, মঙ্গলবার, ২২ জুলাই ২০২৫, ৬ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
কেরানীগঞ্জে পার্কিং করে রাখা একটি যাত্রীবাহী বাসে আগুন লাগিয়ে দিয়েছে: দুর্বৃত্তরা  জুলাই শহিদদের আত্মত্যাগ ও তাদের আকাঙ্খা বাস্তবায়নে জুলাই বিপ্লবকে বুকে ধারণ করতে হবে: বাবু গয়েশ্বর চন্দ্র রায়  জুলাই-আগস্ট বিপ্লবের শহীদদের স্মরণে মেহেন্দিগঞ্জে বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি পালন মানবিকতার ছায়াতলে নদীভাঙনপ্রবণ চরাঞ্চল: মেহেন্দিগঞ্জে প্রকল্প উদ্বোধন ও জনগণের পাশে অ্যাডভোকেট এম হেলাল উদ্দিন দক্ষিণ কেরানীগঞ্জে চাঁদাবাজ বিরোধী অভিযানে গ্রেফতার ৩ শেরে-ই-বাংলা সাংস্কৃতিক জোট এর উদ্যোগে অবিভক্ত বাংলার প্রধানমন্ত্রী শেরে বাংলা এ কে ফজলুলহক এর জীবনী শীর্ষক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত রাজপথের লড়াকু সৈনিক মোঃ হযরত আলী: দলের প্রতি অকুণ্ঠ ভালবাসা ও ত্যাগের এক অনন্য উদাহরণ দক্ষিণ কেরানীগঞ্জে পুলিশের অভিযানে ভূমিদস্যু ও চাঁদাবাজ গ্রেপ্তার: কেরাণীগঞ্জে পরিবহনে চাঁদাবাজির সময় গ্রেফতার ০৩ জন মানবিক পুলিশ সুপার এর মানবিকতায় নতুন জীবন পেল কিশোরী সামিয়া

মেহেন্দিগঞ্জে জমি দখলের অপচেষ্টা: রেজিস্ট্রিকৃত দলিলে মোহাম্মদ ইছাহাক সরদারের মালিকানা স্বীকৃত

  • প্রকাশের সময় : ১০:৫৫ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৮ জুন ২০২৫
  • ৮৩ পড়া হয়েছে

 

 

বিশেষ প্রতিনিধ

 

বরিশালের মেহেন্দিগঞ্জ উপজেলার চর এককরিয়া ইউনিয়নের পূর্বকান্দি পশ্চিমপাড় গ্রামে দীর্ঘদিনের ভোগদখলকৃত জমি জোরপূর্বক দখলের অপচেষ্টার অভিযোগ উঠেছে। মোহাম্মদ ইছাহাক সরদারের পরিবার দাবি করেছে, বিগত তিন দশক ধরে শান্তিপূর্ণভাবে ভোগদখল করা জমিতে এখন ষড়যন্ত্রমূলকভাবে দখলচেষ্টা চলছে।

 

ভুক্তভোগী পরিবারের সদস্য তানিয়া বেগম জানান, “আমার বাবা মোহাম্মদ ইছাহাক সরদার ১৯৯৩ সালে পূর্বকান্দি পশ্চিমপাড় মৌজার জে.এল ৩৪, এস.এ ২২১, ২২২, ৩ ও ৪ নম্বর খতিয়ানের অধীনে ৮ গণ্ডা জমি আব্দুল হক মোল্লার কাছ থেকে রেজিস্ট্রিকৃত কবালার মাধ্যমে ক্রয় করেন। একই সঙ্গে আব্দুল হক মোল্লা আরো ১০ গণ্ডা জমি কালিকাপুর গ্রামের আব্দুর রব ফারাজির নিকট বিক্রি করেন, যেটি পরবর্তীতে আমার বাবা দলিলমূলে কিনে নেন।”

 

পরিবারের দাবি, “ক্রয়কৃত জমির বৈধ মালিকানা নিশ্চিত করে রেজিস্ট্রিকৃত ৩৭০ নম্বর কবালা দলিল সম্পাদন করা হয় ২১/০১/১৯৯৩ তারিখে। সেই থেকে ওই জমি শান্তিপূর্ণভাবে ভোগদখল করে আসছি। অথচ এখন আব্দুল হক মোল্লা ও তার সন্তানরা সেই জমি নিজেদের বলে দাবি করছেন।

 

অভিযোগ রয়েছে, বিক্রয়ের পর বিএস জরিপের সময় নিজের নামে পুনরায় রেকর্ড করে আব্দুল হক মোল্লা পরে ওই জমি তার সন্তানদের নামে বিক্রি করেন। যা স্পষ্টতই প্রতারণার শামিল। এ নিয়ে এলাকায় মালিকানা নিয়ে চরম দ্বন্দ্ব দেখা দিয়েছে।

 

আইনজীবীর লিখিত মতামতে বলা হয়েছে, “রেজিস্ট্রিকৃত দলিল ছাড়া জমির মালিকানা দাবির কোন ভিত্তি নেই। অরেজিস্ট্রিকৃত বর্গাচুক্তি আইনত গ্রহণযোগ্য নয় এবং তা সম্পত্তির দখল প্রতিষ্ঠার জন্য উপযুক্ত দলিল হতে পারে না। এই ক্ষেত্রে ইছাহাক সরদারই প্রকৃত মালিক।”

 

এ বিষয়ে ২০১৩ সালে এছাহাক সরদার জীবিত থাকা অবস্থায় তার কাগজপত্র আটকে রাখার অভিযোগে মেহেন্দিগঞ্জ থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেন তিনি (জিডি নম্বর: ৮৩৭)।

 

