, মঙ্গলবার, ১৮ নভেম্বর ২০২৫, ৪ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
শেখ হাসিনার মৃত্যুদন্ড রায়ের পর মিষ্টি বিতরণে সংঘর্ষ: বাবুগঞ্জে ছাত্রদল নেতার মৃত্যু কেরানীগঞ্জে ডিবির অভিযানে ইয়াবাসহ এক যুবক গ্রেপ্তার: ঢাকায় অবস্থানরত হিজলা মেহেন্দিগঞ্জ কাজিরহাট বাসীর মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত স্বাধীন সংবাদের ২২তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকীতে নূরুল হক নূরকে আমন্ত্রণ বরিশাল-৫ এ প্রথমবারের মতো প্রার্থী হচ্ছেন লায়ন উমার রাযী আজিমপুর কবরস্থানের দুর্ধর্ষ  চাঁদাবাজ আরমান গ্রেপ্তার ঢাকা-৩ আসনে অধ্যক্ষ শাহীনুর ইসলামের উদ্যোগে ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্প, চিকিৎসাসেবায় ভিড় এলাকাবাসীর জাতীয় দৃষ্টি প্রতিবন্ধী সংস্থার বার্ষিক সাধারণ সভা,ও দৃষ্টি প্রতিবন্ধীদের মাঝে আর্থিক অনুদান বিতরণ অনুষ্ঠান ২০২৫ অনুষ্ঠিত। ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধেই নির্বাচন, সন্দেহের সুযোগ নেই’– আমান উল্লাহ আমান  লোহজং থানার পুলিশ পরিদর্শক তদন্ত মোঃ মনিরুজ্জামানের সাংবাদিকের ক্যামেরা ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা

মানবিক পুলিশ সুপার এর মানবিকতায় নতুন জীবন পেল কিশোরী সামিয়া

  • প্রকাশের সময় : ০১:২০ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৬ জুলাই ২০২৫
  • ২২৮ পড়া হয়েছে

 

 

নিজস্ব প্রতিবেদক।

কিশোরী সামিয়া ও ঢাকা জেলার পুলিশ সুপার (এসপি) মো. আনিসুজ্জামান। ছবি : এনটিভি

ঢাকা জেলার পুলিশ সুপার (এসপি) মো. আনিসুজ্জামানের মানবিকতায় নতুন জীবন ফিরে পেয়েছে কিশোরী সামিয়া (১২)। হৃৎপিণ্ডের ছিদ্র নিয়ে পৃথিবীতে এসেছিল মেয়েটি। বয়সের সঙ্গে সঙ্গে তার হৃৎপিণ্ডের ভাল্বগুলোর কার্যকারিতা কমে আসছিল, বিপন্ন হয়ে উঠছিল তার জীবন। তার চিকিৎসার সার্বিক ব্যয় বহন করে পাশে দাঁড়ান পুলিশের এসপি মো. আনিসুজ্জামান।

 

 

ফুসফুসের রক্তনালী সরু হওয়া এবং ফুসফুসের রক্ত সঞ্চালন কমে যাওয়ায় শ্বাসকষ্ট, বুকে ব্যথা, তীব্র চাপ, মাথা ঘোরা, হৃৎস্পন্দন বেড়ে যাওয়া বা অনিয়মিত হৃদস্পন্দনের কারণে প্রায়শই অজ্ঞান হয়ে যেত কিশোরী সামিয়া। তাকে নিয়ে চিন্তিত থাকতো পরিবার। সামিয়ার বাবা শামীম হোসেন একজন পোশাক শ্রমিক এবং মা রীমা আক্তার গৃহিণী। চার ভাই-বোনের মধ্যে সামিয়া দ্বিতীয়।

 

 

‘অভাবে চিকিৎসা বন্ধ শিশু সামিয়ার’-গণমাধ্যমে এমন সংবাদ প্রকাশের পর বিষয়টি নজরে আসে পুলিশ সুপার মো. আনিসুজ্জামান এবং তার স্ত্রী রিফাত জাহানের। তারা সামিয়ার চিকিৎসায় এগিয়ে আসেন।

 

ঢাকা জেলার (উত্তর) ট্র্যাফিক ইন্সপেক্টর (প্রশাসন) মো. গোলাম সরোয়ারের মাধ্যমে সামিয়াকে গত ২৩ জুন রাজধানীর ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশন অ্যান্ড রিসার্চ ইনস্টিটিউটে নেওয়া হয়। নানা পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর ৮ জুলাই তার ওপেন হার্ট সার্জারি হয়। অধ্যাপক ডা. মো. শরিফুজ্জামানের নেতৃত্বে মেডিকেল টিম দীর্ঘ সাত ঘণ্টার অস্ত্রোপচার করে। পুরো পরিবারে মুখেই তখন হাসি ফোটে।

হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র নিয়ে মঙ্গলবার (১৫ জুলাই) বাড়ি ফেরার পথে শামীম হোসেন বলেন, নীরবে থেকেই চিকিৎসার যাবতীয় খরচ বহন করেছেন পুলিশ সুপার আনিসুজ্জামান দম্পতি। চোখের সামনে যেখানে আমরা মেয়ের মৃত্যুর প্রহর গুনছিলাম, সেখানে আজ তাকে সুস্থ করে বাড়ি ফিরে যাচ্ছি—এটা যে আমাদের কাছে কতটা বিস্ময়ের তা ভাষায় প্রকাশ করতে পারব না।

