
তৌসিফ রেজা (সৈয়দপুর), নীলফামারী:
নীলফামারীর সৈয়দপুরে দোকান ঘর আত্মসাতের অপচেষ্টা ও ষড়যন্ত্রমূলক মিথ্যা মামলার অভিযোগ এনে সংবাদ সম্মেলন করেছেন এক ভুক্তভোগী পরিবারের সদস্যরা।
বৃহস্পতিবার রাত ৮টার দিকে নিজ বাড়িতে আয়োজিত ওই সংবাদ সম্মেলনে অভিযোগ করেন মুন্সিপাড়ার মোছা. সাফতার বেগমের পরিবার।
লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন তার নাতি, যিনি জানান ১৯৭৫ সালের ৩১ জানুয়ারি শেরেবাংলা সড়কের পশ্চিম পার্শ্বে রেললাইন সংলগ্ন মুন্সিপাড়া এলাকার ৬৯৪ নম্বর প্লটে ৯৯০ বর্গফুট আয়তনের রেলওয়ের বাণিজ্যিক জায়গা রেলওয়ে কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে ইঞ্জিনিয়ারিং ওয়ার্কশপ স্থাপনের জন্য বরাদ্দ নেন মঈন উদ্দিন।
পরবর্তীতে ১৯৯৮ সালের ২৫ সেপ্টেম্বর ওই জায়গা সৈয়দপুর পৌরসভার আওতায় আসায়, পৌরসভার কাছ থেকে ৩৫ বছরের জন্য নববরাদ্দ নিয়ে ‘মঈন লেদ মেশিন’ নামে ব্যবসা শুরু করেন তিনি। পরে টিনসেড দোকান ঘর ভেঙে নির্মাণ করেন আধুনিক মার্কেট ‘মঈন ম্যানশন’।
অভিযোগ অনুযায়ী, সেখানে দুটি দোকান ভাড়া নেন মুন্সিপাড়ার মৃত ভোলা মিয়ার ছেলে আশরাফ হোসেন। তিনি দীর্ঘদিন নিয়মিত ভাড়া দিয়ে ব্যবসা পরিচালনা করলেও চুক্তির মেয়াদ শেষে দোকান দুটি না ছাড়ার পাশাপাশি কৌশলে সেগুলো নিজের দখলে নেওয়ার চেষ্টা করেন বলে মালিক পক্ষের দাবি।
পরিবারটির অভিযোগ, আশরাফ হোসেন রেলওয়ে কর্তৃপক্ষকে বিভ্রান্তিকর তথ্য দিয়ে ৩৭৮ বর্গফুট জায়গা নিজের নামে লিজ নেওয়ার উদ্যোগ নেন এবং দোকান দুটি নিজের দাবি করে আদালতে দুটি মামলা (নং ৪৯৩/২৪ ও ৮১/২৫) দায়ের করেন। এ মামলাগুলো বর্তমানে নীলফামারী জেলা জজ আদালতে বিচারাধীন রয়েছে।
সংবাদ সম্মেলনে আরও জানানো হয়, রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ তদন্ত শেষে আশরাফ হোসেনের লিজ আবেদন বাতিল করে মঈন উদ্দিনের নামে পুনর্বহাল করে এবং চলতি বছর লিজ নবায়নও করা হয়। তবুও আশরাফ হোসেন দোকান ঘর ছাড়তে অস্বীকৃতি জানিয়ে মালিক পক্ষকে বিভিন্নভাবে হয়রানি করছেন বলে দাবি করেন তারা।
পরিবারটি আরও জানায়, দোকান ঘর ছাড়ার অনুরোধ করলে আশরাফ হোসেন নানাভাবে ভয়ভীতি প্রদর্শন করেন, যার কারণে তারা বর্তমানে নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন।
তারা নিজস্ব দোকান ঘরের দখল ও ন্যায্য অধিকার ফিরে পেতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের জরুরি হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।




















