, মঙ্গলবার, ১৮ নভেম্বর ২০২৫, ৪ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
শেখ হাসিনার মৃত্যুদন্ড রায়ের পর মিষ্টি বিতরণে সংঘর্ষ: বাবুগঞ্জে ছাত্রদল নেতার মৃত্যু কেরানীগঞ্জে ডিবির অভিযানে ইয়াবাসহ এক যুবক গ্রেপ্তার: ঢাকায় অবস্থানরত হিজলা মেহেন্দিগঞ্জ কাজিরহাট বাসীর মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত স্বাধীন সংবাদের ২২তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকীতে নূরুল হক নূরকে আমন্ত্রণ বরিশাল-৫ এ প্রথমবারের মতো প্রার্থী হচ্ছেন লায়ন উমার রাযী আজিমপুর কবরস্থানের দুর্ধর্ষ  চাঁদাবাজ আরমান গ্রেপ্তার ঢাকা-৩ আসনে অধ্যক্ষ শাহীনুর ইসলামের উদ্যোগে ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্প, চিকিৎসাসেবায় ভিড় এলাকাবাসীর জাতীয় দৃষ্টি প্রতিবন্ধী সংস্থার বার্ষিক সাধারণ সভা,ও দৃষ্টি প্রতিবন্ধীদের মাঝে আর্থিক অনুদান বিতরণ অনুষ্ঠান ২০২৫ অনুষ্ঠিত। ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধেই নির্বাচন, সন্দেহের সুযোগ নেই’– আমান উল্লাহ আমান  লোহজং থানার পুলিশ পরিদর্শক তদন্ত মোঃ মনিরুজ্জামানের সাংবাদিকের ক্যামেরা ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা

স্ত্রীর প্রতারণায় নিখোঁজ ফরহাদ পরিবার থেকে ঘুম করে রাখার অভিযোগ তাকে ফিরে পেতে চায় পরিবার

  • প্রকাশের সময় : ১০:০৩ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২৫
  • ৪০ পড়া হয়েছে

 

 

 

২০১৮ সালের ২০ ফেব্রুয়ারি সকাল থেকে যে প্রহর গোনা শুরু হয়েছিল, তা যেন শেষই হচ্ছে না। সালাউদ্দিন হাওলাদারের ছেলে ফরহাদ হোসেন (২৭) সেদিন কেরানীগঞ্জের আব্দুল্লাহপুর বালুরটেকে থেকে লক্ষ্মীপুরের বাড়ির উদ্দেশ্যে রওনা দেওয়ার কথা ছিল। কিন্তু সেদিনই যেন থেমে গেল তাদের পরিবারের স্বাভাবিক জীবন। সেই থেকে আজ অবধি নিখোঁজ ফরহাদ আর কোনোদিন বাড়ি ফেরেনি।

 

 

হাজিরহাট উপকূল কলেজের বি.এ দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র ছিলেন ফরহাদ। পড়াশোনায় ভদ্র, শান্ত-শিষ্ট এই যুবকের স্বপ্ন ছিল পড়ালেখা শেষ করে সংসারের হাল ধরার। চাচা কামরুল ইসলাম বলেন, “আমরা কখনো ভাবিনি ফরহাদ এমনভাবে হারিয়ে যাবে। পড়াশোনার পাশাপাশি পরিবারের খোঁজ-খবর নিতো নিয়মিত। এমন সন্তান হারানোর যন্ত্রণা ভাষায় প্রকাশ করা যায় না।

 

 

পরিবারের দাবি—স্ত্রীর প্রতারণার ফাঁদেই ফরহাদ হারিয়ে গেছেন। ফরহাদের স্ত্রী শিরিন কেরানীগঞ্জ আব্দুল্লাহপুর বালুরটেক টেম্পু স্টেশন এলাকার বাসিন্দা। জানা যায়, শিরিনের আগের স্বামীর নাম জামাল, যিনি স্থানীয়ভাবে নানা অপকর্মের সঙ্গে জড়িত ছিলেন। শিরিনের বাবার নাম নূর জামান, বাড়ি পশ্চিম আটি সোনাকান্দা এলাকায়।

 

