, মঙ্গলবার, ১৮ নভেম্বর ২০২৫, ৪ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
শেখ হাসিনার মৃত্যুদন্ড রায়ের পর মিষ্টি বিতরণে সংঘর্ষ: বাবুগঞ্জে ছাত্রদল নেতার মৃত্যু কেরানীগঞ্জে ডিবির অভিযানে ইয়াবাসহ এক যুবক গ্রেপ্তার: ঢাকায় অবস্থানরত হিজলা মেহেন্দিগঞ্জ কাজিরহাট বাসীর মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত স্বাধীন সংবাদের ২২তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকীতে নূরুল হক নূরকে আমন্ত্রণ বরিশাল-৫ এ প্রথমবারের মতো প্রার্থী হচ্ছেন লায়ন উমার রাযী আজিমপুর কবরস্থানের দুর্ধর্ষ  চাঁদাবাজ আরমান গ্রেপ্তার ঢাকা-৩ আসনে অধ্যক্ষ শাহীনুর ইসলামের উদ্যোগে ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্প, চিকিৎসাসেবায় ভিড় এলাকাবাসীর জাতীয় দৃষ্টি প্রতিবন্ধী সংস্থার বার্ষিক সাধারণ সভা,ও দৃষ্টি প্রতিবন্ধীদের মাঝে আর্থিক অনুদান বিতরণ অনুষ্ঠান ২০২৫ অনুষ্ঠিত। ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধেই নির্বাচন, সন্দেহের সুযোগ নেই’– আমান উল্লাহ আমান  লোহজং থানার পুলিশ পরিদর্শক তদন্ত মোঃ মনিরুজ্জামানের সাংবাদিকের ক্যামেরা ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা

কেরানীগঞ্জে বিস্ফোরক মামলার আসামি ও আওয়ামীলীগের নেতা হয়েও বহাল মেম্বার বাবুল দেওয়ান

  • প্রকাশের সময় : ০৬:৪২ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৮ আগস্ট ২০২৫
  • ২৫৯ পড়া হয়েছে

 

 

 

 

আসিফ চৌধুরী, বিশেষ সংবাদদাতা ঢাকা :

 

ঢাকার কেরানীগঞ্জের তেঘরিয়া ইউনিয়ন পরিষদের বর্তমান ৮নং ওয়ার্ডের সদস্য (মেম্বার) মো. বাবুল দেওয়ান বিস্ফোরক দ্রব্য আইনে দায়ের করা মামলায় আসামি হলেও এখনো বহাল তবিয়তে জনপ্রতিনিধির দায়িত্ব পালন করছেন। বিষয়টি নিয়ে এলাকায় ব্যাপক আলোচনা ও সমালোচনার সৃষ্টি হয়েছে। স্থানীয়দের প্রশ্ন—একজন আসামি ও আওয়ামীলীগের নেতা হয়েপ

কীভাবে নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি হিসেবে দায়িত্বে থাকতে পারেন?

 

 

 

জানা গেছে, ২০২৪ সালে ছাত্রহত্যার সাথে জড়িত ও দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানায় বাবুল দেওয়ানের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে একটি মামলা দায়ের হয়। ঢাকা জেলা ডিবি পুলিশ তাকে গ্রেফতার করে কিছুদিন কারাগারে থাকলেও পরবর্তীতে জামিনে মুক্তি পান এবং আবার ইউনিয়ন পরিষদের কার্যক্রমে সক্রিয় হয়ে ওঠেন।

 

 

স্থানীয়দের অভিযোগ, বাবুল দেওয়ান দীর্ঘদিন ধরে তৎকালীন উপজেলা চেয়ারম্যান শাহীন আহমেদের ঘনিষ্ঠ ও তেঘরিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান লাট মিয়ার আস্থাভাজন বলেও পরিচিত। এ দুইজনের ছায়াতলে থেকে তিনি প্রভাবশালী অবস্থান তৈরি করেছেন।

 

একজন দোকানদার নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন,“বাবুল ভাইয়ের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছিল, সবাই জানে। কিন্তু উনি আবার ফিরে এসে আগের মতই সবকিছু চালাচ্ছেন। যেহেতু উপরে তার লোক আছে, কেউ কিছু বলতে সাহস পায় না।”

 

 

তেঘরিয়া এলাকার বাসিন্দা রফিকুল ইসলাম বলেন, “আমরা চাই, যারা ইউনিয়ন পরিষদে থাকবে, তারা যেন সৎ ও নির্ভেজাল হয়। মামলাবাজ বা দোষী লোক দিয়ে কি ইউনিয়নের উন্নয়ন সম্ভব?”