কিশোরী সামিয়া বলে, আমিতো মরেই যেতাম। আল্লাহ তায়ালা তাকে পাঠিয়েছিলেন আমাকে বাঁচাতে। আমরা তার জন্য দোয়া করি।

 

সামিয়ার চিকিৎসা ব্যবস্থাপনা ও তদারকির দায়িত্বে থাকা ট্র্যাফিক ইন্সপেক্টর (টি আই) মো. গোলাম সরোয়ার বলেন, তিনি (এসপি মো. আনিসুজ্জামান) আড়ালে থেকে মানুষের কল্যাণে কাজ করতে পছন্দ করেন। তাঁর এই মানবিক গুণাবলীর জন্য ফোর্সের সদস্যরা তাঁকে শ্রদ্ধা করে।

জনপ্রিয়

শেখ হাসিনার মৃত্যুদন্ড রায়ের পর মিষ্টি বিতরণে সংঘর্ষ: বাবুগঞ্জে ছাত্রদল নেতার মৃত্যু

মানবিক পুলিশ সুপার এর মানবিকতায় নতুন জীবন পেল কিশোরী সামিয়া

প্রকাশের সময় : ০১:২০ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৬ জুলাই ২০২৫

 

 

নিজস্ব প্রতিবেদক।

কিশোরী সামিয়া ও ঢাকা জেলার পুলিশ সুপার (এসপি) মো. আনিসুজ্জামান। ছবি : এনটিভি

ঢাকা জেলার পুলিশ সুপার (এসপি) মো. আনিসুজ্জামানের মানবিকতায় নতুন জীবন ফিরে পেয়েছে কিশোরী সামিয়া (১২)। হৃৎপিণ্ডের ছিদ্র নিয়ে পৃথিবীতে এসেছিল মেয়েটি। বয়সের সঙ্গে সঙ্গে তার হৃৎপিণ্ডের ভাল্বগুলোর কার্যকারিতা কমে আসছিল, বিপন্ন হয়ে উঠছিল তার জীবন। তার চিকিৎসার সার্বিক ব্যয় বহন করে পাশে দাঁড়ান পুলিশের এসপি মো. আনিসুজ্জামান।

 

 

ফুসফুসের রক্তনালী সরু হওয়া এবং ফুসফুসের রক্ত সঞ্চালন কমে যাওয়ায় শ্বাসকষ্ট, বুকে ব্যথা, তীব্র চাপ, মাথা ঘোরা, হৃৎস্পন্দন বেড়ে যাওয়া বা অনিয়মিত হৃদস্পন্দনের কারণে প্রায়শই অজ্ঞান হয়ে যেত কিশোরী সামিয়া। তাকে নিয়ে চিন্তিত থাকতো পরিবার। সামিয়ার বাবা শামীম হোসেন একজন পোশাক শ্রমিক এবং মা রীমা আক্তার গৃহিণী। চার ভাই-বোনের মধ্যে সামিয়া দ্বিতীয়।

 

 

‘অভাবে চিকিৎসা বন্ধ শিশু সামিয়ার’-গণমাধ্যমে এমন সংবাদ প্রকাশের পর বিষয়টি নজরে আসে পুলিশ সুপার মো. আনিসুজ্জামান এবং তার স্ত্রী রিফাত জাহানের। তারা সামিয়ার চিকিৎসায় এগিয়ে আসেন।

 

ঢাকা জেলার (উত্তর) ট্র্যাফিক ইন্সপেক্টর (প্রশাসন) মো. গোলাম সরোয়ারের মাধ্যমে সামিয়াকে গত ২৩ জুন রাজধানীর ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশন অ্যান্ড রিসার্চ ইনস্টিটিউটে নেওয়া হয়। নানা পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর ৮ জুলাই তার ওপেন হার্ট সার্জারি হয়। অধ্যাপক ডা. মো. শরিফুজ্জামানের নেতৃত্বে মেডিকেল টিম দীর্ঘ সাত ঘণ্টার অস্ত্রোপচার করে। পুরো পরিবারে মুখেই তখন হাসি ফোটে।

হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র নিয়ে মঙ্গলবার (১৫ জুলাই) বাড়ি ফেরার পথে শামীম হোসেন বলেন, নীরবে থেকেই চিকিৎসার যাবতীয় খরচ বহন করেছেন পুলিশ সুপার আনিসুজ্জামান দম্পতি। চোখের সামনে যেখানে আমরা মেয়ের মৃত্যুর প্রহর গুনছিলাম, সেখানে আজ তাকে সুস্থ করে বাড়ি ফিরে যাচ্ছি—এটা যে আমাদের কাছে কতটা বিস্ময়ের তা ভাষায় প্রকাশ করতে পারব না।

কিশোরী সামিয়া বলে, আমিতো মরেই যেতাম। আল্লাহ তায়ালা তাকে পাঠিয়েছিলেন আমাকে বাঁচাতে। আমরা তার জন্য দোয়া করি।

 

সামিয়ার চিকিৎসা ব্যবস্থাপনা ও তদারকির দায়িত্বে থাকা ট্র্যাফিক ইন্সপেক্টর (টি আই) মো. গোলাম সরোয়ার বলেন, তিনি (এসপি মো. আনিসুজ্জামান) আড়ালে থেকে মানুষের কল্যাণে কাজ করতে পছন্দ করেন। তাঁর এই মানবিক গুণাবলীর জন্য ফোর্সের সদস্যরা তাঁকে শ্রদ্ধা করে।