, সোমবার, ২১ জুলাই ২০২৫, ৬ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
কেরানীগঞ্জে পার্কিং করে রাখা একটি যাত্রীবাহী বাসে আগুন লাগিয়ে দিয়েছে: দুর্বৃত্তরা  জুলাই শহিদদের আত্মত্যাগ ও তাদের আকাঙ্খা বাস্তবায়নে জুলাই বিপ্লবকে বুকে ধারণ করতে হবে: বাবু গয়েশ্বর চন্দ্র রায়  জুলাই-আগস্ট বিপ্লবের শহীদদের স্মরণে মেহেন্দিগঞ্জে বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি পালন মানবিকতার ছায়াতলে নদীভাঙনপ্রবণ চরাঞ্চল: মেহেন্দিগঞ্জে প্রকল্প উদ্বোধন ও জনগণের পাশে অ্যাডভোকেট এম হেলাল উদ্দিন দক্ষিণ কেরানীগঞ্জে চাঁদাবাজ বিরোধী অভিযানে গ্রেফতার ৩ শেরে-ই-বাংলা সাংস্কৃতিক জোট এর উদ্যোগে অবিভক্ত বাংলার প্রধানমন্ত্রী শেরে বাংলা এ কে ফজলুলহক এর জীবনী শীর্ষক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত রাজপথের লড়াকু সৈনিক মোঃ হযরত আলী: দলের প্রতি অকুণ্ঠ ভালবাসা ও ত্যাগের এক অনন্য উদাহরণ দক্ষিণ কেরানীগঞ্জে পুলিশের অভিযানে ভূমিদস্যু ও চাঁদাবাজ গ্রেপ্তার: কেরাণীগঞ্জে পরিবহনে চাঁদাবাজির সময় গ্রেফতার ০৩ জন মানবিক পুলিশ সুপার এর মানবিকতায় নতুন জীবন পেল কিশোরী সামিয়া

আদালত চত্বরে দুই কাজিকে প্রকাশ্যে লাঞ্ছিত করলেন এক নারী

  • প্রকাশের সময় : ০৬:৩৮ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৫ জুলাই ২০২৫
  • ২৪ পড়া হয়েছে

 

 

 

১৪-০৭-২০২৫

 

স্টাফ রিপোর্টার

 

রাজশাহীর আদালত চত্বরে দুই কাজীকে প্রকাশ্যে শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করার একটি ঘটনা ঘটেছে।

 

সোমবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে বোয়ালিয়া থানার আমলি আদালতের সামনে এই ঘটনা ঘটে,যেখানে ভুক্তভোগী কাজী মোঃ মোকাদ্দিম হোসেন শাওন এবং নিকাহ রেজিস্ট্রার কাজী মোঃ মোস্তফা হোসেন উপস্থিত ছিলেন।

 

ভুক্তভোগী কাজী শাওন জানান,হামলাকারী নারী মোসাঃ মুনিয়া আফরোজ মনি,যিনি সাবেক মেয়র লিটনের আস্থাভাজন এবং শাহমখদুম থানার বড়বনগ্রাম রাইপাড়া এলাকার বাসিন্দা।

 

তিনি দীর্ঘদিন ধরে বিবাহ বহিভূত সম্পর্কের মধ্যে ছিলেন এবং পরে কাজী মোঃ মোস্তফা হোসেনের মাধ্যমে মোঃ মোস্তাফিজুর রহমানের সাথে বিয়ে করেন।

 

বিয়ের পর বর মোঃ মোস্তাফিজুর রহমান গত ১ জুলাই ওই নারী ও কাজীর বিরুদ্ধে জোরপূর্বক বিবাহের অভিযোগে মামলা দায়ের করেন।

 

সোমবার সকালে আদালতে জামিন নিতে আসার সময় কাজী শাওন ও মোস্তফার সঙ্গে হামলাকারীর দেখা হয়। এ সময় মুনিয়া আফরোজ চিৎকার করে কাজী মোস্তফাকে গালিগালাজ করতে থাকেন। কাজী শাওন তাকে গালি দিতে নিষেধ করলে তিনি তাকে গালে থাপ্পড় ও লাথি মারেন।