ভুক্তভোগী পরিবারের পক্ষ থেকে অভিযোগ রয়েছে আব্দুল হক মোল্লার সন্তান—মাহফুজ মোল্লা, মো. সবুজ, মো. মামুনুর রশীদ, মাহামুদা বেগম, ময়না বেগম, ফাতেমা বেগম ও মুন্নী বেগম—জমি দখলের সাথে জড়িত বলে অভিযোগ করা হয়েছে।

অভিযুক্ত আব্দুল হক মোল্লার পুত্র মাসুদ মোল্লা জানান এই জমি আমাদের আমরা পূর্ব থেকেই এ জমি ভোগ দখল করে আসছি।

স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, এ নিয়ে এলাকায় চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর হস্তক্ষেপ ও দখলচেষ্টার বিরুদ্ধে প্রশাসনিক পদক্ষেপ কামনা করছেন তারা।

জনপ্রিয়

কেরানীগঞ্জে পার্কিং করে রাখা একটি যাত্রীবাহী বাসে আগুন লাগিয়ে দিয়েছে: দুর্বৃত্তরা 

মেহেন্দিগঞ্জে জমি দখলের অপচেষ্টা: রেজিস্ট্রিকৃত দলিলে মোহাম্মদ ইছাহাক সরদারের মালিকানা স্বীকৃত

প্রকাশের সময় : ১০:৫৫ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৮ জুন ২০২৫

 

 

বিশেষ প্রতিনিধ

 

বরিশালের মেহেন্দিগঞ্জ উপজেলার চর এককরিয়া ইউনিয়নের পূর্বকান্দি পশ্চিমপাড় গ্রামে দীর্ঘদিনের ভোগদখলকৃত জমি জোরপূর্বক দখলের অপচেষ্টার অভিযোগ উঠেছে। মোহাম্মদ ইছাহাক সরদারের পরিবার দাবি করেছে, বিগত তিন দশক ধরে শান্তিপূর্ণভাবে ভোগদখল করা জমিতে এখন ষড়যন্ত্রমূলকভাবে দখলচেষ্টা চলছে।

 

ভুক্তভোগী পরিবারের সদস্য তানিয়া বেগম জানান, “আমার বাবা মোহাম্মদ ইছাহাক সরদার ১৯৯৩ সালে পূর্বকান্দি পশ্চিমপাড় মৌজার জে.এল ৩৪, এস.এ ২২১, ২২২, ৩ ও ৪ নম্বর খতিয়ানের অধীনে ৮ গণ্ডা জমি আব্দুল হক মোল্লার কাছ থেকে রেজিস্ট্রিকৃত কবালার মাধ্যমে ক্রয় করেন। একই সঙ্গে আব্দুল হক মোল্লা আরো ১০ গণ্ডা জমি কালিকাপুর গ্রামের আব্দুর রব ফারাজির নিকট বিক্রি করেন, যেটি পরবর্তীতে আমার বাবা দলিলমূলে কিনে নেন।”

 

পরিবারের দাবি, “ক্রয়কৃত জমির বৈধ মালিকানা নিশ্চিত করে রেজিস্ট্রিকৃত ৩৭০ নম্বর কবালা দলিল সম্পাদন করা হয় ২১/০১/১৯৯৩ তারিখে। সেই থেকে ওই জমি শান্তিপূর্ণভাবে ভোগদখল করে আসছি। অথচ এখন আব্দুল হক মোল্লা ও তার সন্তানরা সেই জমি নিজেদের বলে দাবি করছেন।

 

অভিযোগ রয়েছে, বিক্রয়ের পর বিএস জরিপের সময় নিজের নামে পুনরায় রেকর্ড করে আব্দুল হক মোল্লা পরে ওই জমি তার সন্তানদের নামে বিক্রি করেন। যা স্পষ্টতই প্রতারণার শামিল। এ নিয়ে এলাকায় মালিকানা নিয়ে চরম দ্বন্দ্ব দেখা দিয়েছে।

 

আইনজীবীর লিখিত মতামতে বলা হয়েছে, “রেজিস্ট্রিকৃত দলিল ছাড়া জমির মালিকানা দাবির কোন ভিত্তি নেই। অরেজিস্ট্রিকৃত বর্গাচুক্তি আইনত গ্রহণযোগ্য নয় এবং তা সম্পত্তির দখল প্রতিষ্ঠার জন্য উপযুক্ত দলিল হতে পারে না। এই ক্ষেত্রে ইছাহাক সরদারই প্রকৃত মালিক।”

 

এ বিষয়ে ২০১৩ সালে এছাহাক সরদার জীবিত থাকা অবস্থায় তার কাগজপত্র আটকে রাখার অভিযোগে মেহেন্দিগঞ্জ থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেন তিনি (জিডি নম্বর: ৮৩৭)।

 

ভুক্তভোগী পরিবারের পক্ষ থেকে অভিযোগ রয়েছে আব্দুল হক মোল্লার সন্তান—মাহফুজ মোল্লা, মো. সবুজ, মো. মামুনুর রশীদ, মাহামুদা বেগম, ময়না বেগম, ফাতেমা বেগম ও মুন্নী বেগম—জমি দখলের সাথে জড়িত বলে অভিযোগ করা হয়েছে।

অভিযুক্ত আব্দুল হক মোল্লার পুত্র মাসুদ মোল্লা জানান এই জমি আমাদের আমরা পূর্ব থেকেই এ জমি ভোগ দখল করে আসছি।

স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, এ নিয়ে এলাকায় চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর হস্তক্ষেপ ও দখলচেষ্টার বিরুদ্ধে প্রশাসনিক পদক্ষেপ কামনা করছেন তারা।