ফরহাদের মা কেঁদে কেঁদে বলেন, “আমার ছেলেকে কেউ ধরে রাখছে, আমি জানি। বউয়ের সঙ্গে ওর সম্পর্কটা ভালো ছিল না। ছেলেকে যদি বাঁচিয়ে রাখে তবে যেন ফিরিয়ে দেয়।

 

 

নিখোঁজ হওয়ার পরদিন থেকেই পরিবার মরিয়া হয়ে খুঁজতে থাকে ফরহাদকে। আত্মীয়-স্বজন, পরিচিতজন, এমনকি আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কাছেও ছুটে গেছেন তারা। কিন্তু কোথাও কোনো সাড়া মেলেনি। কেরানীগঞ্জ থেকে শুরু করে গ্রামের মাটিতে পর্যন্ত হন্যে হয়ে খুঁজেও পাওয়া যায়নি কোনো খোঁজ।

 

চাচা কামরুল ইসলাম বলেন, “ফরহাদ নিখোঁজ হওয়ার পর থেকেই আমরা সন্দেহ করছি, শিরিন ও তার পরিবারের সঙ্গে কোনো না কোনোভাবে এ ঘটনার যোগসাজশ আছে। তবে প্রমাণের অভাবে আমরা কিছুই করতে পারছি না।

 

আজও প্রতিদিন সন্ধ্যায় বাড়ির আঙিনায় দাঁড়িয়ে থাকেন ফরহাদের মা। মনে মনে ভাবেন, হয়তো হঠাৎ দরজায় কড়া নেড়ে বলবে—“আম্মা, আমি ফিরেছি।” কিন্তু সেই প্রতীক্ষা প্রতিদিনই শেষ হয় অশ্রুতে।

 

পরিবারের অন্য সদস্যরাও দিশেহারা। তারা শুধু জানতে চান—ফরহাদ কোথায়? কেন তাকে এমনভাবে গুম করে রাখা হলো।

 

যদি কোনো সহৃদয় ব্যক্তি ফরহাদের সন্ধান পেয়ে থাকেন, তবে পরিবারের পক্ষ থেকে নিচের নম্বরে যোগাযোগ করার জন্য অনুরোধ জানানো হয়েছে।

যোগাযোগ নাম্বার : ০১৭৩১৮৬০০৬০,০১৭২২৫৬৯৩৯৯, ০১৮২২৫৬৯৩৯৯, ০১৬৩২৩০৪৪৫৫ ফরহাদ কে নিয়ে ঘুম করে রাখেন স্ত্রী তার নাম্বার: ০১৭৭০৩৫৯৫৬৪

 

স্ত্রীর প্রতারণা ও রহস্যজনক নিখোঁজের এ ঘটনার ৭ বছর কেটে গেলেও আজও প্রিয় ফরহাদকে ফিরে পাওয়ার আশায় বুক বেঁধে আছে তার পরিবার। তাদের একটাই আহ্বান—“ফরহাদকে ফেরত দাও, আমাদের বুকের শূন্যতা ভরাট করতে দাও।

 

জনপ্রিয়

শেখ হাসিনার মৃত্যুদন্ড রায়ের পর মিষ্টি বিতরণে সংঘর্ষ: বাবুগঞ্জে ছাত্রদল নেতার মৃত্যু

স্ত্রীর প্রতারণায় নিখোঁজ ফরহাদ পরিবার থেকে ঘুম করে রাখার অভিযোগ তাকে ফিরে পেতে চায় পরিবার

প্রকাশের সময় : ১০:০৩ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২৫

 

 

 

২০১৮ সালের ২০ ফেব্রুয়ারি সকাল থেকে যে প্রহর গোনা শুরু হয়েছিল, তা যেন শেষই হচ্ছে না। সালাউদ্দিন হাওলাদারের ছেলে ফরহাদ হোসেন (২৭) সেদিন কেরানীগঞ্জের আব্দুল্লাহপুর বালুরটেকে থেকে লক্ষ্মীপুরের বাড়ির উদ্দেশ্যে রওনা দেওয়ার কথা ছিল। কিন্তু সেদিনই যেন থেমে গেল তাদের পরিবারের স্বাভাবিক জীবন। সেই থেকে আজ অবধি নিখোঁজ ফরহাদ আর কোনোদিন বাড়ি ফেরেনি।

 

 