 

মুনিয়া আফরোজের দাবি,দুই ভাই তাকে প্রতারণা করেছেন এবং দেনমোহরের ৩৮ লাখ টাকা পাওয়ার জন্য তারা তাকে আপস করতে চাপ দিচ্ছেন। তিনি জানান,আপস না করলে কাজী শাওন তাকে লাথি মারেন।

 

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান,আদালত চত্বরে এই ঘটনার সময় উপস্থিত লোকজন ও পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করেন।

 

রাজশাহী জেলা রেজিস্ট্রার আব্দুর রকিব সিদ্দিকী জানান, আদালত চত্বরে কাজীদের লাঞ্ছনার বিষয়টি তার জানা নেই,তবে অভিযোগ পেলে তদন্ত করে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

জনপ্রিয়

কেরানীগঞ্জে পার্কিং করে রাখা একটি যাত্রীবাহী বাসে আগুন লাগিয়ে দিয়েছে: দুর্বৃত্তরা 

আদালত চত্বরে দুই কাজিকে প্রকাশ্যে লাঞ্ছিত করলেন এক নারী

প্রকাশের সময় : ০৬:৩৮ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৫ জুলাই ২০২৫

 

 

 

১৪-০৭-২০২৫

 

স্টাফ রিপোর্টার

 

রাজশাহীর আদালত চত্বরে দুই কাজীকে প্রকাশ্যে শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করার একটি ঘটনা ঘটেছে।

 

সোমবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে বোয়ালিয়া থানার আমলি আদালতের সামনে এই ঘটনা ঘটে,যেখানে ভুক্তভোগী কাজী মোঃ মোকাদ্দিম হোসেন শাওন এবং নিকাহ রেজিস্ট্রার কাজী মোঃ মোস্তফা হোসেন উপস্থিত ছিলেন।

 

ভুক্তভোগী কাজী শাওন জানান,হামলাকারী নারী মোসাঃ মুনিয়া আফরোজ মনি,যিনি সাবেক মেয়র লিটনের আস্থাভাজন এবং শাহমখদুম থানার বড়বনগ্রাম রাইপাড়া এলাকার বাসিন্দা।

 

তিনি দীর্ঘদিন ধরে বিবাহ বহিভূত সম্পর্কের মধ্যে ছিলেন এবং পরে কাজী মোঃ মোস্তফা হোসেনের মাধ্যমে মোঃ মোস্তাফিজুর রহমানের সাথে বিয়ে করেন।

 

বিয়ের পর বর মোঃ মোস্তাফিজুর রহমান গত ১ জুলাই ওই নারী ও কাজীর বিরুদ্ধে জোরপূর্বক বিবাহের অভিযোগে মামলা দায়ের করেন।

 

সোমবার সকালে আদালতে জামিন নিতে আসার সময় কাজী শাওন ও মোস্তফার সঙ্গে হামলাকারীর দেখা হয়। এ সময় মুনিয়া আফরোজ চিৎকার করে কাজী মোস্তফাকে গালিগালাজ করতে থাকেন। কাজী শাওন তাকে গালি দিতে নিষেধ করলে তিনি তাকে গালে থাপ্পড় ও লাথি মারেন।

 

মুনিয়া আফরোজের দাবি,দুই ভাই তাকে প্রতারণা করেছেন এবং দেনমোহরের ৩৮ লাখ টাকা পাওয়ার জন্য তারা তাকে আপস করতে চাপ দিচ্ছেন। তিনি জানান,আপস না করলে কাজী শাওন তাকে লাথি মারেন।

 

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান,আদালত চত্বরে এই ঘটনার সময় উপস্থিত লোকজন ও পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করেন।

 

রাজশাহী জেলা রেজিস্ট্রার আব্দুর রকিব সিদ্দিকী জানান, আদালত চত্বরে কাজীদের লাঞ্ছনার বিষয়টি তার জানা নেই,তবে অভিযোগ পেলে তদন্ত করে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।