, শুক্রবার, ১২ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ২৭ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী (সা:) ও আহলে বাইত এর স্বরণে পুরান ঢাকায় দোয়া ও মিলাদ মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে।  কেরানীগঞ্জে বিদেশি রিভলবারসহ ২ যুবক গ্রেফতার : বরিশাল জেলা উত্তর কৃষকদলের আহ্বায়ক নলী মোঃ জামাল হোসেন : পরীক্ষিত ও কর্মীবান্ধব নেতা  কেরানীগঞ্জে ফোম কারখানায় আগুন ঢাকায় ইন্টারন্যাশনাল তুগুজকুমালাক ডে উদযাপন: গোসাইরহাটে বিএনপি’র ৪৭ তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ডাকসু নির্বাচন: ভিপি-জিএস-এজিএস তিন শীর্ষ পদেই শিবির সমর্থিত প্যানেলের জয় সুদূর প্রবাসে থেকেও বিএনপির জন্য কাজ করে যাচ্ছেন জিয়া সাইবার ফোর্স জেডসিএফ নেতা রবিউল খন্দকার আগামী ফেব্রুয়ারীর প্রথম সপ্তাহেই নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে–আলহাজ্ব আমান উল্লাহ আমান  জিয়া সাইবার ফোর্স জেডসিএফ-এর বিশেষ আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত

অসংখ্য যুবকের স্বপ্নভঙ্গের নির্মম বাস্তবতা: প্রতারক রফিকুল্লাহ গাজ্জালীর হাতে ধ্বংস একাধিক পরিবার

  • প্রকাশের সময় : ০১:১২ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৮ জুলাই ২০২৫
  • ১০৯ পড়া হয়েছে

 

 

 

নিজস্ব প্রতিবেদক:

 

 

অর্থ উপার্জনের স্বপ্নে বিভোর হয়ে অনেকেই পাড়ি জমায় প্রবাসের পথে। তেমনি সংযুক্ত আরব আমিরাতে (UAE) ভালো চাকরি, স্থায়ী আইডি এবং অধিক বেতনের প্রলোভনে অসংখ্য যুবককে নিয়ে গিয়ে ভয়াবহ প্রতারণার ফাঁদ পেতেছিলেন এক চিহ্নিত প্রতারক—মোঃ রফিকুল্লাহ গাজ্জালী। নিজের স্বার্থসিদ্ধির জন্য তিনি ধ্বংস করেছেন বহু তরুণের জীবন, নিঃস্ব করেছেন অনেক পরিবার।

 

 

রফিকুল্লাহ গাজ্জালীর বাড়ি বাগেরহাট জেলার একটি গ্রামে। দীর্ঘদিন ধরেই তিনি লোক পাঠানোর নামে মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন দেশে অবৈধ পন্থায় মানুষ পাঠিয়ে আসছিলেন। মূলত সংযুক্ত আরব আমিরাতে চাকরির লোভ দেখিয়ে তিনি অসংখ্য বেকার যুবককে প্রলুব্ধ করেন। প্রতিজনের কাছ থেকে মোটা অঙ্কের টাকা নিয়ে তাদের নিয়ে যান দুবাইসহ আমিরাতের বিভিন্ন শহরে। প্রতিশ্রুতি ছিল—চাকরি হবে ভালো কোম্পানিতে, দ্রুত রেসিডেন্স আইডি (ভিসা) করিয়ে দেওয়া হবে এবং থাকা-খাওয়ার সম্পূর্ণ ব্যবস্থাও থাকবে।

 

 

বাস্তবতা ছিল সম্পূর্ণ বিপরীত:-

 

প্রবাসে পৌঁছানোর পর প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী কোনো আইডি বা চাকরি না দিয়ে উল্টো আরও টাকা দাবি করতেন রফিকুল্লাহ। অনেকে ধার করে, গৃহবন্দী হয়ে পড়েও তাকে টাকা দিয়েছেন। কিন্তু তারপরও না মেলেনি কাজ, না মিলেছে আইডি। দিনের পর দিন অবৈধ অবস্থায় পড়ে থাকতে হয়েছে বহু যুবককে। পুলিশের ভয়ে চরম আতঙ্ক আর অমানবিক জীবনযাপন করতে বাধ্য হন তারা।

 

 

 

ভেঙে গেছে বহু স্বপ্ন, নিঃস্ব বহু পরিবার:-

 

একজনের প্ররোচনায় দেশের বহু পরিবার সর্বস্ব হারিয়েছে। বাড়ি বিক্রি করে, ঋণ করে, অনেকেই রফিকুল্লাহর প্রলোভনে পা দিয়েছিল। আজ তাদের কেউ কর্মহীন, কেউ দেশে ফিরে হতাশ, আবার কেউ এখনো অবৈধ হয়ে দিন পার করছেন প্রবাসে। কেউ কেউ মানসিকভাবে এতটাই বিপর্যস্ত যে, আত্মহত্যার চেষ্টাও করেছেন বলে জানা গেছে।

 

 

প্রশাসনের প্রতি দাবি:-

 

ভুক্তভোগী পরিবারগুলোর পক্ষ থেকে দাবি উঠেছে, এই প্রতারকের বিরুদ্ধে দ্রুত আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হোক। তার সম্পদ বাজেয়াপ্ত করে ভুক্তভোগীদের ক্ষতিপূরণ দেওয়ারও জোর দাবি জানানো হয়। একইসাথে, এ ধরনের মানবপাচার ও প্রবাসী নির্যাতনের ঘটনার পুনরাবৃত্তি রোধে যথাযথ মনিটরিং এবং অভিযুক্তদের কঠোর শাস্তি নিশ্চিত করতে আহ্বান জানান মানবাধিকার কর্মীরা।

