
মেহেন্দিগঞ্জ প্রতিনিধি:
মোঃ আতিকুর রহমান
২ আগষ্ট রোজ শনিবার বরিশাল জেলার মেহেন্দিগঞ্জ উপজেলার ভয়াবহ নদীভাঙন রোধে একটি স্থায়ী সমাধান খুঁজতে জনগণের সাথে মতবিনিময় ও পরামর্শ গ্রহণে পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের একটি বিশেষ টিম মেহেন্দিগঞ্জ সফর করেছে।
এই উদ্যোগের মূল প্রস্তাবক ছিলেন বরিশাল-৪ (হিজলা-মেহেন্দিগঞ্জ) আসনের প্রভাবশালী আইনজীবী ও সমাজকর্মী, গণমানুষের মানবিক নেতা এডভোকেট এম হেলাল উদ্দিন। তাঁর প্রত্যক্ষ অনুরোধ ও সক্রিয় তদবিরে নদীভাঙন কবলিত এলাকাগুলোকে অন্তর্ভুক্ত করে একটি স্থায়ী বাঁধ প্রকল্পের সম্ভাব্য এলাকা নির্ধারণের লক্ষ্যে এই পরিদর্শন কার্যক্রম সম্পন্ন হয়।
প্রস্তাবিত বাঁধ প্রকল্প এলাকা: স্থানীয় জনগণের চাহিদা ও নদীর গতিপ্রকৃতি বিবেচনায় প্রস্তাবিত বাঁধ প্রকল্পের এলাকা নির্ধারণ করা হয়েছে —
মেহেন্দিগঞ্জ স্টিমার ঘাট থেকে শুরু করে সাদেকপুর হয়ে চানপুর ইউনিয়ন পর্যন্ত, নদীর বাঁকে বাঁকে বিস্তৃত এলাকা। এরপর লালগঞ্জ খালের মুখ হয়ে মেঘনা নদীর পাড় ঘেঁষে সুলতানি খালপাড় এবং শ্রীপুর ইউনিয়ন পর্যন্ত বিস্তৃত মোট ১১.৫ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের এলাকাকে প্রকল্পের আওতায় আনার পরিকল্পনা গৃহীত হয়।
পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের পক্ষে উপস্থিত ছিলেন:-
এ. এফ. এম তৌহিদ জামান,
নির্বাহী প্রকৌশলী, ডিজাইন সার্কেল-২, ঢাকা,মোঃ জাবেদ ইকবাল,নির্বাহী প্রকৌশলী, বরিশাল পানি উন্নয়ন বিভাগ,
মোঃ জহিরুল ইসলাম,উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী, বরিশাল পানি উন্নয়ন উপ-বিভাগ,শফিকুল ইসলাম সৈকত,
উপ-সহকারী প্রকৌশলী, হিজলা পানি উন্নয়ন শাখা, বাপাউবো, বরিশাল। আরো উপস্থিত ছিলেন মেহেন্দিগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ রিয়াজুর রহমান।
পরিদর্শনকালে প্রকৌশলীরা নদীভাঙন প্রবণ এলাকাগুলোর ভৌগোলিক বৈশিষ্ট্য, নদীর স্রোতের ধরণ ও অতীত বছরের ভাঙনের চিত্র বিশ্লেষণ করেন। স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও ভুক্তভোগী জনগণের সাথেও সরাসরি মতবিনিময় করেন তারা। পরে তারা স্পিড বোট যোগে পুরো নদী ভাঙ্গন এলাকা ঘুরে দেখেন এবং সাধারণ মানুষের সাথে কথা বলেন।
এডভোকেট এম হেলাল উদ্দিন বলেন, মেহেন্দিগঞ্জের মানচিত্রই যেন মুছে যাচ্ছে নদীর করালগ্রাসে। মানুষের ঘরবাড়ি, স্কুল, মসজিদ, হাট-বাজার—সব কিছু বিলীন হয়ে যাচ্ছে নদীর গর্ভে। এখন আর সময় নেই। স্থায়ী বাঁধ নির্মাণই একমাত্র সমাধান। আমি জনগণের প্রতিনিধি হিসেবে সর্বোচ্চ পর্যায়ে এসব বিষয় তুলে ধরেছি, এবং আল্লাহর রহমতে মন্ত্রণালয় ইতোমধ্যে সাড়া দিয়েছে।
তিনি আরও বলেন, “এই প্রকল্প বাস্তবায়িত হলে কেবল নদীভাঙন নয়, বরং স্থানীয় কৃষি, বসবাস ও অর্থনীতিতেও আমূল পরিবর্তন আসবে।”
পরিদর্শনের পর প্রকৌশলীরা জানিয়েছেন, স্থানীয় পর্যায়ে প্রাপ্ত তথ্য ও পর্যবেক্ষণের ভিত্তিতে একটি পূর্ণাঙ্গ নকশা ও প্রতিবেদন প্রণয়ন করে মন্ত্রণালয়ে জমা দেওয়া হবে। এরপর সম্ভাব্য বাজেট ও প্রকল্প অনুমোদনের প্রক্রিয়া শুরু হবে।
স্থানীয় জনগণ এই উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়ে এডভোকেট এম হেলাল উদ্দিনসহ সংশ্লিষ্ট সকলকে ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন।
উল্লেখ্য এর আগে গত ১ আগষ্ট রোজ শুক্রবার একাধিক নদী ভাঙ্গন এলাকা পরিদর্শন করেন মানবিক নেতা এডভোকেট এম হেলাল উদ্দিন। বিশেষ করে উলানিয়া ইউনিয়নের সুলতানি গ্রামের নদী ভাঙ্গন রোধে জিও ব্যাগ ফেলে কাজের উদ্বোধন করেন এই মানবিক নেতা।
সদিচ্ছা থাকলে জনপ্রতিনিধিরা কীভাবে বাস্তব সমস্যার সমাধানে কেন্দ্রীয় সরকারকে সক্রিয় করতে পারেন। মেহেন্দিগঞ্জবাসীর এখন একটাই চাওয়া “দ্রুত প্রকল্প বাস্তবায়ন”।