রামী জীবন সবাইকে প্রেরণা জোগায়।
ছাত্রদল থেকে উঠে এসে তিনি এখন মেহেন্দিগঞ্জ উপজেলা যুবদলের আহ্বায়ক। তার হাত ধরে অসংখ্য তরুণ আজ বিএনপির রাজনীতিতে সক্রিয়। শুধু রাজনীতি নয়, স্থানীয়ভাবে অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়ানো, সামাজিক কর্মকাণ্ডে অংশগ্রহণ এবং কর্মীদের দুঃসময়ে সান্ত্বনা দেওয়ায় তিনি হয়ে উঠেছেন সকলের প্রিয়মুখ।
বিগত বছরগুলোতে বারবার হামলা-মামলার শিকার হয়েছেন তিনি। তবুও কখনো পিছিয়ে যাননি। জেলখানার অন্ধকার কুঠুরি থেকেও তিনি কর্মীদের মনোবল ভাঙতে দেননি। বরং কারাগার থেকে বের হয়ে আরও শক্তিশালী হয়ে ফিরে এসেছেন রাজপথে। এ কারণেই মেহেন্দিগঞ্জের মানুষ তাকে “ত্যাগের প্রতীক” বলে আখ্যায়িত করে।
আজ তার জন্মদিন, নেতাকর্মীরা তার ছবি ও স্মৃতিময় মুহূর্ত শেয়ার করছেন। কেউ লিখছেন—“ত্যাগ আর সাহসের অন্য নাম তুহিন ভাই”, কেউ আবার বলছেন—“মেহেন্দিগঞ্জের তরুণদের আশার আলো তিনি।
রাজনীতিতে তার ভূমিকা শুধু একটি পদে সীমাবদ্ধ নয়। বরং তিনি মেহেন্দিগঞ্জের ভবিষ্যৎ নেতৃত্বের অন্যতম প্রতীক। জন্মদিনে নেতাকর্মীরা প্রত্যাশা করছেন, আগামী দিনে তিনি আরও বলিষ্ঠ নেতৃত্ব দিয়ে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের আন্দোলনে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখবেন
সৈয়দ নাইমুল ইসলাম তুহিন—একটি নাম, একটি সংগ্রামী ইতিহাস। ত্যাগ, সাহস আর ভালোবাসার সমন্বয়ে তিনি আজ মেহেন্দিগঞ্জের তরুণদের প্রেরণা। তার জন্মদিনে সর্বস্তরের মানুষের শুভেচ্ছা ও দোয়া প্রমাণ করে, তিনি শুধু রাজনৈতিক নেতা নন, বরং সবার হৃদয়ের মানুষ।