
যাত্রাবাড়ীতে স্বর্ণ ব্যবসায়ী ছিনতাইয়ের ঘটনায় র্যাব-১০ ও থানা পুলিশের যৌথ অভিযান
আসিফ চৌধুরী, বিশেষ সংবাদদাতা ঢাকা :
রাজধানীর ধোলাইরপাড় মোড়ে র্যাব পরিচয়ে দস্যুতার সময় জনতার সহায়তায় এক ব্যক্তিকে আটক করেছে র্যাব-১০। পরে যাত্রাবাড়ী থানা পুলিশের সহযোগিতায় তাকে প্রাইভেট কারসহ গ্রেফতার করা হয়। আটক ব্যক্তির বিরুদ্ধে দেশের বিভিন্ন থানায় মাদক ও সরকারি কর্মকর্তা পরিচয়ে প্রতারণাসহ মোট ১৩টি মামলা রয়েছে।
র্যাব সূত্রে জানা গেছে, গতকাল (২৩ সেপ্টেম্বর) রাত সাড়ে ৮টার দিকে স্বর্ণ ব্যবসায়ী মোঃ আল আমিন (২৬) তাঁতীবাজার থেকে শনির আখড়া যাচ্ছিলেন। তার সঙ্গে ছিল সাড়ে চার ভরি স্বর্ণালংকার ও নগদ দুই লাখ টাকা সম্বলিত একটি কাঁধব্যাগ। পথে যাত্রাবাড়ী থানাধীন গুলিস্তান-টু-শনির আখড়া ফ্লাইওভারে হঠাৎ ঢাকা মেট্রো-গ-১৯-৭১৩৯ নম্বরের একটি প্রাইভেট কার তার মোটরসাইকেলের গতি রোধ করে।
প্রাইভেটকারে থাকা চার ব্যক্তি নিজেদের র্যাব সদস্য পরিচয় দিয়ে ভয়ভীতি প্রদর্শন করে তার কাঁধব্যাগটি ছিনিয়ে নেয়। পরে তারা ধোলাইরপাড়ের দিকে পালানোর চেষ্টা করে। এসময় প্রাইভেটকারটি বিপরীতমুখে চালিয়ে মোটরসাইকেল চালকের কাছ থেকেও মূল্যবান জিনিসপত্র ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করে। চালক তখন জোরে চিৎকার করে “ছিনতাইকারী” বলে সাহায্য চান।
চিৎকার শুনে আশপাশের জনতা ছুটে এসে প্রাইভেটকারে থাকা এক দস্যুকে ধরে গণপিটুনি দেয়। বাকি তিনজন সহযোগী পালিয়ে যায়। খবর পেয়ে র্যাব-১০ এর টহল দল ঘটনাস্থলে গিয়ে আহত অবস্থায় আটক ব্যক্তিকে উদ্ধার করে নিজেদের হেফাজতে নেয়। পরবর্তীতে যাত্রাবাড়ী থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হলে যৌথভাবে তাকে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়।
গ্রেফতারকৃত ব্যক্তির নাম মোঃ মনির (৫০), পিতা- মোঃ লুৎফর রহমান, সাং- ঝুমঝুমপুর, থানা- কোতোয়ালী, জেলা- যশোর। তার হেফাজত থেকে একটি প্রাইভেটকার, “র্যাব” লেখা তিনটি কটি, একটি ওয়াকিটকি, দুটি হ্যান্ডকাফসহ বেশ কিছু সরঞ্জাম উদ্ধার করা হয়। এগুলো র্যাব সদস্য সেজে অপরাধ সংঘটনের কাজে ব্যবহার করা হচ্ছিল বলে র্যাব জানায়।
র্যাব-১০ জানায়, গ্রেফতারকৃত আসামি মোঃ মনিরের বিরুদ্ধে পূর্বে থেকেই ১৩টি মামলা রয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে মাদক মামলা ও সরকারি কর্মকর্তা পরিচয়ে প্রতারণার মামলা। তাকে পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য যাত্রাবাড়ী থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।
আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কর্মকর্তারা মনে করছেন, এই চক্রের বাকি তিন সদস্যকেও দ্রুত আইনের আওতায় আনা সম্ভব হবে। একই সঙ্গে রাজধানীতে র্যাব বা পুলিশ পরিচয়ে দস্যুতা ও প্রতারণামূলক অপরাধ রোধে বিশেষ অভিযান অব্যাহত থাকবে।
মোঃ আসিফ চৌধুরী
২৪:০৯:২০২৫

























