, সোমবার, ২১ জুলাই ২০২৫, ৬ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
কেরানীগঞ্জে পার্কিং করে রাখা একটি যাত্রীবাহী বাসে আগুন লাগিয়ে দিয়েছে: দুর্বৃত্তরা  জুলাই শহিদদের আত্মত্যাগ ও তাদের আকাঙ্খা বাস্তবায়নে জুলাই বিপ্লবকে বুকে ধারণ করতে হবে: বাবু গয়েশ্বর চন্দ্র রায়  জুলাই-আগস্ট বিপ্লবের শহীদদের স্মরণে মেহেন্দিগঞ্জে বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি পালন মানবিকতার ছায়াতলে নদীভাঙনপ্রবণ চরাঞ্চল: মেহেন্দিগঞ্জে প্রকল্প উদ্বোধন ও জনগণের পাশে অ্যাডভোকেট এম হেলাল উদ্দিন দক্ষিণ কেরানীগঞ্জে চাঁদাবাজ বিরোধী অভিযানে গ্রেফতার ৩ শেরে-ই-বাংলা সাংস্কৃতিক জোট এর উদ্যোগে অবিভক্ত বাংলার প্রধানমন্ত্রী শেরে বাংলা এ কে ফজলুলহক এর জীবনী শীর্ষক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত রাজপথের লড়াকু সৈনিক মোঃ হযরত আলী: দলের প্রতি অকুণ্ঠ ভালবাসা ও ত্যাগের এক অনন্য উদাহরণ দক্ষিণ কেরানীগঞ্জে পুলিশের অভিযানে ভূমিদস্যু ও চাঁদাবাজ গ্রেপ্তার: কেরাণীগঞ্জে পরিবহনে চাঁদাবাজির সময় গ্রেফতার ০৩ জন মানবিক পুলিশ সুপার এর মানবিকতায় নতুন জীবন পেল কিশোরী সামিয়া

রাজপথের লড়াকু সৈনিক মোঃ হযরত আলী: দলের প্রতি অকুণ্ঠ ভালবাসা ও ত্যাগের এক অনন্য উদাহরণ

  • প্রকাশের সময় : ০৮:৫০ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৮ জুলাই ২০২৫
  • ১৬ পড়া হয়েছে

Oplus_34

নিউজ ডেস্ক:-
দৈনিক আলোকিত বিশ্ব
১৮/০৭/২০২৫
কেরানীগঞ্জ মডেল থানাধীন শাক্তা ইউনিয়ন ৫নং ওয়ার্ড কৃষক দলের বর্তমান সভাপতি মোঃ হযরত আলী একজন সংগ্রামী নেতা হিসেবে তৃণমূলে সুপরিচিত। তিনি ছিলেন বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী যুবদলের সাবেক সদস্য। দীর্ঘদিন রাজপথে থেকে দলের আন্দোলন-সংগ্রামে অগ্রণী ভূমিকা পালন করেছেন।

 

হযরত আলী শুধুমাত্র একটি নাম নয়, এটি একটি সংগ্রামের ইতিহাস, ত্যাগের প্রতিচ্ছবি। বিগত বছরগুলোতে বিএনপির ডাকা যেকোনো কর্মসূচি কিংবা গণআন্দোলনে তিনি ছিলেন সম্মুখ সারির সৈনিক। দিনের পর দিন, রাতের পর রাত তিনি রাজপথে কাটিয়েছেন দলের জন্য। এমনকি প্রোগ্রাম করতে গিয়ে রাতের বেলায় ইট দিয়ে বিছানা বানিয়ে খোলা আকাশের নিচে ঘুমিয়েছেন—তবুও রাজপথ ছাড়েননি।

 

একাধিকবার পুলিশি হামলার শিকার হয়ে গুরুতর আহত হন তিনি। অনেকদিন চিকিৎসার পরেও রাজনীতির প্রতি তাঁর ভালোবাসা এতটুকুও কমেনি। অসুস্থ শরীর নিয়েও আন্দোলনের ময়দানে তিনি বারবার ফিরে এসেছেন। শুধু তাই নয়, স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের দ্বারা একাধিকবার সশরীরে হামলার শিকার হয়েছেন, কিন্তু তাঁর মনোবল কোনোদিনও ভাঙেনি।

 

দলের দুর্দিনে যখন অনেকেই আড়ালে চলে যান, তখন মোঃ হযরত আলী ছিলেন এক অনড় চেতনার প্রতীক। তাঁর নেতৃত্বে শাক্তা ইউনিয়নের ৫নং ওয়ার্ড কৃষক দল পুনরায় সংগঠিত হয়েছে, তরুণ কর্মীরা ফিরে পেয়েছে সাহস। একজন মাঠের মানুষ হিসেবে তিনি কর্মীদের সুখ-দুঃখে পাশে থেকেছেন সবসময়। ব্যক্তিগত জীবনে সাদাসিধে হলেও রাজনৈতিক জীবনে তিনি আপসহীন।

 