হাজিরহাট উপকূল কলেজের বি.এ দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র ছিলেন ফরহাদ। পড়াশোনায় ভদ্র, শান্ত-শিষ্ট এই যুবকের স্বপ্ন ছিল পড়ালেখা শেষ করে সংসারের হাল ধরার। চাচা কামরুল ইসলাম বলেন, “আমরা কখনো ভাবিনি ফরহাদ এমনভাবে হারিয়ে যাবে। পড়াশোনার পাশাপাশি পরিবারের খোঁজ-খবর নিতো নিয়মিত। এমন সন্তান হারানোর যন্ত্রণা ভাষায় প্রকাশ করা যায় না।

 

 

পরিবারের দাবি—স্ত্রীর প্রতারণার ফাঁদেই ফরহাদ হারিয়ে গেছেন। ফরহাদের স্ত্রী শিরিন কেরানীগঞ্জ আব্দুল্লাহপুর বালুরটেক টেম্পু স্টেশন এলাকার বাসিন্দা। জানা যায়, শিরিনের আগের স্বামীর নাম জামাল, যিনি স্থানীয়ভাবে নানা অপকর্মের সঙ্গে জড়িত ছিলেন। শিরিনের বাবার নাম নূর জামান, বাড়ি পশ্চিম আটি সোনাকান্দা এলাকায়।

 

ফরহাদের মা কেঁদে কেঁদে বলেন, “আমার ছেলেকে কেউ ধরে রাখছে, আমি জানি। বউয়ের সঙ্গে ওর সম্পর্কটা ভালো ছিল না। ছেলেকে যদি বাঁচিয়ে রাখে তবে যেন ফিরিয়ে দেয়।

 

 

নিখোঁজ হওয়ার পরদিন থেকেই পরিবার মরিয়া হয়ে খুঁজতে থাকে ফরহাদকে। আত্মীয়-স্বজন, পরিচিতজন, এমনকি আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কাছেও ছুটে গেছেন তারা। কিন্তু কোথাও কোনো সাড়া মেলেনি। কেরানীগঞ্জ থেকে শুরু করে গ্রামের মাটিতে পর্যন্ত হন্যে হয়ে খুঁজেও পাওয়া যায়নি কোনো খোঁজ।

 

চাচা কামরুল ইসলাম বলেন, “ফরহাদ নিখোঁজ হওয়ার পর থেকেই আমরা সন্দেহ করছি, শিরিন ও তার পরিবারের সঙ্গে কোনো না কোনোভাবে এ ঘটনার যোগসাজশ আছে। তবে প্রমাণের অভাবে আমরা কিছুই করতে পারছি না।

 

আজও প্রতিদিন সন্ধ্যায় বাড়ির আঙিনায় দাঁড়িয়ে থাকেন ফরহাদের মা। মনে মনে ভাবেন, হয়তো হঠাৎ দরজায় কড়া নেড়ে বলবে—“আম্মা, আমি ফিরেছি।” কিন্তু সেই প্রতীক্ষা প্রতিদিনই শেষ হয় অশ্রুতে।

 

পরিবারের অন্য সদস্যরাও দিশেহারা। তারা শুধু জানতে চান—ফরহাদ কোথায়? কেন তাকে এমনভাবে গুম করে রাখা হলো।

 

যদি কোনো সহৃদয় ব্যক্তি ফরহাদের সন্ধান পেয়ে থাকেন, তবে পরিবারের পক্ষ থেকে নিচের নম্বরে যোগাযোগ করার জন্য অনুরোধ জানানো হয়েছে।

যোগাযোগ নাম্বার : ০১৭৩১৮৬০০৬০,০১৭২২৫৬৯৩৯৯, ০১৮২২৫৬৯৩৯৯, ০১৬৩২৩০৪৪৫৫ ফরহাদ কে নিয়ে ঘুম করে রাখেন স্ত্রী তার নাম্বার: ০১৭৭০৩৫৯৫৬৪

 

স্ত্রীর প্রতারণা ও রহস্যজনক নিখোঁজের এ ঘটনার ৭ বছর কেটে গেলেও আজও প্রিয় ফরহাদকে ফিরে পাওয়ার আশায় বুক বেঁধে আছে তার পরিবার। তাদের একটাই আহ্বান—“ফরহাদকে ফেরত দাও, আমাদের বুকের শূন্যতা ভরাট করতে দাও।