 

 

 

 

 

এলাকাবাসীর বড় একটি অংশ মনে করে, একজন আওয়ামীলীগের নেতা

ইউনিয়ন পরিষদের মত একটি গুরুত্বপূর্ণ পদে থেকে আইন ও নৈতিকতার পরিপন্থী আচরণ করছেন। এতে করে জনসাধারণের মধ্যে আইনের শাসনের প্রতি আস্থা কমছে এবং গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।

 

এবিষয়ে জানতে চাইলে মুঠোফোনে বাবুল দেওয়ান বলেন, আমি এখনো মেম্বার আছি এটা UNO মেডামকে জিগাস করেন। আর বেশি কিন্তু জানতে চাইলে লাট চেয়ারম্যান ইটভাটার অফিসে আইসেন আমি চেয়ারম্যান সাথে সারাদিন থাকি।

 

এ বিষয়ে কেরানীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) রিনাত ফোজিয়া কে মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগ চেষ্টা করা হলেও যোগাযোগ সম্ভব হয়নি।

জনপ্রিয়

শেখ হাসিনার মৃত্যুদন্ড রায়ের পর মিষ্টি বিতরণে সংঘর্ষ: বাবুগঞ্জে ছাত্রদল নেতার মৃত্যু

কেরানীগঞ্জে বিস্ফোরক মামলার আসামি ও আওয়ামীলীগের নেতা হয়েও বহাল মেম্বার বাবুল দেওয়ান

প্রকাশের সময় : ০৬:৪২ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৮ আগস্ট ২০২৫

 

 

 

 

আসিফ চৌধুরী, বিশেষ সংবাদদাতা ঢাকা :

 

ঢাকার কেরানীগঞ্জের তেঘরিয়া ইউনিয়ন পরিষদের বর্তমান ৮নং ওয়ার্ডের সদস্য (মেম্বার) মো. বাবুল দেওয়ান বিস্ফোরক দ্রব্য আইনে দায়ের করা মামলায় আসামি হলেও এখনো বহাল তবিয়তে জনপ্রতিনিধির দায়িত্ব পালন করছেন। বিষয়টি নিয়ে এলাকায় ব্যাপক আলোচনা ও সমালোচনার সৃষ্টি হয়েছে। স্থানীয়দের প্রশ্ন—একজন আসামি ও আওয়ামীলীগের নেতা হয়েপ

কীভাবে নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি হিসেবে দায়িত্বে থাকতে পারেন?

 

 

 

জানা গেছে, ২০২৪ সালে ছাত্রহত্যার সাথে জড়িত ও দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানায় বাবুল দেওয়ানের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে একটি মামলা দায়ের হয়। ঢাকা জেলা ডিবি পুলিশ তাকে গ্রেফতার করে কিছুদিন কারাগারে থাকলেও পরবর্তীতে জামিনে মুক্তি পান এবং আবার ইউনিয়ন পরিষদের কার্যক্রমে সক্রিয় হয়ে ওঠেন।

 

 

স্থানীয়দের অভিযোগ, বাবুল দেওয়ান দীর্ঘদিন ধরে তৎকালীন উপজেলা চেয়ারম্যান শাহীন আহমেদের ঘনিষ্ঠ ও তেঘরিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান লাট মিয়ার আস্থাভাজন বলেও পরিচিত। এ দুইজনের ছায়াতলে থেকে তিনি প্রভাবশালী অবস্থান তৈরি করেছেন।

 

একজন দোকানদার নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন,“বাবুল ভাইয়ের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছিল, সবাই জানে। কিন্তু উনি আবার ফিরে এসে আগের মতই সবকিছু চালাচ্ছেন। যেহেতু উপরে তার লোক আছে, কেউ কিছু বলতে সাহস পায় না।”

 

 

তেঘরিয়া এলাকার বাসিন্দা রফিকুল ইসলাম বলেন, “আমরা চাই, যারা ইউনিয়ন পরিষদে থাকবে, তারা যেন সৎ ও নির্ভেজাল হয়। মামলাবাজ বা দোষী লোক দিয়ে কি ইউনিয়নের উন্নয়ন সম্ভব?”

 

 

 

 

 

এলাকাবাসীর বড় একটি অংশ মনে করে, একজন আওয়ামীলীগের নেতা

ইউনিয়ন পরিষদের মত একটি গুরুত্বপূর্ণ পদে থেকে আইন ও নৈতিকতার পরিপন্থী আচরণ করছেন। এতে করে জনসাধারণের মধ্যে আইনের শাসনের প্রতি আস্থা কমছে এবং গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।

 

এবিষয়ে জানতে চাইলে মুঠোফোনে বাবুল দেওয়ান বলেন, আমি এখনো মেম্বার আছি এটা UNO মেডামকে জিগাস করেন। আর বেশি কিন্তু জানতে চাইলে লাট চেয়ারম্যান ইটভাটার অফিসে আইসেন আমি চেয়ারম্যান সাথে সারাদিন থাকি।

 

এ বিষয়ে কেরানীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) রিনাত ফোজিয়া কে মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগ চেষ্টা করা হলেও যোগাযোগ সম্ভব হয়নি।