স্থানীয় বিএনপির নেতাকর্মীদের মতে, “মোঃ হযরত আলীর মতো নিবেদিতপ্রাণ নেতাই আমাদের চলমান আন্দোলনের মূল প্রেরণা। তিনি শুধু নেতা নন, তিনি আমাদের অনুপ্রেরণা।

 

এমন একটি সময় যখন দেশের রাজনীতি কঠিন মোড় নিচ্ছে, তখন মোঃ হযরত আলীর মতো নেতাদের ভূমিকাই গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারে সহায়ক হবে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।

 

পরিশেষে রাজপথের এই সাহসী নেতা মোঃ হযরত আলী প্রমাণ করেছেন, রাজনীতি মানে সুবিধা নয়—এটি ত্যাগ, আত্মত্যাগ, আর জনমানুষের জন্য লড়াই। তাঁর জীবন ও সংগ্রাম আগামীর রাজনীতিকদের জন্য একটি প্রেরণার উৎস হয়ে থাকবে।
জনপ্রিয়

কেরানীগঞ্জে পার্কিং করে রাখা একটি যাত্রীবাহী বাসে আগুন লাগিয়ে দিয়েছে: দুর্বৃত্তরা 

রাজপথের লড়াকু সৈনিক মোঃ হযরত আলী: দলের প্রতি অকুণ্ঠ ভালবাসা ও ত্যাগের এক অনন্য উদাহরণ

প্রকাশের সময় : ০৮:৫০ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৮ জুলাই ২০২৫
নিউজ ডেস্ক:-
দৈনিক আলোকিত বিশ্ব
১৮/০৭/২০২৫
কেরানীগঞ্জ মডেল থানাধীন শাক্তা ইউনিয়ন ৫নং ওয়ার্ড কৃষক দলের বর্তমান সভাপতি মোঃ হযরত আলী একজন সংগ্রামী নেতা হিসেবে তৃণমূলে সুপরিচিত। তিনি ছিলেন বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী যুবদলের সাবেক সদস্য। দীর্ঘদিন রাজপথে থেকে দলের আন্দোলন-সংগ্রামে অগ্রণী ভূমিকা পালন করেছেন।

 

হযরত আলী শুধুমাত্র একটি নাম নয়, এটি একটি সংগ্রামের ইতিহাস, ত্যাগের প্রতিচ্ছবি। বিগত বছরগুলোতে বিএনপির ডাকা যেকোনো কর্মসূচি কিংবা গণআন্দোলনে তিনি ছিলেন সম্মুখ সারির সৈনিক। দিনের পর দিন, রাতের পর রাত তিনি রাজপথে কাটিয়েছেন দলের জন্য। এমনকি প্রোগ্রাম করতে গিয়ে রাতের বেলায় ইট দিয়ে বিছানা বানিয়ে খোলা আকাশের নিচে ঘুমিয়েছেন—তবুও রাজপথ ছাড়েননি।

 

একাধিকবার পুলিশি হামলার শিকার হয়ে গুরুতর আহত হন তিনি। অনেকদিন চিকিৎসার পরেও রাজনীতির প্রতি তাঁর ভালোবাসা এতটুকুও কমেনি। অসুস্থ শরীর নিয়েও আন্দোলনের ময়দানে তিনি বারবার ফিরে এসেছেন। শুধু তাই নয়, স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের দ্বারা একাধিকবার সশরীরে হামলার শিকার হয়েছেন, কিন্তু তাঁর মনোবল কোনোদিনও ভাঙেনি।

 

দলের দুর্দিনে যখন অনেকেই আড়ালে চলে যান, তখন মোঃ হযরত আলী ছিলেন এক অনড় চেতনার প্রতীক। তাঁর নেতৃত্বে শাক্তা ইউনিয়নের ৫নং ওয়ার্ড কৃষক দল পুনরায় সংগঠিত হয়েছে, তরুণ কর্মীরা ফিরে পেয়েছে সাহস। একজন মাঠের মানুষ হিসেবে তিনি কর্মীদের সুখ-দুঃখে পাশে থেকেছেন সবসময়। ব্যক্তিগত জীবনে সাদাসিধে হলেও রাজনৈতিক জীবনে তিনি আপসহীন।

 

স্থানীয় বিএনপির নেতাকর্মীদের মতে, “মোঃ হযরত আলীর মতো নিবেদিতপ্রাণ নেতাই আমাদের চলমান আন্দোলনের মূল প্রেরণা। তিনি শুধু নেতা নন, তিনি আমাদের অনুপ্রেরণা।

 

এমন একটি সময় যখন দেশের রাজনীতি কঠিন মোড় নিচ্ছে, তখন মোঃ হযরত আলীর মতো নেতাদের ভূমিকাই গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারে সহায়ক হবে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।

 

পরিশেষে রাজপথের এই সাহসী নেতা মোঃ হযরত আলী প্রমাণ করেছেন, রাজনীতি মানে সুবিধা নয়—এটি ত্যাগ, আত্মত্যাগ, আর জনমানুষের জন্য লড়াই। তাঁর জীবন ও সংগ্রাম আগামীর রাজনীতিকদের জন্য একটি প্রেরণার উৎস হয়ে থাকবে।