
হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসকদের ৬ দফা দাবী আদায়ের জন্য জাতীয় প্রেসক্লাবে সাংবাদিক সম্মেলন ।
আসিফ চৌধুরী, বিশেষ সংবাদদাতা ঢাকা :
হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসকদের নামের আগে ‘ডাক্তার (ডা.)’ পদবী ব্যবহার না করার বিষয়ে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা মূলক চিঠি অনতিবিলম্বে বাতিলসহ ৬ দফা দাবি জানানো হয়েছে হোমিওপ্যাথি চিকিৎসকদের পক্ষ থেকে এই দাবি বাস্তবায়নের লক্ষ্যে আজ মঙ্গলবার (২ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবের তোফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া হলে সংবাদ সম্মেলনে “‘হোমিওপ্যাথিক স্বার্থ সংরক্ষণ জাতীয় কমিটি’র পক্ষ থেকে এসব দাবি উপস্থাপন করা হয়।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন কমিটির আহ্বায়ক ডাঃ মোঃ আরিফুর রহমান মোল্লা। লিখিত বক্তব্যে বলা হয়, গত ১০ আগস্ট স্বাস্থ্য শিক্ষা ও পরিবার কল্যাণ বিভাগের উপসচিব স্বাক্ষরিত একটি পত্র জারি হয়। যেখানে বিষয় হিসেবে উল্লেখ রয়েছে, “বাংলাদেশ মেডিকেল ও ডেন্টাল কাউন্সিল আইন ২০১০ এর ধারা ২৯ (১) অনুসরণপূর্বক ‘ডাক্তার (ডা.)’ পদবী ব্যবহার সংক্রান্ত। ওই পত্রের সর্বশেষ অনুচ্ছেদে বলা হয়েছে, “এমতাবস্থায় স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন বিভাগ, অধিদপ্তর, দপ্তর ও সংস্থাসমূহে বাংলাদেশ মেডিকেল ও ডেন্টাল কাউন্সিল আইন-২০১০ ও হাইকোর্টের রায় অনুযায়ী এমবিবিএস ও বিডিএস ডিগ্রীধারী ব্যতীত অন্যান্য পেশাজীবীদের (হোমিওপ্যাথি, আয়ুর্বেদিক ও ইউনানী) নামের পূর্বে ‘ডাক্তার (ডা.)’ পদবী ব্যবহার না করার জন্য নির্দেশক্রমে অনুরোধ করা হলো”।
এ নির্দেশনাকে পরস্পরবিরোধী, অসামঞ্জস্য ও সাংঘর্ষিক বলে দ্রুত এই চিঠি বাতিলের জানানো হয়। সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, জাতীয় সংসদে সর্বসম্মতভাবে পাসকৃত “বাংলাদেশ হোমিওপ্যাথি চিকিৎসা শিক্ষা আইন-২০২৩” অনুযায়ী হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসকদের নামের পূর্বে ‘ডাক্তার (ডা.)’ পদবী ব্যবহারের আইনগত অনুমোদন রয়েছে। তাছাড়া মন্ত্রণালয়ের চিঠিতে হাইকোর্টের রায়ের উল্লেখ রয়েছে। এটিও বিভ্রান্তিকর। কেননা হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে সুপ্রিমকোর্টের আপিল বিভাগে লিভ টু আপিল মঞ্জুর করে সেটি এখন বিচারাধীন রয়েছে। অন্যদিকে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইন-২০১৮ এর ১২ ধারাতেও “চিকিৎসক অর্থ এমবিবিএস ও বিডিএস, নিবন্ধিত হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসক এবং ভেটেরেনারী চিকিৎসক” হিসেবে গণ্য হবেন বলে উল্লেখ রয়েছে।
সংবাদ সম্মেলনে হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসকদের বিদ্যমান সংকট সমাধানে বিভিন্ন দাবি উপস্থাপন করে সেগুলো সমাধানে আহ্বান জানানো হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে-হোমিওপ্যাথি চিকিৎসা শিক্ষ আইন-২০২৩ যথাযথভাবে কার্যকর এবং দ্রুত হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা শিক্ষা কাউন্সিল গঠন; হোমিওপ্যাথিক মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালসমূহে কর্মরতদের শতভাগ বেতনভাতা জাতীয় বেতন স্কেল ২০১৫ অনুযায়ী প্রদানের নীতিমালাসহ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ; সু চিকিৎসা নিশ্চিন্তে বিদেশ থেকে মানসম্মত ঔষধ আমদানির ক্ষেত্রে জটিলতা নিরসন সহ যাবতীয় দাবি মেনে নেয়ার জন্য সরকারের কাছে আহ্বান জানান ।সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য উপস্থাপন করেন সংগঠনের আহবায়ক ডাঃ আরিফুর রহমান মোল্লা সাংবাদিকের প্রশ্নের উত্তর দেন সদস্য সচিব ডাঃ শফিকুল আলম নাদিম , উপদেষ্টা ডা. নজরুল ইসলাম ভূইঁয়া,ডাঃ আশরাফ উদ্দিন , ডা. নাসির উদ্দিন শেখ । আরো উপস্থিত ছিলেন ডা.বজলুল হাসান, ডা.মাহবুব হাফিজ ,ডা. মসিউজ্জামান পান্নু, ডা. এ.কে.এম. জাকির হোসেন, মুখ্য সমন্বয়কারী ডা. মোঃ মজিবুল্যাহ মজিব ,সমন্বয়কারী ‘ডা. খলিলুর রহমান ,ডা. শাহজালাল আহমেদ ,ডা. নাইমুল হক ,ডা. কাসেমুর রহমান ,ডা. আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ ,ডা. আব্দুল আলীম ,ডা. মামুন হাসিব ভূইঁয়া ফয়সাল মেহবুব মিজু প্রমূখ।