 

 

 

 

সফল প্রবাস জীবনের স্বপ্ন দেখিয়ে প্রতারক রফিকুল্লাহ গাজ্জালী যেভাবে যুব সমাজকে ধ্বংস করেছেন, তা সমাজের জন্য এক করুণ সতর্কবার্তা। সময় এসেছে এসব প্রতারণার বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ নেওয়ার—না হলে আরও কত রফিকুল্লাহ আরও কত স্বপ্ন কেড়ে নেবে, তার ইয়ত্তা থাকবে না।

 

জনপ্রিয়

পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী (সা:) ও আহলে বাইত এর স্বরণে পুরান ঢাকায় দোয়া ও মিলাদ মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে। 

অসংখ্য যুবকের স্বপ্নভঙ্গের নির্মম বাস্তবতা: প্রতারক রফিকুল্লাহ গাজ্জালীর হাতে ধ্বংস একাধিক পরিবার

প্রকাশের সময় : ০১:১২ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৮ জুলাই ২০২৫

 

 

 

নিজস্ব প্রতিবেদক:

 

 

অর্থ উপার্জনের স্বপ্নে বিভোর হয়ে অনেকেই পাড়ি জমায় প্রবাসের পথে। তেমনি সংযুক্ত আরব আমিরাতে (UAE) ভালো চাকরি, স্থায়ী আইডি এবং অধিক বেতনের প্রলোভনে অসংখ্য যুবককে নিয়ে গিয়ে ভয়াবহ প্রতারণার ফাঁদ পেতেছিলেন এক চিহ্নিত প্রতারক—মোঃ রফিকুল্লাহ গাজ্জালী। নিজের স্বার্থসিদ্ধির জন্য তিনি ধ্বংস করেছেন বহু তরুণের জীবন, নিঃস্ব করেছেন অনেক পরিবার।

 

 

রফিকুল্লাহ গাজ্জালীর বাড়ি বাগেরহাট জেলার একটি গ্রামে। দীর্ঘদিন ধরেই তিনি লোক পাঠানোর নামে মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন দেশে অবৈধ পন্থায় মানুষ পাঠিয়ে আসছিলেন। মূলত সংযুক্ত আরব আমিরাতে চাকরির লোভ দেখিয়ে তিনি অসংখ্য বেকার যুবককে প্রলুব্ধ করেন। প্রতিজনের কাছ থেকে মোটা অঙ্কের টাকা নিয়ে তাদের নিয়ে যান দুবাইসহ আমিরাতের বিভিন্ন শহরে। প্রতিশ্রুতি ছিল—চাকরি হবে ভালো কোম্পানিতে, দ্রুত রেসিডেন্স আইডি (ভিসা) করিয়ে দেওয়া হবে এবং থাকা-খাওয়ার সম্পূর্ণ ব্যবস্থাও থাকবে।

 

 

বাস্তবতা ছিল সম্পূর্ণ বিপরীত:-

 

প্রবাসে পৌঁছানোর পর প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী কোনো আইডি বা চাকরি না দিয়ে উল্টো আরও টাকা দাবি করতেন রফিকুল্লাহ। অনেকে ধার করে, গৃহবন্দী হয়ে পড়েও তাকে টাকা দিয়েছেন। কিন্তু তারপরও না মেলেনি কাজ, না মিলেছে আইডি। দিনের পর দিন অবৈধ অবস্থায় পড়ে থাকতে হয়েছে বহু যুবককে। পুলিশের ভয়ে চরম আতঙ্ক আর অমানবিক জীবনযাপন করতে বাধ্য হন তারা।

 

 

 

ভেঙে গেছে বহু স্বপ্ন, নিঃস্ব বহু পরিবার:-

 

একজনের প্ররোচনায় দেশের বহু পরিবার সর্বস্ব হারিয়েছে। বাড়ি বিক্রি করে, ঋণ করে, অনেকেই রফিকুল্লাহর প্রলোভনে পা দিয়েছিল। আজ তাদের কেউ কর্মহীন, কেউ দেশে ফিরে হতাশ, আবার কেউ এখনো অবৈধ হয়ে দিন পার করছেন প্রবাসে। কেউ কেউ মানসিকভাবে এতটাই বিপর্যস্ত যে, আত্মহত্যার চেষ্টাও করেছেন বলে জানা গেছে।

 

 

প্রশাসনের প্রতি দাবি:-

 

ভুক্তভোগী পরিবারগুলোর পক্ষ থেকে দাবি উঠেছে, এই প্রতারকের বিরুদ্ধে দ্রুত আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হোক। তার সম্পদ বাজেয়াপ্ত করে ভুক্তভোগীদের ক্ষতিপূরণ দেওয়ারও জোর দাবি জানানো হয়। একইসাথে, এ ধরনের মানবপাচার ও প্রবাসী নির্যাতনের ঘটনার পুনরাবৃত্তি রোধে যথাযথ মনিটরিং এবং অভিযুক্তদের কঠোর শাস্তি নিশ্চিত করতে আহ্বান জানান মানবাধিকার কর্মীরা।

 

 

 

 

সফল প্রবাস জীবনের স্বপ্ন দেখিয়ে প্রতারক রফিকুল্লাহ গাজ্জালী যেভাবে যুব সমাজকে ধ্বংস করেছেন, তা সমাজের জন্য এক করুণ সতর্কবার্তা। সময় এসেছে এসব প্রতারণার বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ নেওয়ার—না হলে আরও কত রফিকুল্লাহ আরও কত স্বপ্ন কেড়ে নেবে, তার ইয়ত্তা থাকবে না।